Altcoins Talks - Cryptocurrency Forum

Local => বাংলা (Bengali) => অর্থনীতি ও ক্রিপ্টোকারেন্সি => Topic started by: Malam90 on February 16, 2021, 01:18:50 AM

Title: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Malam90 on February 16, 2021, 01:18:50 AM
বিটকয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিবিসি বাংলা একটি চমৎকার পোস্ট করেছেন। যেটা বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও এর সাথে জড়িতদের জন্য পজিটিভ খবর। সকলের অবগতির জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-


ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মূল্য গত কিছুদিনে রাতারাতি বহুগুণ বেড়ে গেছে।

মার্কিন বিলিওনিয়ার এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দেড়'শ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এই ডিজিটাল মুদ্রার দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে।

এ প্রতিবেদনটি যখন প্রকাশিত হচ্ছে, তখন একটি বিটকয়েনের বাংলাদেশের টাকায় মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

কিন্তু বাংলাদেশের এই ডিজিটাল মুদ্রার কী অবস্থা?

বাংলাদেশে বিটকয়েন

যদিও বাংলাদেশে খুব সীমিত আকারে বিটকয়েন কেনাবেচার কথা জানা যাচ্ছে, তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা বা সংরক্ষণ করা বেআইনি বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বাংলাদেশে বিটকয়েনের কোন অনুমোদন নেই। যেহেতু অনুমোদন নেই, সুতরাং এই জাতীয় লেনদেন বৈধ নয়।

হ্যাকাররা চুরি করা অর্থ কেন দান করছে

বিটকয়েনের ব্যবসা নিষিদ্ধ করে ফতোয়া জারি

"যদি আমাদের নোটিশে এই জাতীয় লেনদেনের খবর আসে, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি"।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েনে লেনদেনের ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না বিধায় এর বিপরীতে আর্থিক দাবির কোন স্বীকৃতিও নেই।

ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে।

এ ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক এবং আইনগত ঝুঁকি রয়েছে বলে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নামবিহীন বা ছদ্মনামে প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে অনলাইনে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।”

এছাড়া, অনলাইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লেনদেনকারী গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ভবিষ্যতে বিটকয়েনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা নেই।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

বিটকয়েন কী?
বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এই মুদ্রার লেনদেন হয়ে থাকে।

২০০৮ সালের শেষের দিকে জাপানের একজন নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের কেউ বা একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ উদ্ভাবন করেন। যদিও এই ব্যক্তির আসল নাম বা পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

নতুন এই ভার্চুয়াল মুদ্রাকে বলা হয় বিটকয়েন।

২০১৩ সালের দিকে এই মুদ্রার দাম ১০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে দুইজন ব্যবহারকারীর মধ্যে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করেও এটা সরাসরি আদান-প্রদান (পিয়ার-টু-পিয়ার) করা হয়। এই লেনদেনের তথ্য ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে, কিন্তু এই মুদ্রার লেনদেন তদারকির জন্য কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো কর্তৃপক্ষ থাকে না। এই মাইনারের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয়।

বিটকয়েন তৈরি বা কেনার পর তা গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকে। পরবর্তীতে তিনি সেগুলো ব্যবহার করে পণ্য কিনতে পারেন বা বিক্রি করে দিতে পারেন। বিক্রি করলে বিটকয়েনের পরিবর্তে প্রচলিত অর্থে তা গ্রহণ করা যায়। বিভিন্ন কম্পিউটার ব্যবহার করে লেনদেন করা হলেও সেসব তথ্য কেন্দ্রীয় সার্ভারে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে।

বিটকয়েনকে অনেকেই ভবিষ্যতের মুদ্রা বলে মনে করেন।

যেহেতু বিটকয়েনে লেনদেনে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে না এবং এর লেনদেনের গতিবিধি অনুসরণ করা যায় না, ফলে এটা মাদক, কালোবাজারি ও অর্থ পাচারে এই ব্যবহার হচ্ছে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

গত কয়েক বছরে বিটকয়েনের ইকোসিস্টেম বা বাজার ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হয়েছে, অনলাইনে বিটকয়েন এক্সচেঞ্জও চালু হয়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশেই এখন বিটকয়েনের আইনি স্বীকৃতি আছে। তবে বাংলাদেশ, মিসর, আলজেরিয়া, মরক্কো প্রভৃতি দেশে বিটকয়েন এখনো নিষিদ্ধ।

বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,
বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি

বাংলাদেশে বিটকয়েনের ব্যবহার
বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহার অবৈধ হওয়ায় ঠিক কতো জন বিটকয়েন কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না।

তবে বিটকয়েন ও আউটসোর্সিং পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’বাংলাদেশে যারা আউটসোসিং করছেন, তাদের কেউ কেউ বিটকয়েন কেনাবেচা করে থাকেন। কিন্তু অবৈধ হওয়ায় সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না।‘’

তিনি জানান, সাধারণত বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গেই এই লেনদেন হয়ে থাকে। অর্থ আদান-প্রদানে বিদেশে থাকা বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনদের সহায়তা নেয়া হয়।

কয়েকবছর আগেও উচ্চ ক্ষমতার কম্পিউটার ব্যবহার করে বিদেশি সহযোগীদের সাথে মিলে বিটকয়েন মাইনিংয়ের কাজও করা হতো। কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসা আর বিদ্যুৎ ভোগান্তির কারণে এখন এই প্রবণতা কমে গেছে।

বাংলাদেশে কি বিটকয়েন বৈধ করার সময় এসেছে?
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ ভেতরে বেশ জটিল কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন এটার ব্যবসা এখন যেভাবে হচ্ছে, কেউ কিনে রেখে দিচ্ছেন, দাম বাড়লে আবার বিক্রি করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে যেমনটা হয়েছে, ভালোভাবে না বোঝার কারণে এখানেও কিন্তু প্রতারণার একটা সুযোগ রয়েছে।‘

বিটকয়েন বাংলাদেশে ব্যবহার করতে হলে আরও অনেক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

তবে ড. আহমেদ বলছেন, সেই সঙ্গে যেহেতু পৃথিবীতে এই মুদ্রা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, ফলে পুরোপুরি এটাকে অস্বীকার করারও উপায় নেই।

"ফলে পুরোপুরি বন্ধ না করে রেখে এটার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা করা উচিত। কারণ বিশ্বে যদি একসময় এটা প্রচলিত হয়ে ওঠে, তাহলে সেটার সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সুতরাং সেই জন্য প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একেবারে মুখ ফিরিয়ে না রেখে তাদের এটা নিয়ে গবেষণা করা, যৌক্তিকতা, অযৌক্তিকতা যাচাই করা তৈরি করা উচিত। বিটকয়েন কোথায় যাচ্ছে, সেটার দিকে নজর রাখা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে যদি বিটকয়েনের ওপর বড় লেনদেন করতে হয়, তখন বিপদে পড়তে হবে না"।

চীন এবং ভারতসহ কয়েকটি দেশ নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরির পরিকল্পনা করছে।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির অনুমতি দেয়ার আগে এটা নিয়ে আরও ভালো করে গবেষণা করে, পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের জ্যেষ্ঠ গবেষক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, ‘’আমি মনে করি, বাংলাদেশ এখনো এটার জন্য প্রস্তুত নয়। কারণ আমাদের মূল ধারার মুদ্রা ব্যবস্থাপনার বাইরে এটা হচ্ছে। শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এটার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক যে নীতি দরকার, সেটার অভাব রয়েছে। এটার ভেতর এখনো অনেক ধরণের ফটকাবাজি চলছে। এটা নিয়ে আসলে কোন ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি প্রস্তুতি নেই, তথ্যের অস্বচ্ছতাও আছে।‘’

"বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক পরিকাঠামো এখনো দুর্বল। শিডিউল ব্যাংকগুলো নাজুক অবস্থায় আছে, দেশ থেকে অর্থ পাচার রোধে বড় ধরণের কোন কার্যকারিতা দেখানো যায়নি। অন্যান্য আর্থিক জালিয়াতি চলছে, তাই এটার ব্যাপারে আমি এখনো অনেক রক্ষণশীল"। বলছেন ড. ভট্টাচার্য।  Source Link (https://www.bbc.com/bengali/news-56064527)
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: iRan Chy on February 16, 2021, 05:45:56 AM
বিটকয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিবিসি বাংলা একটি চমৎকার পোস্ট করেছেন। যেটা বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও এর সাথে জড়িতদের জন্য পজিটিভ খবর। সকলের অবগতির জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-


ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মূল্য গত কিছুদিনে রাতারাতি বহুগুণ বেড়ে গেছে।

মার্কিন বিলিওনিয়ার এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দেড়'শ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এই ডিজিটাল মুদ্রার দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে।

এ প্রতিবেদনটি যখন প্রকাশিত হচ্ছে, তখন একটি বিটকয়েনের বাংলাদেশের টাকায় মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

কিন্তু বাংলাদেশের এই ডিজিটাল মুদ্রার কী অবস্থা?

