বিটকয়েন হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি। ক্রিপ্টো মানে গোপন, আর কারেন্সি মানে মুদ্রা। সহজ ভাবে বলতে গেলে গোপন মুদ্রা, যা ধরা যায় না, ছোঁয়াও যায় না। বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই। নেই কোনো নিজস্ব মূল্যমান। একে ডিজিটাল মুদ্রা, ভার্চুয়াল মুদ্রা বা অনলাইন কারেন্সিও বলা হয়। এর লেনদেনের জন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনও হয় না। এটি নিজে নিজেই নিয়ন্ত্রিত হয়।
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনী বিল গেটস মনে করেন ভবিষ্যৎ পৃথিবীর অর্থ হচ্ছে এই বিটকয়েন। কিন্তু অনেকেই এই কয়েন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কেননা রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে বিটকয়েন। শুধু তা-ই নয়, এর নিয়ন্ত্রণ করাও অসম্ভব এটা স্বনিয়ন্ত্রিত। কারণ বিটকয়েনের লেনদেনের ক্ষেত্রে লেনদেনকারীর সব তথ্য কঠোরভাবে গোপন করা হয়। ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষেও লেনদেনকারীকে শনাক্ত করা সম্ভব নয়। এর মাধ্যমে মানুষের লেনদেনের গোপনীয়তা বাড়ছে মনে হলেও এর অসদ্ব্যবহার হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। কারণ বিভিন্ন মাফিয়া, অপহরণকারী এটি ব্যবহার করে মানুষের অর্থ লুটে নেবে; কিন্তু তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে না।
আমার মনে হয় এ সব দিক চিন্তা করে সরকার বিটকয়েন কে বৈধ করতে চায় না।