ক্রিপ্টকারেন্সি এক ধরনের অর্থ এবং তথ্য আদান প্রদান মাধ্যম যা ব্লকচেইন প্রযুক্তি মেনে চলে। প্রশ্ন আসতে পারে, ব্লকচেইন কি? একটি উদাহরন দেই,
ধরুন, আপনি অনলাইনে কোন বিক্রেতার কাছ থেকে একটি পন্য কিনলেন, বা কারো সাথে কোন বিষয় নিয়ে বেইট ধরলেন। এখন, সাধারন ব্যাংকের সিস্টেম অনুযায়ী অর্থ আদান প্রদান করতে এই মুহুর্তে কয়েকটি সমস্যা উঠে আসতে পারে, যেমনঃ
১. উক্ত বিক্রেতা হয়তো আপনাকে পন্য না দিয়ে বা অর্থ ফাকি দিয়ে চলে যেতে পারে,
২. আপনি হয়তো কনফিউজড হতে পারেন, যে এতোগুলো টাকা একটা অপরিচিত লোকের কাছে কিভাবে হস্তান্তর করি?
৩. অথবা, আপনারা দুই পক্ষ আলোচনা করে একটি তৃতীয় পক্ষ ভাড়া করতে পারেন যা কাছে টাকা রাখবেন এবং সময় হলে জয়ী পক্ষ, বা সঠিক উত্তরাধিকারী টাকা নেবে। কিন্তু, এমন হলে, তৃতীয় পক্ষ যে টাকা নিয়ে আপনাদের উভয়পক্ষকে ফাকি দিয়ে পালিয়ে যাবেনা তার নিশ্চয়তা কি?
এখানেই আসলো ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রয়োজনীয়তা। যেটা দ্বারা উভয় পক্ষ তাদের নিজেদের ব্যাক্তিগত কম্পিউটার বা অন্য ডিভাইস থেকে এ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে টাকার পরিমান দিয়ে হ্যাস কোড জেনারেট করবেন, এবং একে অপরের সাথে শেয়ার করবেন, প্রসেস চলাকালীন কোন পক্ষই এডিট বা ডিলিট করতে পারবেন না, এবং নির্ধারিত সময়ের পর সঠিক মালিক টাকা সংগ্রহ করবেন।
এখনকার সময়মতে সবচেয়ে বেশী আলোড়ন সৃষ্টি করা ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে বিটকয়েন, ইথারিয়াম, লাইটকয়েন, মনেরো ইত্যাদি অন্যতম। সব ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সিই একই বেসিক প্রিন্সিপ্যাল অনুসরন করে, কিন্তু বিভিন্ন কোম্পানির নিজেদের তৈরি অতিরিক্ত কিছু রুল যোগ করা থাকে, যাতে গ্রাহকরা একটু বাড়তি সুবিধা পায়। যা বর্তমান সময়ের কম্পিটিটিভ মার্কেটে নিজেদের স্থান পাকা করার একটা পদ্ধতি মাত্র।