Altcoins Talks - Cryptocurrency Forum
Local => বাংলা (Bengali) => ক্রিপ্টোকুরেন্সি খবর => Topic started by: C 98 on May 18, 2021, 07:06:44 AM
-
এটিএম প্রযুক্তির পর আর্থিক প্রযুক্তি খাতে দীর্ঘদিন নতুন উদ্ভাবন ছিল না। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পর ফেডারেল রিজার্ভের সাবেক চেয়ারম্যান পল ভোকার অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই এ কথা বলেছিলেন। এরপর গত দেড় দশকে ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। উদ্যোক্তারাও আর্থিক খাতের বিকেন্দ্রীকরণ করেছেন, যার সবচেয়ে জলজ্যান্ত নজির হচ্ছে বিটকয়েন। বিটকয়েন ব্যাপারটা ভার্চ্যুয়াল হলেও প্রথাগত আর্থিক খাতের সঙ্গে নানামাত্রায় তার সম্পর্ক আছে।
শুধু বিটকয়েন নয়, গত এক দশকে বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের উদ্ভব হয়েছে। আর্থিক বাজারে এরাও এখন বড় খেলোয়াড়। এই ই-ওয়ালেট এবং পেমেন্ট অ্যাপের গ্রাহকসংখ্যা এখন ৩০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
আর্থিক প্রযুক্তি খাতের পরবর্তী সংযোজন হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রবর্তিত ডিজিটাল মুদ্রা। কিন্তু এই ব্যাপারটা অত সহজ-সরলভাবে আসবে না। ধারণা করা হচ্ছে, এতে রাষ্ট্রের ক্ষমতা বরং আরও বাড়বে, কমবে না। এমনকি বেসরকারি খাতেও একচেটিয়াতন্ত্র সৃষ্টি হবে না। এর পেছনের চিন্তাটা অবশ্য বেশ সরল। ডিজিটাল মুদ্রার যুগে গ্রাহককে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে হিসাব খুলতে হবে না, বরং তখন মানুষ সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করবে। মাঝখানে থাকবে আলি পে বা ভেনমোর মতো অ্যাপ। চেক লেখা বা অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করার বদলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সরবরাহ করা ডিজিটাল মুদ্রায় সরাসরি লেনদেন হবে তখন।
টাকার নিরাপত্তা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক—ভুঁইফোড় কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক নয়। ব্যাপারটা হলো, রেস্তোরাঁয় খেয়ে বিল দেবেন বা ভগ্নহৃদয় আত্মীয়কে সহযোগিতা করতে অনলাইনে কমান্ড বা এসএমএসের এজেন্টের কাছে যেতে হবে না, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমেই তা পাঠানো যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এভাবে ধীরে ধীরে ধরায় নেমে আসবে, সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বের ৫০টি মুদ্রানীতি প্রণয়নকারী সংস্থা এখন ডিজিটাল মুদ্রা প্রবর্তনের চিন্তা করছে। বাহামা দ্বীপপুঞ্জ ইতিমধ্যে ডিজিটাল মুদ্রা ছেড়েছে। চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ই-ইউয়ানের পাইলটিং শুরু করেছে—পাঁচ লাখ মানুষের মধ্যে এই মুদ্রা ছেড়েছে তারা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৫ সালের মধ্যে ভার্চ্যুয়াল ইউরো নিয়ে আসতে চায়। ব্রিটেন টাস্কফোর্স গঠন করেছে। আর বিশ্বের আর্থিক ব্যবস্থার শিরোমণি হাইপোথেটিক্যাল ই-ডলার ছেড়েছে।
সরকারি ডিজিটাল মুদ্রার ধারণার পেছনে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়ও কাজ করছে। এখন দেখা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতির প্রভাব বৃদ্ধিতে ব্যাংকিং ব্যবস্থা কাজে লাগায়। পেমেন্ট, আমানত ও ঋণ ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে বেসরকারি ডিজিটাল জগতে চলে গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে অর্থনৈতিক চক্র বজায় রাখা কঠিন হবে। সংকটের সময় তারা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় টাকা ঢুকিয়ে যেভাবে তা মোকাবিলা করে, তা করা আরও কঠিন হবে। এ ছাড়া অনিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল জগৎ জালিয়াতির স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠতে পারে, এমন আশঙ্কা মোটেও অমূলক নয়।