বাংলাদেশে বিটকয়েন

যদিও বাংলাদেশে খুব সীমিত আকারে বিটকয়েন কেনাবেচার কথা জানা যাচ্ছে, তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা বা সংরক্ষণ করা বেআইনি বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বাংলাদেশে বিটকয়েনের কোন অনুমোদন নেই। যেহেতু অনুমোদন নেই, সুতরাং এই জাতীয় লেনদেন বৈধ নয়।

হ্যাকাররা চুরি করা অর্থ কেন দান করছে

বিটকয়েনের ব্যবসা নিষিদ্ধ করে ফতোয়া জারি

"যদি আমাদের নোটিশে এই জাতীয় লেনদেনের খবর আসে, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি"।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েনে লেনদেনের ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না বিধায় এর বিপরীতে আর্থিক দাবির কোন স্বীকৃতিও নেই।

ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে।

এ ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক এবং আইনগত ঝুঁকি রয়েছে বলে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নামবিহীন বা ছদ্মনামে প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে অনলাইনে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।”

এছাড়া, অনলাইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লেনদেনকারী গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ভবিষ্যতে বিটকয়েনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা নেই।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

বিটকয়েন কী?
বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এই মুদ্রার লেনদেন হয়ে থাকে।

২০০৮ সালের শেষের দিকে জাপানের একজন নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের কেউ বা একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ উদ্ভাবন করেন। যদিও এই ব্যক্তির আসল নাম বা পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

নতুন এই ভার্চুয়াল মুদ্রাকে বলা হয় বিটকয়েন।

২০১৩ সালের দিকে এই মুদ্রার দাম ১০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে দুইজন ব্যবহারকারীর মধ্যে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করেও এটা সরাসরি আদান-প্রদান (পিয়ার-টু-পিয়ার) করা হয়। এই লেনদেনের তথ্য ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে, কিন্তু এই মুদ্রার লেনদেন তদারকির জন্য কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো কর্তৃপক্ষ থাকে না। এই মাইনারের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয়।

বিটকয়েন তৈরি বা কেনার পর তা গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকে। পরবর্তীতে তিনি সেগুলো ব্যবহার করে পণ্য কিনতে পারেন বা বিক্রি করে দিতে পারেন। বিক্রি করলে বিটকয়েনের পরিবর্তে প্রচলিত অর্থে তা গ্রহণ করা যায়। বিভিন্ন কম্পিউটার ব্যবহার করে লেনদেন করা হলেও সেসব তথ্য কেন্দ্রীয় সার্ভারে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে।

বিটকয়েনকে অনেকেই ভবিষ্যতের মুদ্রা বলে মনে করেন।

যেহেতু বিটকয়েনে লেনদেনে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে না এবং এর লেনদেনের গতিবিধি অনুসরণ করা যায় না, ফলে এটা মাদক, কালোবাজারি ও অর্থ পাচারে এই ব্যবহার হচ্ছে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

গত কয়েক বছরে বিটকয়েনের ইকোসিস্টেম বা বাজার ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হয়েছে, অনলাইনে বিটকয়েন এক্সচেঞ্জও চালু হয়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশেই এখন বিটকয়েনের আইনি স্বীকৃতি আছে। তবে বাংলাদেশ, মিসর, আলজেরিয়া, মরক্কো প্রভৃতি দেশে বিটকয়েন এখনো নিষিদ্ধ।

বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,
বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি

বাংলাদেশে বিটকয়েনের ব্যবহার
বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহার অবৈধ হওয়ায় ঠিক কতো জন বিটকয়েন কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না।

তবে বিটকয়েন ও আউটসোর্সিং পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’বাংলাদেশে যারা আউটসোসিং করছেন, তাদের কেউ কেউ বিটকয়েন কেনাবেচা করে থাকেন। কিন্তু অবৈধ হওয়ায় সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না।‘’

তিনি জানান, সাধারণত বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গেই এই লেনদেন হয়ে থাকে। অর্থ আদান-প্রদানে বিদেশে থাকা বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনদের সহায়তা নেয়া হয়।

কয়েকবছর আগেও উচ্চ ক্ষমতার কম্পিউটার ব্যবহার করে বিদেশি সহযোগীদের সাথে মিলে বিটকয়েন মাইনিংয়ের কাজও করা হতো। কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসা আর বিদ্যুৎ ভোগান্তির কারণে এখন এই প্রবণতা কমে গেছে।

বাংলাদেশে কি বিটকয়েন বৈধ করার সময় এসেছে?
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ ভেতরে বেশ জটিল কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন এটার ব্যবসা এখন যেভাবে হচ্ছে, কেউ কিনে রেখে দিচ্ছেন, দাম বাড়লে আবার বিক্রি করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে যেমনটা হয়েছে, ভালোভাবে না বোঝার কারণে এখানেও কিন্তু প্রতারণার একটা সুযোগ রয়েছে।‘

বিটকয়েন বাংলাদেশে ব্যবহার করতে হলে আরও অনেক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

তবে ড. আহমেদ বলছেন, সেই সঙ্গে যেহেতু পৃথিবীতে এই মুদ্রা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, ফলে পুরোপুরি এটাকে অস্বীকার করারও উপায় নেই।

"ফলে পুরোপুরি বন্ধ না করে রেখে এটার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা করা উচিত। কারণ বিশ্বে যদি একসময় এটা প্রচলিত হয়ে ওঠে, তাহলে সেটার সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সুতরাং সেই জন্য প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একেবারে মুখ ফিরিয়ে না রেখে তাদের এটা নিয়ে গবেষণা করা, যৌক্তিকতা, অযৌক্তিকতা যাচাই করা তৈরি করা উচিত। বিটকয়েন কোথায় যাচ্ছে, সেটার দিকে নজর রাখা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে যদি বিটকয়েনের ওপর বড় লেনদেন করতে হয়, তখন বিপদে পড়তে হবে না"।

চীন এবং ভারতসহ কয়েকটি দেশ নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরির পরিকল্পনা করছে।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির অনুমতি দেয়ার আগে এটা নিয়ে আরও ভালো করে গবেষণা করে, পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের জ্যেষ্ঠ গবেষক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, ‘’আমি মনে করি, বাংলাদেশ এখনো এটার জন্য প্রস্তুত নয়। কারণ আমাদের মূল ধারার মুদ্রা ব্যবস্থাপনার বাইরে এটা হচ্ছে। শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এটার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক যে নীতি দরকার, সেটার অভাব রয়েছে। এটার ভেতর এখনো অনেক ধরণের ফটকাবাজি চলছে। এটা নিয়ে আসলে কোন ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি প্রস্তুতি নেই, তথ্যের অস্বচ্ছতাও আছে।‘’

"বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক পরিকাঠামো এখনো দুর্বল। শিডিউল ব্যাংকগুলো নাজুক অবস্থায় আছে, দেশ থেকে অর্থ পাচার রোধে বড় ধরণের কোন কার্যকারিতা দেখানো যায়নি। অন্যান্য আর্থিক জালিয়াতি চলছে, তাই এটার ব্যাপারে আমি এখনো অনেক রক্ষণশীল"। বলছেন ড. ভট্টাচার্য।  Source Link (https://www.bbc.com/bengali/news-56064527)
বাংলাদেশে বিটকয়েন বা কৃপ্টো বৈধ করার সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের উপরস্থ কর্মকর্তারা কোন কিছুর পজেটিভ দিকটা দেখার আগে নেগেটিভ দিকটা বেশি দেখে তাই এই অবস্থা। আমার মনে হয় সরকার যদি কৃপ্টো নিয়ে সঠিকভাবে গবেষণা করে, শীগ্রই বৈধতা পাবে বাংলাদেশে।       
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Mist Joya on February 16, 2021, 06:56:46 PM
বিটকয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিবিসি বাংলা একটি চমৎকার পোস্ট করেছেন। যেটা বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও এর সাথে জড়িতদের জন্য পজিটিভ খবর। সকলের অবগতির জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-


ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মূল্য গত কিছুদিনে রাতারাতি বহুগুণ বেড়ে গেছে।

মার্কিন বিলিওনিয়ার এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দেড়'শ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এই ডিজিটাল মুদ্রার দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে।

এ প্রতিবেদনটি যখন প্রকাশিত হচ্ছে, তখন একটি বিটকয়েনের বাংলাদেশের টাকায় মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

কিন্তু বাংলাদেশের এই ডিজিটাল মুদ্রার কী অবস্থা?

