বিটকয়েনের মতো বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যাপারে কঠিনতর পথে যাচ্ছে ভারত। সাংসদের এবারের বাজেট অধিবেশনেই এগুলি নিষিদ্ধকরণের জন্য একটি প্রস্তাব তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
#নয়াদিল্লি : বিটকয়েনের মতো বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যাপারে কঠিনতর পথে যাচ্ছে ভারত। সাংসদের এবারের বাজেট অধিবেশনেই এগুলি নিষিদ্ধকরণের জন্য একটি প্রস্তাব তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমনটাই খবর সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-এর৷ বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধের পাশাপাশি সরকার নিজেই একটি ডিজিটাল কারেন্সি চালু করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ভারতীয় মুদ্রার ডিজিটাল সংস্করণ চালু করার কথা ভাবছে। এটিকে বলা হবে সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি। তবে এটিকে বাস্তবে রূপ দিতে আইনি সংস্কারের প্রয়োজন।
সাংসদের নিম্নকক্ষে প্রস্তাব হওয়া বিলটি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক সরকারি ডিজিটাল মুদ্রা তৈরির একটি সহজ কাঠামো তৈরির জন্যই এ সংক্রান্ত আইন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।ক্রিপ্টোকারেন্সিকে বলা হয় ‘কনভার্টিবল ভার্চুয়াল কারেন্সি।’ অর্থাৎ বিনিময়যোগ্য ভার্চুয়াল মুদ্রা। অবশ্য প্রচলিত মুদ্রার বদলে যে কোনও ভার্চুয়াল কারেন্সি ব্যবহার করা যায় না। সাধারণ মুদ্রা যেমন কোনও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে, ক্রিপ্টোকারেন্সি সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করার কেউ নেই। ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে কেউ ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি করতে পারে। তা লেনদেনও করতে পারে। নিয়ন্ত্রণ নেই বলেই এটিকে বিপজ্জনক মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
আমেরিকায় ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করলে কর নেওয়া হয়। কিন্তু বহু দেশেই এর ওপর কর বসানো হয়নি। ওই মুদ্রা বাস্তবে দেখাও যায় না। কেবল অনলাইনেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি হল বিটকয়েন। এর কনভার্টিবল ভ্যালু আছে। গত কয়েক মাসে সেই ভ্যালু বেড়েছে রেকর্ড হারে। ২০০৯ সালে আবাসনের বাজারে ধস নামার পরে বিটকয়েন চালু হয়। এর যাবতীয় লেনদেন হয় ওপেন সোর্স লেজার থেকে। বিটকনকে আমেরিকান ডলারে পরিণত করা যায়।সম্প্রতি বিটকয়েনের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন ধনকুবের এলন মাস্ক। তারপর ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা এটি নিয়ে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠে।
ভারতের এবারের বাজেট অধিবেশনে ‘অফিসিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল ২০২১’ পেশ হওয়ার কথা রয়েছে। এর উদ্দেশ্য, অফিশিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি চালুতে সাহায্য করা এবং সব ধরনের প্রাইভেট ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করা। তবে নতুন বিলে কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। কারণ সরকার চায় ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রযুক্তি আরও বেশি ব্যবহৃত হোক। গত ২৫ জানুয়ারি ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। যেভাবে এই ভার্চুয়াল মুদ্রা ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে। একইসঙ্গে সরকার নিজে ডিজিটাইজড মুদ্রা চালু করারও চেষ্টা চালাচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাংকও খতিয়ে দেখছে, কিভাবে ডিজিটাইজড কারেন্সি বাজারে চালু করা যায়। এর আগে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকও জানায়, যেভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার বাড়ছে, তাতে উদ্বেগের কারণ রয়েছে।
Sourch