P2P লেনদেন মূলত একটু সহজ উপায় যেখানে কোন দেশে যদি বিটকয়েন সহ ক্রিপ্ত কারেন্সি বৈধতা দেওয়া না থাকে তাহলে ওই দেশের জনগণের সুবিধার জন্য বিশেষ ট্রেডিং পদ্ধতি। আমার দেশের টাকা যদি আমি বিটকয়েনের মাধ্যমে এক্সচেঞ্জ করতে পারি এবং সেটার জন্য পারসন টু পার্সন লেনদেন হয় তাহলে এটাই হবে পিটুপি লেনদেন। এক্ষেত্রে অবশ্য লোকাল কারেন্সির সাথে লেনদেন হয় বেশি। আপনি ইচ্ছা করলে আপনার বিটকয়েন দিয়ে অন্য দেশের কারেন্সিতে এক্সচেঞ্জ করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনার ওয়ালেট হতে হবে মাল্টি কারেন্সি সাপোর্টেড অর্থাৎ বিভিন্ন দেশের আঞ্চলিক কয়েনগুলো দেশীয় কয়েন গুলোতে সাপোর্ট করার ওয়ালেট হতে হবে।
পিটুপি লেনদন করার জন্য যে শুধুমাত্র মাল্টি কারেন্সি সাপোর্টেট ওয়ালেট থাকতে হবে এটা নেসেসারি নয়, আপনার যদি শুধুমাত্র বিকাশ এবং নগদ একাউন্ট থাকে পাশাপাশি বাইনান্স এবং কুকয়েনে ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলেই আপনি অনায়াসে টুপি ট্রেডিং করতে পারবেন। বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশী মানুষজনরা বেশিরভাগ এটিই করে থাকে,
তবে মনে রাখবেন এটা কিন্তু বাংলাদেশ অবৈধ, তাছাড়া আমরা প্রতিনিয়ত খবর পাচ্ছি যে পি টুপি লেনদেন করার কারণে মানুষজনদের আটক করা হচ্ছে, ব্যাংক স্টেটমেন্ট চেক দিলেই বোঝা যায় সাসপিসিয়ার অ্যামাউন্টের টাকা ট্রানজেকশন দেখলে তারা সাথে সাথে রিপোর্ট করে। সেদিন ও ব্যাংকে গিয়েছিলাম আমাদের জেলার একটি নামকরা ব্যাংকের জেলার কেন্দ্রীয় ব্রাঞ্চে সেখানে ৫৩ টি একাউন্ট কে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একজন এর বিরুদ্ধে কেস তৈরি হয়ে গিয়েছে। ব্যাংকের কর্মচারী আমার পরিচিত ছিল বলে সে আমার সাথে এটি শেয়ার করেছে।
পিটুপি লেনদেন করলেও এখন অনেক রিস্কি সব সময় রাউন্ড ফিগার অ্যামাউন্টের পিটুপি ট্রেডিং করার পরামর্শ রইলো। যেমন- ১০০০০, ২৫০০০, ৩০০০০, ৪০০০০ ইত্যাদি।