বাংলাদেশে বিটকয়েন

যদিও বাংলাদেশে খুব সীমিত আকারে বিটকয়েন কেনাবেচার কথা জানা যাচ্ছে, তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা বা সংরক্ষণ করা বেআইনি বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বাংলাদেশে বিটকয়েনের কোন অনুমোদন নেই। যেহেতু অনুমোদন নেই, সুতরাং এই জাতীয় লেনদেন বৈধ নয়।

হ্যাকাররা চুরি করা অর্থ কেন দান করছে

বিটকয়েনের ব্যবসা নিষিদ্ধ করে ফতোয়া জারি

"যদি আমাদের নোটিশে এই জাতীয় লেনদেনের খবর আসে, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি"।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েনে লেনদেনের ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না বিধায় এর বিপরীতে আর্থিক দাবির কোন স্বীকৃতিও নেই।

ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে।

এ ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক এবং আইনগত ঝুঁকি রয়েছে বলে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নামবিহীন বা ছদ্মনামে প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে অনলাইনে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।”

এছাড়া, অনলাইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লেনদেনকারী গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ভবিষ্যতে বিটকয়েনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা নেই।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

বিটকয়েন কী?
বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এই মুদ্রার লেনদেন হয়ে থাকে।

২০০৮ সালের শেষের দিকে জাপানের একজন নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের কেউ বা একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ উদ্ভাবন করেন। যদিও এই ব্যক্তির আসল নাম বা পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

নতুন এই ভার্চুয়াল মুদ্রাকে বলা হয় বিটকয়েন।

২০১৩ সালের দিকে এই মুদ্রার দাম ১০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে দুইজন ব্যবহারকারীর মধ্যে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করেও এটা সরাসরি আদান-প্রদান (পিয়ার-টু-পিয়ার) করা হয়। এই লেনদেনের তথ্য ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে, কিন্তু এই মুদ্রার লেনদেন তদারকির জন্য কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো কর্তৃপক্ষ থাকে না। এই মাইনারের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয়।

বিটকয়েন তৈরি বা কেনার পর তা গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকে। পরবর্তীতে তিনি সেগুলো ব্যবহার করে পণ্য কিনতে পারেন বা বিক্রি করে দিতে পারেন। বিক্রি করলে বিটকয়েনের পরিবর্তে প্রচলিত অর্থে তা গ্রহণ করা যায়। বিভিন্ন কম্পিউটার ব্যবহার করে লেনদেন করা হলেও সেসব তথ্য কেন্দ্রীয় সার্ভারে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে।

বিটকয়েনকে অনেকেই ভবিষ্যতের মুদ্রা বলে মনে করেন।

যেহেতু বিটকয়েনে লেনদেনে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে না এবং এর লেনদেনের গতিবিধি অনুসরণ করা যায় না, ফলে এটা মাদক, কালোবাজারি ও অর্থ পাচারে এই ব্যবহার হচ্ছে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

গত কয়েক বছরে বিটকয়েনের ইকোসিস্টেম বা বাজার ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হয়েছে, অনলাইনে বিটকয়েন এক্সচেঞ্জও চালু হয়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশেই এখন বিটকয়েনের আইনি স্বীকৃতি আছে। তবে বাংলাদেশ, মিসর, আলজেরিয়া, মরক্কো প্রভৃতি দেশে বিটকয়েন এখনো নিষিদ্ধ।

বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,
বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি

বাংলাদেশে বিটকয়েনের ব্যবহার
বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহার অবৈধ হওয়ায় ঠিক কতো জন বিটকয়েন কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না।

তবে বিটকয়েন ও আউটসোর্সিং পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’বাংলাদেশে যারা আউটসোসিং করছেন, তাদের কেউ কেউ বিটকয়েন কেনাবেচা করে থাকেন। কিন্তু অবৈধ হওয়ায় সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না।‘’

তিনি জানান, সাধারণত বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গেই এই লেনদেন হয়ে থাকে। অর্থ আদান-প্রদানে বিদেশে থাকা বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনদের সহায়তা নেয়া হয়।

কয়েকবছর আগেও উচ্চ ক্ষমতার কম্পিউটার ব্যবহার করে বিদেশি সহযোগীদের সাথে মিলে বিটকয়েন মাইনিংয়ের কাজও করা হতো। কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসা আর বিদ্যুৎ ভোগান্তির কারণে এখন এই প্রবণতা কমে গেছে।

বাংলাদেশে কি বিটকয়েন বৈধ করার সময় এসেছে?
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ ভেতরে বেশ জটিল কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন এটার ব্যবসা এখন যেভাবে হচ্ছে, কেউ কিনে রেখে দিচ্ছেন, দাম বাড়লে আবার বিক্রি করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে যেমনটা হয়েছে, ভালোভাবে না বোঝার কারণে এখানেও কিন্তু প্রতারণার একটা সুযোগ রয়েছে।‘

বিটকয়েন বাংলাদেশে ব্যবহার করতে হলে আরও অনেক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

তবে ড. আহমেদ বলছেন, সেই সঙ্গে যেহেতু পৃথিবীতে এই মুদ্রা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, ফলে পুরোপুরি এটাকে অস্বীকার করারও উপায় নেই।

"ফলে পুরোপুরি বন্ধ না করে রেখে এটার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা করা উচিত। কারণ বিশ্বে যদি একসময় এটা প্রচলিত হয়ে ওঠে, তাহলে সেটার সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সুতরাং সেই জন্য প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একেবারে মুখ ফিরিয়ে না রেখে তাদের এটা নিয়ে গবেষণা করা, যৌক্তিকতা, অযৌক্তিকতা যাচাই করা তৈরি করা উচিত। বিটকয়েন কোথায় যাচ্ছে, সেটার দিকে নজর রাখা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে যদি বিটকয়েনের ওপর বড় লেনদেন করতে হয়, তখন বিপদে পড়তে হবে না"।

চীন এবং ভারতসহ কয়েকটি দেশ নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরির পরিকল্পনা করছে।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির অনুমতি দেয়ার আগে এটা নিয়ে আরও ভালো করে গবেষণা করে, পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের জ্যেষ্ঠ গবেষক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, ‘’আমি মনে করি, বাংলাদেশ এখনো এটার জন্য প্রস্তুত নয়। কারণ আমাদের মূল ধারার মুদ্রা ব্যবস্থাপনার বাইরে এটা হচ্ছে। শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এটার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক যে নীতি দরকার, সেটার অভাব রয়েছে। এটার ভেতর এখনো অনেক ধরণের ফটকাবাজি চলছে। এটা নিয়ে আসলে কোন ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি প্রস্তুতি নেই, তথ্যের অস্বচ্ছতাও আছে।‘’

"বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক পরিকাঠামো এখনো দুর্বল। শিডিউল ব্যাংকগুলো নাজুক অবস্থায় আছে, দেশ থেকে অর্থ পাচার রোধে বড় ধরণের কোন কার্যকারিতা দেখানো যায়নি। অন্যান্য আর্থিক জালিয়াতি চলছে, তাই এটার ব্যাপারে আমি এখনো অনেক রক্ষণশীল"। বলছেন ড. ভট্টাচার্য।  Source Link (https://www.bbc.com/bengali/news-56064527)
  প্রথমত আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি মূল্যবান পোষ্ট করার জন্য এবং তথ্যবহুল পোষ্ট করার জন্য  তবে আমার মনে হয় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে একটি সমুদ্র বৈধ করার সময় আসেনি  কারণ সরকার নানান দিক দিক বিবেচনা করে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে ক্রিপ্টোকারেন্সি  বৈধ করা যাবে কিনা  কারণ হচ্ছে আমার মনে হয় বাংলাদেশের প্রশাসনিক লোক এবং সরকার অব্দি কতগুলো লোক আছে তারা এখনো পর্যন্ত এই ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে ভালো কিছু জানেন না  ধন্যবাদ ।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Mj joy on February 20, 2021, 07:21:02 AM
বিটকয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিবিসি বাংলা একটি চমৎকার পোস্ট করেছেন। যেটা বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও এর সাথে জড়িতদের জন্য পজিটিভ খবর। সকলের অবগতির জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-


ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মূল্য গত কিছুদিনে রাতারাতি বহুগুণ বেড়ে গেছে।

মার্কিন বিলিওনিয়ার এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দেড়'শ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এই ডিজিটাল মুদ্রার দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে।

এ প্রতিবেদনটি যখন প্রকাশিত হচ্ছে, তখন একটি বিটকয়েনের বাংলাদেশের টাকায় মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

কিন্তু বাংলাদেশের এই ডিজিটাল মুদ্রার কী অবস্থা?