তবে ডিজিটাল মুদ্রার কল্যাণে আর্থিক খাতের উন্নয়ন হতে পারে। আদর্শিকভাবে মূল্য সংরক্ষণের খুবই নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে অর্থ, তাতে যেমন হিসাব রাখা সুবিধা, তেমনি পেমেন্টের সুবিধাজনক মাধ্যম। টাকার ব্যাপারে মানুষের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। ব্যাপারটা হলো, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের বিমা না থাকলে ব্যাংক পড়ে গেলে মানুষের টাকাও হারিয়ে যাবে। বিটকয়েন সবখানে গৃহীত হয় না। আর ক্রেডিট কার্ড তো হাতি পালার মতো ব্যাপার। সে কারণে সরকারি ডিজিটাল মুদ্রা হালে পানি পাবে, এমন সম্ভাবনাই বেশি।
সব মিলিয়ে বলা যায়, সরকারি ডিজিটাল মুদ্রার কল্যাণে বৈশ্বিক আর্থিক খাতের পরিচালন ব্যয় কমতে পারে। দ্য ইকোনমিস্ট–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যয় পৃথিবীর সব মানুষের মাথাপিছু বার্ষিক ৩৫০ ডলার। বিশ্বের ১৭০ কোটি মানুষের ব্যাংক হিসাব নেই, এই বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে তাঁদের আর্থিক খাতের আওতায় নিয়ে আসা যায়। এ ছাড়া ডিজিটাল মুদ্রা থাকলে সরকার তাৎক্ষণিকভাবে জনগণকে টাকা পাঠাতে পারে এবং সুদহার কমিয়ে শূন্যের নিচে নামিয়ে আনতে পারে। আর মানুষের কাছে ডিজিটাল মুদ্রার আবেদন তো চিরন্তন—তাৎক্ষণিক, নিরাপদ ও সর্বজনীন।
আবার ঠিক এ কারণেই ডিজিটাল মুদ্রা বিপদ ঘটাতে পারে। নিয়ন্ত্রণহীন এই মুদ্রা খুব তাড়াতাড়ি অর্থায়নের মূল উৎস হয়ে যাবে। নেটওয়ার্কের কারণে মানুষের পক্ষে এই নেটওয়ার্ক থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হয়ে উঠলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। এতে ব্যাংকিং ব্যবস্থা অস্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে।
দ্য ইকোনমিস্ট অবলম্বনে প্রতীক বর্ধন
Source Link: https://www-prothomalo-com.cdn.ampproject.org/v/s/www.prothomalo.com/amp/story/feature/pro-business/%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95?amp_js_v=a6&_gsa=1&usqp=mq331AQFKAGwASA%3D#aoh=16213141146397&csi=0&referrer=https%3A%2F%2Fwww.google.com&_tf=From%20%251%24s&share=https%3A%2F%2Fwww.prothomalo.com%2Ffeature%2Fpro-business%2F%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%259F%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2-%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25A6%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F-%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%259A%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%259B%25E0%25A7%2587-%25E0%25A6%2585%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%2595-%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A6%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580%25E0%25A7%259F-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2582%25E0%25A6%2595
-
নিউজ টি বেশি কিছুদিন আগের তবে এখনও এর সঠিক কোন ইনফরমেশন জানা নেই যে কোন কোন ব্যাংক গুলো ডিজিটাল মুদ্রায় যাবে। তবে প্রতিযোগীতার এই যুগে কেউই পিছিয়ে থাকতে চাইবে না। এটাই স্বাভাবিক। হয়তো খুব শিগরই এর প্রতিফলন আমরা দেখেতে পাব।
-
ডিজিটাল মুদ্রা বলতে আমরা বুঝি ক্রিপ্টোকারেন্সি ভার্চুয়াল মুদ্রা। এই মুদ্রা কখনো হাতে নেওয়া যায়না এই মুদ্রা আবার কখনো স্পর্শ করা যায় না। শুধুই মুদ্রাগুলো এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে স্থানান্তর হয় যাকে আমরা বলে থাকি ট্রানজেকশন। এই মুদ্রা গুলো তৈরি করা হয় মাইনিং এর সাহায্যে বর্তমান সময়ে অনেক মাইনাস আছে পৃথিবীতে।
-
আপনি ঠিক বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে রয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি ভার্চুয়াল মুদ্রা। বর্ধমান সারাবিশ্বে এই মুদ্রার অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। বড় বড় কোম্পানি এখন এই মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেন করতেছে। তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেন করতে অনেক সুবিধা পায়। তাই বলা যায় ভবিষ্যতে ডিজিটাল মুদ্রা বিভিন্ন কেন্দ্র ব্যাংকে ব্যবহার হতে পারে।