ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি দুইটাকে আলাদা করার বা রাখার ব্যাপারে কিছু বিচ্ছিন্ন চিন্তাভাবনা লিখে রাখছি। আমরা মোটামুটি জানি যে ব্লকচেইন হচ্ছে ডিসেন্ট্রালাইজড লেজার যেটা যেকোনো কিছুর মালিকানা, হস্তান্তর বা জেনুইনিটি নিশ্চিত করবে। সূতরাং পাব্লিক রেকর্ড, হেলথ রেকর্ড, জমির দলিল, সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে যেকোনো কিছু, যেটাতে নকল বা ধোঁকাবাজির চান্স আছে, সেটার জন্য একটা সমাধান হতে পারে ব্লকচেইন।
আলোচনার খাতিরে ধরে নেই আমরা বাংলাদেশের ভূমি মালিকানার সমস্ত কাগজ পত্র ডিজিটাইজ করে ফেললাম এবং এরপর থেকে জমি কেনাবেচা, লিজ ইত্যাদির সমস্ত রেকর্ড ব্লকচেইনে সংরক্ষণ করবো। এখন এই ব্লকচেইনটাকে হোস্ট করবে কে? সরকারের কোনো সার্ভার? বা ভূমি মন্ত্রনালয়ের কয়েকটা পিসি? তাহলে কিন্তু সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। একটা সার্ভার বা মন্ত্রনালয়ের কয়েকটা কম্পিউটারের রেকর্ড গায়েব করে দেয়া অসম্ভব কাজ না। যেহেতু ঐ ব্লকচেইনটাকে “ভেরিফাই” করার জন্য দুনিয়া বিস্তৃত আর কোনো নেটওয়ার্ক নেই। সূতরাং ব্লকচেইন জিনিসটাকে ডিসেন্ট্রালাইজ রাখতে অন্যান্যদের অংশগ্রহণ জরুরী। নয়ত সেটা সম্পূর্ণ আস্থা অর্জন করতে পারবে না। এখন ধরে নিলাম সরকার এই ভূমি মালিকানার রেকর্ডকে “মাইনিং” এ নিয়ে গেল যাতে যেকেউ হস্তান্তরগুলো ভেরিফাই করতে পারে। প্রক্রিয়াটা নাহয় প্রুফ অফ ওয়ার্ক (POW) না হয়ে প্রুফ অফ স্টেক (POS) হলো বা অন্যকিছু যেখানে বিটকয়েনের মত ম্যাসিভ স্কেলের কম্পিউটেশন অপচয়ের দরকার নাই। কিন্তু যাই হোক সেটাকে ফ্যাসিলিটেট করতে মাইনারদের একটা ইন্সেন্টিভ তো দিতে হবে। এখানে যদি কোনো টোকেন বা ক্রিপ্টো জড়িত না থাকে তবে সেই ইন্সেন্টিভটা কীভাবে দেয়া হবে?