বাংলাদেশে বিটকয়েন

যদিও বাংলাদেশে খুব সীমিত আকারে বিটকয়েন কেনাবেচার কথা জানা যাচ্ছে, তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা বা সংরক্ষণ করা বেআইনি বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বাংলাদেশে বিটকয়েনের কোন অনুমোদন নেই। যেহেতু অনুমোদন নেই, সুতরাং এই জাতীয় লেনদেন বৈধ নয়।

হ্যাকাররা চুরি করা অর্থ কেন দান করছে

বিটকয়েনের ব্যবসা নিষিদ্ধ করে ফতোয়া জারি

"যদি আমাদের নোটিশে এই জাতীয় লেনদেনের খবর আসে, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি"।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েনে লেনদেনের ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না বিধায় এর বিপরীতে আর্থিক দাবির কোন স্বীকৃতিও নেই।

ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে।

এ ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক এবং আইনগত ঝুঁকি রয়েছে বলে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নামবিহীন বা ছদ্মনামে প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে অনলাইনে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।”

এছাড়া, অনলাইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লেনদেনকারী গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ভবিষ্যতে বিটকয়েনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা নেই।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

বিটকয়েন কী?
বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এই মুদ্রার লেনদেন হয়ে থাকে।

২০০৮ সালের শেষের দিকে জাপানের একজন নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের কেউ বা একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ উদ্ভাবন করেন। যদিও এই ব্যক্তির আসল নাম বা পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

নতুন এই ভার্চুয়াল মুদ্রাকে বলা হয় বিটকয়েন।

২০১৩ সালের দিকে এই মুদ্রার দাম ১০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে দুইজন ব্যবহারকারীর মধ্যে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করেও এটা সরাসরি আদান-প্রদান (পিয়ার-টু-পিয়ার) করা হয়। এই লেনদেনের তথ্য ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে, কিন্তু এই মুদ্রার লেনদেন তদারকির জন্য কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো কর্তৃপক্ষ থাকে না। এই মাইনারের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয়।

বিটকয়েন তৈরি বা কেনার পর তা গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকে। পরবর্তীতে তিনি সেগুলো ব্যবহার করে পণ্য কিনতে পারেন বা বিক্রি করে দিতে পারেন। বিক্রি করলে বিটকয়েনের পরিবর্তে প্রচলিত অর্থে তা গ্রহণ করা যায়। বিভিন্ন কম্পিউটার ব্যবহার করে লেনদেন করা হলেও সেসব তথ্য কেন্দ্রীয় সার্ভারে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে।

বিটকয়েনকে অনেকেই ভবিষ্যতের মুদ্রা বলে মনে করেন।

যেহেতু বিটকয়েনে লেনদেনে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে না এবং এর লেনদেনের গতিবিধি অনুসরণ করা যায় না, ফলে এটা মাদক, কালোবাজারি ও অর্থ পাচারে এই ব্যবহার হচ্ছে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

গত কয়েক বছরে বিটকয়েনের ইকোসিস্টেম বা বাজার ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হয়েছে, অনলাইনে বিটকয়েন এক্সচেঞ্জও চালু হয়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশেই এখন বিটকয়েনের আইনি স্বীকৃতি আছে। তবে বাংলাদেশ, মিসর, আলজেরিয়া, মরক্কো প্রভৃতি দেশে বিটকয়েন এখনো নিষিদ্ধ।

বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,
বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি

বাংলাদেশে বিটকয়েনের ব্যবহার
বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহার অবৈধ হওয়ায় ঠিক কতো জন বিটকয়েন কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না।

তবে বিটকয়েন ও আউটসোর্সিং পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’বাংলাদেশে যারা আউটসোসিং করছেন, তাদের কেউ কেউ বিটকয়েন কেনাবেচা করে থাকেন। কিন্তু অবৈধ হওয়ায় সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না।‘’

তিনি জানান, সাধারণত বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গেই এই লেনদেন হয়ে থাকে। অর্থ আদান-প্রদানে বিদেশে থাকা বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনদের সহায়তা নেয়া হয়।

কয়েকবছর আগেও উচ্চ ক্ষমতার কম্পিউটার ব্যবহার করে বিদেশি সহযোগীদের সাথে মিলে বিটকয়েন মাইনিংয়ের কাজও করা হতো। কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসা আর বিদ্যুৎ ভোগান্তির কারণে এখন এই প্রবণতা কমে গেছে।

বাংলাদেশে কি বিটকয়েন বৈধ করার সময় এসেছে?
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ ভেতরে বেশ জটিল কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন এটার ব্যবসা এখন যেভাবে হচ্ছে, কেউ কিনে রেখে দিচ্ছেন, দাম বাড়লে আবার বিক্রি করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে যেমনটা হয়েছে, ভালোভাবে না বোঝার কারণে এখানেও কিন্তু প্রতারণার একটা সুযোগ রয়েছে।‘

বিটকয়েন বাংলাদেশে ব্যবহার করতে হলে আরও অনেক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

তবে ড. আহমেদ বলছেন, সেই সঙ্গে যেহেতু পৃথিবীতে এই মুদ্রা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, ফলে পুরোপুরি এটাকে অস্বীকার করারও উপায় নেই।

"ফলে পুরোপুরি বন্ধ না করে রেখে এটার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা করা উচিত। কারণ বিশ্বে যদি একসময় এটা প্রচলিত হয়ে ওঠে, তাহলে সেটার সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সুতরাং সেই জন্য প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একেবারে মুখ ফিরিয়ে না রেখে তাদের এটা নিয়ে গবেষণা করা, যৌক্তিকতা, অযৌক্তিকতা যাচাই করা তৈরি করা উচিত। বিটকয়েন কোথায় যাচ্ছে, সেটার দিকে নজর রাখা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে যদি বিটকয়েনের ওপর বড় লেনদেন করতে হয়, তখন বিপদে পড়তে হবে না"।

চীন এবং ভারতসহ কয়েকটি দেশ নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরির পরিকল্পনা করছে।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির অনুমতি দেয়ার আগে এটা নিয়ে আরও ভালো করে গবেষণা করে, পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের জ্যেষ্ঠ গবেষক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, ‘’আমি মনে করি, বাংলাদেশ এখনো এটার জন্য প্রস্তুত নয়। কারণ আমাদের মূল ধারার মুদ্রা ব্যবস্থাপনার বাইরে এটা হচ্ছে। শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এটার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক যে নীতি দরকার, সেটার অভাব রয়েছে। এটার ভেতর এখনো অনেক ধরণের ফটকাবাজি চলছে। এটা নিয়ে আসলে কোন ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি প্রস্তুতি নেই, তথ্যের অস্বচ্ছতাও আছে।‘’

"বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক পরিকাঠামো এখনো দুর্বল। শিডিউল ব্যাংকগুলো নাজুক অবস্থায় আছে, দেশ থেকে অর্থ পাচার রোধে বড় ধরণের কোন কার্যকারিতা দেখানো যায়নি। অন্যান্য আর্থিক জালিয়াতি চলছে, তাই এটার ব্যাপারে আমি এখনো অনেক রক্ষণশীল"। বলছেন ড. ভট্টাচার্য।  Source Link (https://www.bbc.com/bengali/news-56064527)
  আমার মনে হয়  বাংলাদেশের বর্তমান যে অবস্থা  তাতে এটা বৈধ করা সম্ভব নয়  কারণ বাংলাদেশের উপর মহলে কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত এর ভালো কিছু ধারনা আনতে পারেনি ।  কারণ বাংলাদেশের  সাংবাদিকরা যেরকম সংবাদ প্রচার করছে তা দেখে আমার মনে হয়  সরকার পর্যন্ত এই ক্রিপ্টোকারেন্সির ভালো কিছু এখন পর্যন্ত পৌঁছায়নি।    তাই তারা এটা সম্পর্কে  তেমন অবগত নন ।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: NANCY on March 04, 2021, 01:46:57 PM
বাংলাদেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় প্রায় এসেছে। বর্তমানে আমাদের দেশের যে অবস্থা হয়েছে তবে আমি মনে করি যে এই বিটকয়েন কে বাংলাদেশ সরকার বৈধ ঘোষণা করুক। তবে আমার মনে হয় 2023 সালের মধ্যে আমাদের দেশেও বৈধ ঘোষণা করবে।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: LazY on March 06, 2021, 08:07:09 PM
হ্যাঁ বাংলাদেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে।বাংলাদেশি যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করে দেয়া হয় তাহলে বাংলাদেশে অনেকটাই উন্নতির পথে পা বাড়াবে । ইতিমধ্যে সারাবিশ্বে যতগুলো উন্নত দেশগুলো রয়েছে সেগুলোতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ ঘোষণা করেছে। আমি মনে করি আমাদের বাংলাদেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করে দেওয়া প্রয়োজন।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Milon626 on March 14, 2021, 06:13:06 AM
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি যে আমাদের বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে বৈধতা  দেওয়ার সময় এসে গেছে।  কারণ আমাদের বাংলাদেশে এখন তথ্য প্রযুক্তিগত দিক থেকে ভালোই উন্নত হয়েছে।  এখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপর অনেক বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।  তাই এখন আমাদের দেশেও ক্রিপ্টোকারেন্সিকে বৈধতা দেওয়া যেতে পারে।                                     
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Rothi roy on March 14, 2021, 11:00:49 AM
ধন্যবাদ আপনাকে এত মূল্যবান ও তথ্যবহুল পোষ্ট করার জন্য।

সবার মত আমার মনে হয় বাংলাদেশে বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সিকে বৈধতা দেওয়ার সময় এসে গেছে। এই ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে যুক্ত হয়ে অনেক বেকার তাদের বেকারত্ব ঘুচিয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশ যেভাবে তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে আমার মনে হয় বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও ক্রিপ্টোকারেন্সি কে বৈধতা দেবে।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Tubelight on March 19, 2021, 04:29:53 PM
বিটকয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিবিসি বাংলা একটি চমৎকার পোস্ট করেছেন। যেটা বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও এর সাথে জড়িতদের জন্য পজিটিভ খবর। সকলের অবগতির জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-


ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মূল্য গত কিছুদিনে রাতারাতি বহুগুণ বেড়ে গেছে।

মার্কিন বিলিওনিয়ার এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দেড়'শ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এই ডিজিটাল মুদ্রার দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে।

এ প্রতিবেদনটি যখন প্রকাশিত হচ্ছে, তখন একটি বিটকয়েনের বাংলাদেশের টাকায় মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

কিন্তু বাংলাদেশের এই ডিজিটাল মুদ্রার কী অবস্থা?

