আসুন আমরা সবাই অতি সহজে কিছু মূল্যবান তথ্য জেনে নেই।
ক্রিপ্টোকয়েন কি?কেন সবাই এর প্রতি ঝুকছে?
ক্রিপ্টোকয়েন হল ডিজিটাল কারেন্সি।এই কয়েন কোন সরকার উৎপাদন করে না। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে মাইনিং করে এই কারেন্সি উৎপাদন হয়। ব্লকচেইন, এলগরিদম, ক্রিপ্টো গ্রাফি দিয়ে এই মাইনিং সম্পন্ন হয়ে থাকে। এর বিনিময়ে মাইনাররা টাকা নেয়।যদিও তা অতি সামান্য।
মার্কেটে সব থেকে প্রচলিত কয়েকটি ক্রিপ্টো কারেন্সিঃ
বিটকয়েন,ইথারিয়াম,রিফিল,লাইট কয়েন, ডগি কয়েন,ড্যাস
সাধারন মুদ্রার মত এইটার নিয়ন্ত্রণ কোন সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক করে না। এইটার প্রাইস নির্ভর করে মার্কেট ক্যাপিটাল ও ট্রেড ভলিউম এর উপর। অন্যান্য মুদ্রার সাথে আরেকটি পার্থক্য আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেই যে কোন মুদ্রা নতুন টাকা ছাপাতে পারে। কিন্তু ক্রিপ্টো কয়েন এর সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন বিট কয়েন ২১ মিলিয়ন কয়েনের পর আর জেনারেট করতে পারবে না। বাজারে অনেক ক্রিপ্টো কারেন্সি আছে। সব গুলাই সমান লাভজনক না। তবে কিছু কিছু অতি লাভজনক ।
২০১০ সালের জুলাই তে বিট কয়েন রেট ছিল ০.০৬ ডলার
২০১১ সালের জুনে ২২ ডলার
২০১২ সালের জুনে ৬.৫৬ ডলার
২০১৩ সালের জুনে ১০৭.৭৮ ডলার
২০১৪ সালের জুনে ৬০৫ ডলার
২০১৫ সালের জুনে ২৩০ ডলার
২০১৬ সালের জুনে ৬৬৫ ডলার
২০১৭ এর জুনে ২৫৯১ ডলার
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ১৪৮৯১ ডলার
তাহলে আপনি যদি ২০১২ সালে অন্তত ১০ বিট কয়েন ৬৫ ডলার দিয়ে কিনে রাখতেন এখন তার ভ্যালু হত ১ লক্ষ্ ৪৮ হাজার ডলার।
অনেকেই কোন স্টাডি না করেই ক্রিপ্টো কারেন্সি কিনছেন। কিন্তু সব গুলা কিন্তু সমান না।
বিটকয়েন এখন মার্কেট এর রাজা। কেনা লাভজনক কিন্তু অনেক ব্যায়বহুল।