সুবিধা: বৈদেশিক মুদ্রা ব্লকচেইন এর মাধ্যমে লেনদেন করা সম্ভব হবে। আমাদের দেশের যত এক্সপোটার ও ইম্পোর্টার আছে তারা ব্লকচেইন এর মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবে। বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন দেশের সাথে লেনদেন এর জন্য বিটকয়েন ব্যবহার করতে পারবে। অর্থাৎ অতি অল্প সময়ে অনেক বেশি লেনদেন করা সম্ভব হবে। আমাদের দেশে যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কাজ করে বা উপার্জন করে তারা ব্যাংকগুলো থেকে যেকোনো মুহূর্তে টাকা উত্তোলন করতে পারবে। প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। তাই আমি মনে করি অনেক ডলার বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের হাত ধরে বাংলাদেশের ডুকছে। প্রত্যেকটা ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রতিষ্ঠান বিটকয়েন লেনদেন শুরু হলে, সব লোকজন অনেক সুবিধা ভোগ করবে।
অসুবিধা: বিটকয়েনের দাম যেহেতু ওঠানামা করে সেহেতু বাংলাদেশ সরকার বা সরকারি দলের লোক মনে করেন অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেহেতু বিটকয়েন সম্পর্কে বাংলাদেশে দক্ষ না। কিছুদিন আগে মালয়েশিয়া থেকে ব্লকচেইন লেনদেনের প্রস্তাব এসেছিল। তবে সেটাও গ্রহণ করা হয়নি। নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। কিছু অসাধু লোক বিটকয়েন কে ব্যবহার করে অনেক ক্রাইম ও প্রতিনিয়ত জুয়ার আসর জমে উঠবে। কিছু ক্ষেত্রে খারাপ কাজে ব্যবহার করতে পারে।
সর্বোপরি সার্বিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশে বিটকয়েন কে অনুমোদন দিচ্ছে না। ভবিষ্যতে অনুমোদন দেবে কিনা সে বিষয়েও সন্দেহ।