বাংলাদেশে বিটকয়েন

যদিও বাংলাদেশে খুব সীমিত আকারে বিটকয়েন কেনাবেচার কথা জানা যাচ্ছে, তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা বা সংরক্ষণ করা বেআইনি বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বাংলাদেশে বিটকয়েনের কোন অনুমোদন নেই। যেহেতু অনুমোদন নেই, সুতরাং এই জাতীয় লেনদেন বৈধ নয়।

হ্যাকাররা চুরি করা অর্থ কেন দান করছে

বিটকয়েনের ব্যবসা নিষিদ্ধ করে ফতোয়া জারি

"যদি আমাদের নোটিশে এই জাতীয় লেনদেনের খবর আসে, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি"।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েনে লেনদেনের ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না বিধায় এর বিপরীতে আর্থিক দাবির কোন স্বীকৃতিও নেই।

ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে।

এ ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক এবং আইনগত ঝুঁকি রয়েছে বলে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নামবিহীন বা ছদ্মনামে প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে অনলাইনে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।”

এছাড়া, অনলাইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লেনদেনকারী গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ভবিষ্যতে বিটকয়েনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা নেই।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

বিটকয়েন কী?
বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এই মুদ্রার লেনদেন হয়ে থাকে।

২০০৮ সালের শেষের দিকে জাপানের একজন নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের কেউ বা একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ উদ্ভাবন করেন। যদিও এই ব্যক্তির আসল নাম বা পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

নতুন এই ভার্চুয়াল মুদ্রাকে বলা হয় বিটকয়েন।

২০১৩ সালের দিকে এই মুদ্রার দাম ১০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে দুইজন ব্যবহারকারীর মধ্যে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করেও এটা সরাসরি আদান-প্রদান (পিয়ার-টু-পিয়ার) করা হয়। এই লেনদেনের তথ্য ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে, কিন্তু এই মুদ্রার লেনদেন তদারকির জন্য কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো কর্তৃপক্ষ থাকে না। এই মাইনারের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয়।

বিটকয়েন তৈরি বা কেনার পর তা গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকে। পরবর্তীতে তিনি সেগুলো ব্যবহার করে পণ্য কিনতে পারেন বা বিক্রি করে দিতে পারেন। বিক্রি করলে বিটকয়েনের পরিবর্তে প্রচলিত অর্থে তা গ্রহণ করা যায়। বিভিন্ন কম্পিউটার ব্যবহার করে লেনদেন করা হলেও সেসব তথ্য কেন্দ্রীয় সার্ভারে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে।

বিটকয়েনকে অনেকেই ভবিষ্যতের মুদ্রা বলে মনে করেন।

যেহেতু বিটকয়েনে লেনদেনে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে না এবং এর লেনদেনের গতিবিধি অনুসরণ করা যায় না, ফলে এটা মাদক, কালোবাজারি ও অর্থ পাচারে এই ব্যবহার হচ্ছে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

গত কয়েক বছরে বিটকয়েনের ইকোসিস্টেম বা বাজার ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হয়েছে, অনলাইনে বিটকয়েন এক্সচেঞ্জও চালু হয়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশেই এখন বিটকয়েনের আইনি স্বীকৃতি আছে। তবে বাংলাদেশ, মিসর, আলজেরিয়া, মরক্কো প্রভৃতি দেশে বিটকয়েন এখনো নিষিদ্ধ।

বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,
বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি

বাংলাদেশে বিটকয়েনের ব্যবহার
বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহার অবৈধ হওয়ায় ঠিক কতো জন বিটকয়েন কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না।

তবে বিটকয়েন ও আউটসোর্সিং পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’বাংলাদেশে যারা আউটসোসিং করছেন, তাদের কেউ কেউ বিটকয়েন কেনাবেচা করে থাকেন। কিন্তু অবৈধ হওয়ায় সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না।‘’

তিনি জানান, সাধারণত বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গেই এই লেনদেন হয়ে থাকে। অর্থ আদান-প্রদানে বিদেশে থাকা বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনদের সহায়তা নেয়া হয়।

কয়েকবছর আগেও উচ্চ ক্ষমতার কম্পিউটার ব্যবহার করে বিদেশি সহযোগীদের সাথে মিলে বিটকয়েন মাইনিংয়ের কাজও করা হতো। কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসা আর বিদ্যুৎ ভোগান্তির কারণে এখন এই প্রবণতা কমে গেছে।

বাংলাদেশে কি বিটকয়েন বৈধ করার সময় এসেছে?
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ ভেতরে বেশ জটিল কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন এটার ব্যবসা এখন যেভাবে হচ্ছে, কেউ কিনে রেখে দিচ্ছেন, দাম বাড়লে আবার বিক্রি করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে যেমনটা হয়েছে, ভালোভাবে না বোঝার কারণে এখানেও কিন্তু প্রতারণার একটা সুযোগ রয়েছে।‘

বিটকয়েন বাংলাদেশে ব্যবহার করতে হলে আরও অনেক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

তবে ড. আহমেদ বলছেন, সেই সঙ্গে যেহেতু পৃথিবীতে এই মুদ্রা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, ফলে পুরোপুরি এটাকে অস্বীকার করারও উপায় নেই।

"ফলে পুরোপুরি বন্ধ না করে রেখে এটার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা করা উচিত। কারণ বিশ্বে যদি একসময় এটা প্রচলিত হয়ে ওঠে, তাহলে সেটার সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সুতরাং সেই জন্য প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একেবারে মুখ ফিরিয়ে না রেখে তাদের এটা নিয়ে গবেষণা করা, যৌক্তিকতা, অযৌক্তিকতা যাচাই করা তৈরি করা উচিত। বিটকয়েন কোথায় যাচ্ছে, সেটার দিকে নজর রাখা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে যদি বিটকয়েনের ওপর বড় লেনদেন করতে হয়, তখন বিপদে পড়তে হবে না"।

চীন এবং ভারতসহ কয়েকটি দেশ নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরির পরিকল্পনা করছে।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির অনুমতি দেয়ার আগে এটা নিয়ে আরও ভালো করে গবেষণা করে, পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের জ্যেষ্ঠ গবেষক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, ‘’আমি মনে করি, বাংলাদেশ এখনো এটার জন্য প্রস্তুত নয়। কারণ আমাদের মূল ধারার মুদ্রা ব্যবস্থাপনার বাইরে এটা হচ্ছে। শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এটার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক যে নীতি দরকার, সেটার অভাব রয়েছে। এটার ভেতর এখনো অনেক ধরণের ফটকাবাজি চলছে। এটা নিয়ে আসলে কোন ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি প্রস্তুতি নেই, তথ্যের অস্বচ্ছতাও আছে।‘’

"বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক পরিকাঠামো এখনো দুর্বল। শিডিউল ব্যাংকগুলো নাজুক অবস্থায় আছে, দেশ থেকে অর্থ পাচার রোধে বড় ধরণের কোন কার্যকারিতা দেখানো যায়নি। অন্যান্য আর্থিক জালিয়াতি চলছে, তাই এটার ব্যাপারে আমি এখনো অনেক রক্ষণশীল"। বলছেন ড. ভট্টাচার্য।  Source Link (https://www.bbc.com/bengali/news-56064527)
ভাই আমি আপনার সাথে একমত আমি মনে করি বাংলাদেশ এখন সময় এসেছে বিটকয়েন কে বৈধ করার। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। মোটামুটি ভাবে বাংলাদেশকে একটা উন্নত দেশ বললে ভুল হবে না।এখন যদি বাংলাদেশ া ক্রিপ্টোকারেন্সি এর অনুমোদন পায় তাহলে আমি মনে করি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও উন্নত হবে।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: HeartBit143 on March 24, 2021, 02:45:37 AM
আমি মনে করি আমাদের বাংলাদেশে এখন বিটকয়েন বৈধতা দেওয়ার সময় হয়েছে।  আমাদের দেশ বিশ্বের অন্যান্ন উন্নত রাষ্ট্র গুলোর সাথে এখন কিছুটা তাল মিলিয়ে চলতে শিখেছে।  এখন আমাদের দেশও প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেকটা ভালো এগিয়ে গিয়েছে।  তাই আমার মনে হয় যে এখান আমাদের দেশেও ডিজিটাল কারেন্সি তথা বিটকয়েনকে বৈধতা দিতে পারে।                                   
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Dark Knight on April 04, 2021, 02:56:27 PM
বিটকয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিবিসি বাংলা একটি চমৎকার পোস্ট করেছেন। যেটা বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও এর সাথে জড়িতদের জন্য পজিটিভ খবর। সকলের অবগতির জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-


ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মূল্য গত কিছুদিনে রাতারাতি বহুগুণ বেড়ে গেছে।

মার্কিন বিলিওনিয়ার এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দেড়'শ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এই ডিজিটাল মুদ্রার দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে।

এ প্রতিবেদনটি যখন প্রকাশিত হচ্ছে, তখন একটি বিটকয়েনের বাংলাদেশের টাকায় মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

কিন্তু বাংলাদেশের এই ডিজিটাল মুদ্রার কী অবস্থা?

