আমি ১০০% দিয়ে বলতে পারি আপনি যদি নতুন হন আর ইন্টারমিডিয়েটেই হন বেশির ভাগের ভিতরে কয়েন আর টোকেন এর ভিতরে একটা কনফিউশন আছেই।
আপনাদের কাছে ফুললি ক্লিয়ার করার চেষ্টা করবো কয়েন এর ভিতরে কি ডিফারেন্স আছে আর টোকেনের ভিতরে কি ধরনের ডিফারেন্স আছে।
আপনারা নিশ্চই coinmarketcap সাইট সম্পর্কে জানেন। ক্রিপটোতে কাজ করেন আর coinmarketcap সম্পর্কে জানেন না, এমন কাউকে খুজে পাওয়া যাবে না। ওখানে গিয়ে দেখবেন একটা সেকশন আছে কয়েন এর, আর একটা সেকশন আছে টোকেনের জন্য। তো, আপনি কি কখনও জানার চেষ্টা করেছেন এখানে দুইটা সেকশন যে আছে তাদের মধ্যে ডিফারেন্সটা কি?
প্রথমে কথা বলবো কয়েন সম্পর্কে। কয়েন ইজ দ্যা বেস্ট, মেন এইটাই। টোকেন পরে এসেছে, প্রথমে এসেছে কয়েন। বিটকয়েন, ইথারিয়াম, নিয়ো এগুলো সব কয়েন। এখন কয়েন কি তা জানার আগে একটু ব্লকচেইন নিয়ে বলি তাহলে সুবিধা হবে বুঝতে।
ব্লকচেইন ব্যাপারে তো আপনারা নিশ্চই শুনেছেন। ব্লকচেইন হচ্ছে ডিসেন্ট্রালাইজড সিস্টেম। ইন শর্ট… ব্লকচেন ডিসেন্ট্রালাইজড, ওপেন লেজারও বলা যায়, ডিস্ট্রিবিউটার লেজার বলা যায় । মানে যেই কন্ট্রোল থাকে, তা কারো একক হাতে থাকে না, সবাই এর মালিক হয়ে থাকে। কারো একক হাতে কোনো কিছু চেন্জ হয় না। যতোক্ষন পর্যন্ত না ৫১% এর মত একই না হবে ততোক্ষন পর্যন্ত কেউ কিছুই করতে পারবে না।
এখানে ডিফারেন্স ডিফারেন্স এ্যালগোরিদম বানানো আছে। যেমন ধরুন, আপনাকে বাজারে যেতে হবে আপনার বাড়ি থেকে। এখন দেখা যাচ্ছে বাজারে যাওয়ার জন্য অনেক রাস্তা আছে। একটা সোজা রাস্তা, একটা আছে পিছন দিক দিয়ে ঘুড়ে যাওয়ার রাস্তা, একটা আছে অনেক দুর দিয়ে বাকা রাস্তা। এখন আপনাকে যেতে হবে বাজারেই কিন্তু রাস্তা অনেক। ঠিক তেমন ব্লকচেইন হচ্ছে ডিসেন্ট্রালাইজড সিস্টেম, মেন একটাই। কিন্তু যাওয়ার রাস্তা ভিন্ন ভিন্ন বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন বিটকয়েন আলাধা রাস্তা বানিয়ে নিয়েছে, ইথারিয়াম আলাধা রাস্তা বানিয়ে নিয়েছে, নিয়ো আলাধা রাস্তা বানিয়ে নিয়েছে। কিন্তু যেতে হবে এক জায়গাতেই। এখন কয়েন এর রাস্তা নিজের, ব্লকচেইন নিজের, সমস্ত সিস্টেম/টেকনোলোজি নিজের।
এখন যদি কথা বলি টোকেন কে নিয়ে তাহলে তারা ফলো করে উপরের রাস্তাকে। ধরুন বিন্যান্স টোকেন, ওডিইএম, অল্ট যেই টোকেনই হোক না কেনো, সে কোনো একটা পারটিকুলার ব্লকচেইন কে নিয়ে নিবে এবং তার রাস্তা ধরে আগানোর চেষ্টা করবে। এখন সবচাইতে বেশি ইউজ হয় ইথারিয়াম। বেশির ভাগ এখন কি করে, ইথারিয়ামকে তাদের প্ল্যাটফর্ম বানিয়ে নিয়ে ঐ প্ল্যাটফর্ম কে ইউজ করে নিজের একটা টোকেন বানিয়ে নিবে। এইটাকে কয়েনও বলতে পারেন। এখানে কয়েন এর ব্লকচেইন সহ সব কিছু নিজের, আর টোকেন কয়েন এর ব্লকচেইন কে বেজ ধরে নিজের টোকেন বানিয়ে নিচ্ছে।
আরও সহজ ভাবে যদি উদাহরন দিয়ে বুঝাই। ধরেন বিক্রয় ডট কম কি করে, সে একটা প্ল্যাটফর্ম দেয় ইউজারদেরকে যে আসো কিছু বিক্রি করো অথবা কিনো যা ইচ্ছা করো। ঠিক সেই ভাবে কয়েন একটা প্ল্যাটফর্ম দেয় বিভন্ন টোকেন কে যে আসো টোকেন বিক্রি করো বিনিময়ে শুধু আমাদেরকে কিছিু ফি দিয়ে দিয়ো। কষ্ট করে তোমাদেরকে ব্যাক্তিগতো ব্লকচেইন সিস্টেম বানাতে হবে না। শুধু আমার তৈরি করা রাস্তায় চলো আর আমাকে ক্রেডিট দাও।
এখন যদি অল্পতে বলতে যাই, টোকেন সেইটাই যে অন্যর ব্লকচেইন কে ব্যাবহার করে নিজের প্ল্যাটফর্ম বানায়। আর কয়েন সেইটাই যে নিজেস্ব ব্লকচেইন সিস্টেম বানিয়ে নিজের রাস্তা নিজে তৈরি করে গন্তোব্যতে পৌছায়।