বাংলাদেশে বিটকয়েন

যদিও বাংলাদেশে খুব সীমিত আকারে বিটকয়েন কেনাবেচার কথা জানা যাচ্ছে, তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা বা সংরক্ষণ করা বেআইনি বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বাংলাদেশে বিটকয়েনের কোন অনুমোদন নেই। যেহেতু অনুমোদন নেই, সুতরাং এই জাতীয় লেনদেন বৈধ নয়।

হ্যাকাররা চুরি করা অর্থ কেন দান করছে

বিটকয়েনের ব্যবসা নিষিদ্ধ করে ফতোয়া জারি

"যদি আমাদের নোটিশে এই জাতীয় লেনদেনের খবর আসে, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি"।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েনে লেনদেনের ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না বিধায় এর বিপরীতে আর্থিক দাবির কোন স্বীকৃতিও নেই।

ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে।

এ ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক এবং আইনগত ঝুঁকি রয়েছে বলে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নামবিহীন বা ছদ্মনামে প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে অনলাইনে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।”

এছাড়া, অনলাইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লেনদেনকারী গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ভবিষ্যতে বিটকয়েনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা নেই।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

বিটকয়েন কী?
বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এই মুদ্রার লেনদেন হয়ে থাকে।

২০০৮ সালের শেষের দিকে জাপানের একজন নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের কেউ বা একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ উদ্ভাবন করেন। যদিও এই ব্যক্তির আসল নাম বা পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

নতুন এই ভার্চুয়াল মুদ্রাকে বলা হয় বিটকয়েন।

২০১৩ সালের দিকে এই মুদ্রার দাম ১০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে দুইজন ব্যবহারকারীর মধ্যে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করেও এটা সরাসরি আদান-প্রদান (পিয়ার-টু-পিয়ার) করা হয়। এই লেনদেনের তথ্য ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে, কিন্তু এই মুদ্রার লেনদেন তদারকির জন্য কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো কর্তৃপক্ষ থাকে না। এই মাইনারের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয়।

বিটকয়েন তৈরি বা কেনার পর তা গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকে। পরবর্তীতে তিনি সেগুলো ব্যবহার করে পণ্য কিনতে পারেন বা বিক্রি করে দিতে পারেন। বিক্রি করলে বিটকয়েনের পরিবর্তে প্রচলিত অর্থে তা গ্রহণ করা যায়। বিভিন্ন কম্পিউটার ব্যবহার করে লেনদেন করা হলেও সেসব তথ্য কেন্দ্রীয় সার্ভারে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে।

বিটকয়েনকে অনেকেই ভবিষ্যতের মুদ্রা বলে মনে করেন।

যেহেতু বিটকয়েনে লেনদেনে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে না এবং এর লেনদেনের গতিবিধি অনুসরণ করা যায় না, ফলে এটা মাদক, কালোবাজারি ও অর্থ পাচারে এই ব্যবহার হচ্ছে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

গত কয়েক বছরে বিটকয়েনের ইকোসিস্টেম বা বাজার ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হয়েছে, অনলাইনে বিটকয়েন এক্সচেঞ্জও চালু হয়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশেই এখন বিটকয়েনের আইনি স্বীকৃতি আছে। তবে বাংলাদেশ, মিসর, আলজেরিয়া, মরক্কো প্রভৃতি দেশে বিটকয়েন এখনো নিষিদ্ধ।

বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,
বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি

বাংলাদেশে বিটকয়েনের ব্যবহার
বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহার অবৈধ হওয়ায় ঠিক কতো জন বিটকয়েন কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না।

তবে বিটকয়েন ও আউটসোর্সিং পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’বাংলাদেশে যারা আউটসোসিং করছেন, তাদের কেউ কেউ বিটকয়েন কেনাবেচা করে থাকেন। কিন্তু অবৈধ হওয়ায় সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না।‘’

তিনি জানান, সাধারণত বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গেই এই লেনদেন হয়ে থাকে। অর্থ আদান-প্রদানে বিদেশে থাকা বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনদের সহায়তা নেয়া হয়।

কয়েকবছর আগেও উচ্চ ক্ষমতার কম্পিউটার ব্যবহার করে বিদেশি সহযোগীদের সাথে মিলে বিটকয়েন মাইনিংয়ের কাজও করা হতো। কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসা আর বিদ্যুৎ ভোগান্তির কারণে এখন এই প্রবণতা কমে গেছে।

বাংলাদেশে কি বিটকয়েন বৈধ করার সময় এসেছে?
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ ভেতরে বেশ জটিল কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন এটার ব্যবসা এখন যেভাবে হচ্ছে, কেউ কিনে রেখে দিচ্ছেন, দাম বাড়লে আবার বিক্রি করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে যেমনটা হয়েছে, ভালোভাবে না বোঝার কারণে এখানেও কিন্তু প্রতারণার একটা সুযোগ রয়েছে।‘

বিটকয়েন বাংলাদেশে ব্যবহার করতে হলে আরও অনেক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

তবে ড. আহমেদ বলছেন, সেই সঙ্গে যেহেতু পৃথিবীতে এই মুদ্রা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, ফলে পুরোপুরি এটাকে অস্বীকার করারও উপায় নেই।

"ফলে পুরোপুরি বন্ধ না করে রেখে এটার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা করা উচিত। কারণ বিশ্বে যদি একসময় এটা প্রচলিত হয়ে ওঠে, তাহলে সেটার সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সুতরাং সেই জন্য প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একেবারে মুখ ফিরিয়ে না রেখে তাদের এটা নিয়ে গবেষণা করা, যৌক্তিকতা, অযৌক্তিকতা যাচাই করা তৈরি করা উচিত। বিটকয়েন কোথায় যাচ্ছে, সেটার দিকে নজর রাখা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে যদি বিটকয়েনের ওপর বড় লেনদেন করতে হয়, তখন বিপদে পড়তে হবে না"।

চীন এবং ভারতসহ কয়েকটি দেশ নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরির পরিকল্পনা করছে।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির অনুমতি দেয়ার আগে এটা নিয়ে আরও ভালো করে গবেষণা করে, পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের জ্যেষ্ঠ গবেষক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, ‘’আমি মনে করি, বাংলাদেশ এখনো এটার জন্য প্রস্তুত নয়। কারণ আমাদের মূল ধারার মুদ্রা ব্যবস্থাপনার বাইরে এটা হচ্ছে। শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এটার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক যে নীতি দরকার, সেটার অভাব রয়েছে। এটার ভেতর এখনো অনেক ধরণের ফটকাবাজি চলছে। এটা নিয়ে আসলে কোন ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি প্রস্তুতি নেই, তথ্যের অস্বচ্ছতাও আছে।‘’

"বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক পরিকাঠামো এখনো দুর্বল। শিডিউল ব্যাংকগুলো নাজুক অবস্থায় আছে, দেশ থেকে অর্থ পাচার রোধে বড় ধরণের কোন কার্যকারিতা দেখানো যায়নি। অন্যান্য আর্থিক জালিয়াতি চলছে, তাই এটার ব্যাপারে আমি এখনো অনেক রক্ষণশীল"। বলছেন ড. ভট্টাচার্য।  Source Link (https://www.bbc.com/bengali/news-56064527)
বাংলাদেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় অনেক আগেই এসেছে। বাংলাদেশ কিন্তু এখন একটি উন্নতশীল দেশে পরিণত হয়েছে। এমনকি একটি ডিজিটাল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত। কিন্তু ডিজিটাল দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেন বৈধ নয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ গুলোতে যখন বিটকয়েন তথা ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ সেখানে কিন্তু বাংলাদেশে বৈধ নয়। এই দিক থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরো অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী হবে। আমাদের দেশের সরকারের উচিত দ্রুত ক্রিপ্টোকারেন্সি কে বৈধ ঘোষণা করা।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Random203 on April 19, 2021, 08:04:07 AM
আমাদের বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত দিকে তেমন কোন উন্নতি নেই।  কিন্তু বিটকয়েন হলো প্রযুক্তি নির্ভর একটি ভারচুয়াল মুদ্রা যার নিয়ন্ত্রণ কারো কাছে নেই। এটি লেনদেনে কারো কাছে কোন প্রকার প্রমান থাকে না, এটি লেনদেনে কোন প্রকার তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপও থাকে না। আর আমাদের বাংলাদেশের সরকার এতো কিছু তদারকি করার মতো সক্ষমতা অর্জন এখনো করতে পারেনি।  আর তাই আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের দেশে এখনো বিটকয়েন বৈধ  করার সময় আসেনি।                                       
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: raisajahan on April 22, 2021, 06:50:15 PM
বাংলাদেশ কেন সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে ক্রিপ্টো কারেন্সি তথা ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলন বৃদ্ধি পাচ্ছে সুতরাং সারা পৃথিবীর মানুষের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিটকয়েন কে বাংলাদেশে বৈধতা দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Sinthia on May 30, 2021, 07:23:44 PM
বিটকয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিবিসি বাংলা একটি চমৎকার পোস্ট করেছেন। যেটা বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও এর সাথে জড়িতদের জন্য পজিটিভ খবর। সকলের অবগতির জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-


ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মূল্য গত কিছুদিনে রাতারাতি বহুগুণ বেড়ে গেছে।

মার্কিন বিলিওনিয়ার এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দেড়'শ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এই ডিজিটাল মুদ্রার দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে।

এ প্রতিবেদনটি যখন প্রকাশিত হচ্ছে, তখন একটি বিটকয়েনের বাংলাদেশের টাকায় মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

কিন্তু বাংলাদেশের এই ডিজিটাল মুদ্রার কী অবস্থা?

বাংলাদেশে বিটকয়েন

যদিও বাংলাদেশে খুব সীমিত আকারে বিটকয়েন কেনাবেচার কথা জানা যাচ্ছে, তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা বা সংরক্ষণ করা বেআইনি বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বাংলাদেশে বিটকয়েনের কোন অনুমোদন নেই। যেহেতু অনুমোদন নেই, সুতরাং এই জাতীয় লেনদেন বৈধ নয়।

হ্যাকাররা চুরি করা অর্থ কেন দান করছে

বিটকয়েনের ব্যবসা নিষিদ্ধ করে ফতোয়া জারি

"যদি আমাদের নোটিশে এই জাতীয় লেনদেনের খবর আসে, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি"।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েনে লেনদেনের ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না বিধায় এর বিপরীতে আর্থিক দাবির কোন স্বীকৃতিও নেই।

ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে।

এ ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক এবং আইনগত ঝুঁকি রয়েছে বলে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নামবিহীন বা ছদ্মনামে প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে অনলাইনে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।”

এছাড়া, অনলাইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লেনদেনকারী গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ভবিষ্যতে বিটকয়েনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা নেই।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

বিটকয়েন কী?
বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এই মুদ্রার লেনদেন হয়ে থাকে।

২০০৮ সালের শেষের দিকে জাপানের একজন নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের কেউ বা একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ উদ্ভাবন করেন। যদিও এই ব্যক্তির আসল নাম বা পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

নতুন এই ভার্চুয়াল মুদ্রাকে বলা হয় বিটকয়েন।

২০১৩ সালের দিকে এই মুদ্রার দাম ১০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে দুইজন ব্যবহারকারীর মধ্যে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করেও এটা সরাসরি আদান-প্রদান (পিয়ার-টু-পিয়ার) করা হয়। এই লেনদেনের তথ্য ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে, কিন্তু এই মুদ্রার লেনদেন তদারকির জন্য কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো কর্তৃপক্ষ থাকে না। এই মাইনারের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয়।

বিটকয়েন তৈরি বা কেনার পর তা গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকে। পরবর্তীতে তিনি সেগুলো ব্যবহার করে পণ্য কিনতে পারেন বা বিক্রি করে দিতে পারেন। বিক্রি করলে বিটকয়েনের পরিবর্তে প্রচলিত অর্থে তা গ্রহণ করা যায়। বিভিন্ন কম্পিউটার ব্যবহার করে লেনদেন করা হলেও সেসব তথ্য কেন্দ্রীয় সার্ভারে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে।

বিটকয়েনকে অনেকেই ভবিষ্যতের মুদ্রা বলে মনে করেন।

যেহেতু বিটকয়েনে লেনদেনে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে না এবং এর লেনদেনের গতিবিধি অনুসরণ করা যায় না, ফলে এটা মাদক, কালোবাজারি ও অর্থ পাচারে এই ব্যবহার হচ্ছে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

গত কয়েক বছরে বিটকয়েনের ইকোসিস্টেম বা বাজার ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হয়েছে, অনলাইনে বিটকয়েন এক্সচেঞ্জও চালু হয়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশেই এখন বিটকয়েনের আইনি স্বীকৃতি আছে। তবে বাংলাদেশ, মিসর, আলজেরিয়া, মরক্কো প্রভৃতি দেশে বিটকয়েন এখনো নিষিদ্ধ।

বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,
বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি

বাংলাদেশে বিটকয়েনের ব্যবহার
বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহার অবৈধ হওয়ায় ঠিক কতো জন বিটকয়েন কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না।

তবে বিটকয়েন ও আউটসোর্সিং পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’বাংলাদেশে যারা আউটসোসিং করছেন, তাদের কেউ কেউ বিটকয়েন কেনাবেচা করে থাকেন। কিন্তু অবৈধ হওয়ায় সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না।‘’

তিনি জানান, সাধারণত বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গেই এই লেনদেন হয়ে থাকে। অর্থ আদান-প্রদানে বিদেশে থাকা বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনদের সহায়তা নেয়া হয়।

কয়েকবছর আগেও উচ্চ ক্ষমতার কম্পিউটার ব্যবহার করে বিদেশি সহযোগীদের সাথে মিলে বিটকয়েন মাইনিংয়ের কাজও করা হতো। কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসা আর বিদ্যুৎ ভোগান্তির কারণে এখন এই প্রবণতা কমে গেছে।

বাংলাদেশে কি বিটকয়েন বৈধ করার সময় এসেছে?
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ ভেতরে বেশ জটিল কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন এটার ব্যবসা এখন যেভাবে হচ্ছে, কেউ কিনে রেখে দিচ্ছেন, দাম বাড়লে আবার বিক্রি করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে যেমনটা হয়েছে, ভালোভাবে না বোঝার কারণে এখানেও কিন্তু প্রতারণার একটা সুযোগ রয়েছে।‘

বিটকয়েন বাংলাদেশে ব্যবহার করতে হলে আরও অনেক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

তবে ড. আহমেদ বলছেন, সেই সঙ্গে যেহেতু পৃথিবীতে এই মুদ্রা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, ফলে পুরোপুরি এটাকে অস্বীকার করারও উপায় নেই।

"ফলে পুরোপুরি বন্ধ না করে রেখে এটার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা করা উচিত। কারণ বিশ্বে যদি একসময় এটা প্রচলিত হয়ে ওঠে, তাহলে সেটার সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সুতরাং সেই জন্য প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একেবারে মুখ ফিরিয়ে না রেখে তাদের এটা নিয়ে গবেষণা করা, যৌক্তিকতা, অযৌক্তিকতা যাচাই করা তৈরি করা উচিত। বিটকয়েন কোথায় যাচ্ছে, সেটার দিকে নজর রাখা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে যদি বিটকয়েনের ওপর বড় লেনদেন করতে হয়, তখন বিপদে পড়তে হবে না"।

চীন এবং ভারতসহ কয়েকটি দেশ নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরির পরিকল্পনা করছে।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির অনুমতি দেয়ার আগে এটা নিয়ে আরও ভালো করে গবেষণা করে, পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের জ্যেষ্ঠ গবেষক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, ‘’আমি মনে করি, বাংলাদেশ এখনো এটার জন্য প্রস্তুত নয়। কারণ আমাদের মূল ধারার মুদ্রা ব্যবস্থাপনার বাইরে এটা হচ্ছে। শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এটার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক যে নীতি দরকার, সেটার অভাব রয়েছে। এটার ভেতর এখনো অনেক ধরণের ফটকাবাজি চলছে। এটা নিয়ে আসলে কোন ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি প্রস্তুতি নেই, তথ্যের অস্বচ্ছতাও আছে।‘’

"বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক পরিকাঠামো এখনো দুর্বল। শিডিউল ব্যাংকগুলো নাজুক অবস্থায় আছে, দেশ থেকে অর্থ পাচার রোধে বড় ধরণের কোন কার্যকারিতা দেখানো যায়নি। অন্যান্য আর্থিক জালিয়াতি চলছে, তাই এটার ব্যাপারে আমি এখনো অনেক রক্ষণশীল"। বলছেন ড. ভট্টাচার্য।  Source Link (https://www.bbc.com/bengali/news-56064527)
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর একটি পোষ্ট করার জন্য। আমি এই সম্পর্কে যতটুকু জানি আমার মনে হয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ খুব দ্রুত বৈধ হতে চলেছে। কারণ কিছুদিন আগে আমি একটা নিউজে দেখতে পেলাম আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম এর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করুন ।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Mrkadir85 on May 31, 2021, 05:34:23 PM
বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি এখনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি এটা আমরা সবাই ভালোভাবে জানি। কিন্তু বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন ব্যবহার থেমে নেই। আমরা যে যেভাবে পারছি গোপনে সতর্কতার সাথে ক্রিপ্টোকারেন্সি সাথে বা বিটকয়েনের সাথে জড়িয়ে আছি। আমাদের দেশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তারা কোন বিষয়ে সঠিক ভাবে না জেনে না বুঝে হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। আমাদের দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বেশিরভাগই বিটকয়েন সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞান রাখে না বা তারা জানার চেষ্টা করে না। বিটকয়েন তথা ক্রিপ্টোকারেন্সির যে অনেক পজিটিভ দিক রয়েছে সে সম্পর্কে তারা না ভেবে তারা নেগেটিভ দিকটার বেশি চিন্তাভাবনা করছে। যেখানে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশ বিটকয়েন কে লিখিত বা মৌখিক যে কোনভাবেই হোক না কেন বিটকয়েন কে অনুমোদন দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো ক্রিপ্টোকারেন্সি অনুমোদন সম্পর্কে তেমন কোনো আলোচনা নেই। আশা করি সরকারের উপরমহলের খুব দ্রুত শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং বাংলাদেশ বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি কে অনুমোদন দেবে।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: ranaprime on June 03, 2021, 12:20:28 PM
আমি কিছুদিন আগে একজন ভাল ব্লগারের একটি ডুকুমেন্ট দেখেছিলাম। যে খানে তিনি খুব সন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে আমাদের দেশ কে যদি এগোতে হয় তাহলে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আর ক্রিপ্টো কারেন্সিওকেও সাধুবাদ জানাতে হবে। বর্তামানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে এটি কে গ্রহন করছে। আমিও মনে করি যে সরকার ছোটখাট কোন লসের কারনে বড় কোন কিছু কখনই হারাতে চাইবে না।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: EKRA13 on June 05, 2021, 11:26:55 AM
বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন ও সংরক্ষণ অনুমোদিত নয়। যদিও অনেকেই বিভিন্নভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি সাথে জড়িত রয়েছে। বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতিতে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি আরো উন্নতি করতে হলে অবশ্যই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে পজিটিভ চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা দেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময় ।কারণ যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এর মাধ্যমে অনেক এগিয়ে গিয়েছে ।সেখানে আমরা অনেক পিছনে পড়ে গেছি আর যদি দেরি হয়ে যায় তাহলে আমরা অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক দূরে ছিটকে যাব। আমি মনে করি সরকার কখনোই এত বড় ধরনের লস দেশের জন্য চাইবেনা।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: RSRS on June 07, 2021, 10:01:14 AM
বাংলাদেশে যদি কখনো বিটকয়েন বৈধ ঘোষণা করা হয় তাহলে ক্রিপ্টোকারেন্সি জড়িত সকলের জন্য অত্যন্ত সুখবর হতো। বাংলাদেশ যেহেতু ইন্ডিয়ার সাথে অনেকটা মিলে কাজ করে সে ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ায় ব্যাংক খুললে আমাদের জন্য পজেটিভ একটা পয়েন্ট হবে। এতে আমাদের দেশে অনেক বেকারত্ব সমস্যা দূর হতো। এবং নতুন অনেকেই উপকৃত হত ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতে।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: ttcsalam on June 07, 2021, 04:24:59 PM
বাংলাদেশ কেন সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে ক্রিপ্টো কারেন্সি তথা ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলন বৃদ্ধি পাচ্ছে সুতরাং সারা পৃথিবীর মানুষের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিটকয়েন কে বাংলাদেশে বৈধতা দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ সরকার দেশকে ডিজিটাল করার লক্ষ্য যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাতে করে করে দেশের ফ্রিল্যানসার দের কথা চিন্তা করে অবশ্যই একটা পজিটিভ সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে বলে আমি আশা পোষন করছি।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Mosarof on June 18, 2021, 08:46:01 PM
বিটকয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিবিসি বাংলা একটি চমৎকার পোস্ট করেছেন। যেটা বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও এর সাথে জড়িতদের জন্য পজিটিভ খবর। সকলের অবগতির জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-


ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মূল্য গত কিছুদিনে রাতারাতি বহুগুণ বেড়ে গেছে।

মার্কিন বিলিওনিয়ার এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দেড়'শ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এই ডিজিটাল মুদ্রার দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে।

এ প্রতিবেদনটি যখন প্রকাশিত হচ্ছে, তখন একটি বিটকয়েনের বাংলাদেশের টাকায় মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

কিন্তু বাংলাদেশের এই ডিজিটাল মুদ্রার কী অবস্থা?

বাংলাদেশে বিটকয়েন

যদিও বাংলাদেশে খুব সীমিত আকারে বিটকয়েন কেনাবেচার কথা জানা যাচ্ছে, তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা বা সংরক্ষণ করা বেআইনি বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বাংলাদেশে বিটকয়েনের কোন অনুমোদন নেই। যেহেতু অনুমোদন নেই, সুতরাং এই জাতীয় লেনদেন বৈধ নয়।

হ্যাকাররা চুরি করা অর্থ কেন দান করছে

বিটকয়েনের ব্যবসা নিষিদ্ধ করে ফতোয়া জারি

"যদি আমাদের নোটিশে এই জাতীয় লেনদেনের খবর আসে, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি"।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েনে লেনদেনের ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না বিধায় এর বিপরীতে আর্থিক দাবির কোন স্বীকৃতিও নেই।

ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে।

এ ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক এবং আইনগত ঝুঁকি রয়েছে বলে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নামবিহীন বা ছদ্মনামে প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে অনলাইনে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।”

এছাড়া, অনলাইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লেনদেনকারী গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ভবিষ্যতে বিটকয়েনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা নেই।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

বিটকয়েন কী?
বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এই মুদ্রার লেনদেন হয়ে থাকে।

২০০৮ সালের শেষের দিকে জাপানের একজন নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের কেউ বা একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ উদ্ভাবন করেন। যদিও এই ব্যক্তির আসল নাম বা পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

নতুন এই ভার্চুয়াল মুদ্রাকে বলা হয় বিটকয়েন।

২০১৩ সালের দিকে এই মুদ্রার দাম ১০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে দুইজন ব্যবহারকারীর মধ্যে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করেও এটা সরাসরি আদান-প্রদান (পিয়ার-টু-পিয়ার) করা হয়। এই লেনদেনের তথ্য ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে, কিন্তু এই মুদ্রার লেনদেন তদারকির জন্য কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো কর্তৃপক্ষ থাকে না। এই মাইনারের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয়।

বিটকয়েন তৈরি বা কেনার পর তা গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকে। পরবর্তীতে তিনি সেগুলো ব্যবহার করে পণ্য কিনতে পারেন বা বিক্রি করে দিতে পারেন। বিক্রি করলে বিটকয়েনের পরিবর্তে প্রচলিত অর্থে তা গ্রহণ করা যায়। বিভিন্ন কম্পিউটার ব্যবহার করে লেনদেন করা হলেও সেসব তথ্য কেন্দ্রীয় সার্ভারে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে।

বিটকয়েনকে অনেকেই ভবিষ্যতের মুদ্রা বলে মনে করেন।

যেহেতু বিটকয়েনে লেনদেনে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে না এবং এর লেনদেনের গতিবিধি অনুসরণ করা যায় না, ফলে এটা মাদক, কালোবাজারি ও অর্থ পাচারে এই ব্যবহার হচ্ছে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

গত কয়েক বছরে বিটকয়েনের ইকোসিস্টেম বা বাজার ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হয়েছে, অনলাইনে বিটকয়েন এক্সচেঞ্জও চালু হয়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশেই এখন বিটকয়েনের আইনি স্বীকৃতি আছে। তবে বাংলাদেশ, মিসর, আলজেরিয়া, মরক্কো প্রভৃতি দেশে বিটকয়েন এখনো নিষিদ্ধ।

বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,
বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি

বাংলাদেশে বিটকয়েনের ব্যবহার
বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহার অবৈধ হওয়ায় ঠিক কতো জন বিটকয়েন কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না।

তবে বিটকয়েন ও আউটসোর্সিং পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’বাংলাদেশে যারা আউটসোসিং করছেন, তাদের কেউ কেউ বিটকয়েন কেনাবেচা করে থাকেন। কিন্তু অবৈধ হওয়ায় সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না।‘’

তিনি জানান, সাধারণত বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গেই এই লেনদেন হয়ে থাকে। অর্থ আদান-প্রদানে বিদেশে থাকা বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনদের সহায়তা নেয়া হয়।

কয়েকবছর আগেও উচ্চ ক্ষমতার কম্পিউটার ব্যবহার করে বিদেশি সহযোগীদের সাথে মিলে বিটকয়েন মাইনিংয়ের কাজও করা হতো। কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসা আর বিদ্যুৎ ভোগান্তির কারণে এখন এই প্রবণতা কমে গেছে।

বাংলাদেশে কি বিটকয়েন বৈধ করার সময় এসেছে?
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ ভেতরে বেশ জটিল কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন এটার ব্যবসা এখন যেভাবে হচ্ছে, কেউ কিনে রেখে দিচ্ছেন, দাম বাড়লে আবার বিক্রি করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে যেমনটা হয়েছে, ভালোভাবে না বোঝার কারণে এখানেও কিন্তু প্রতারণার একটা সুযোগ রয়েছে।‘

বিটকয়েন বাংলাদেশে ব্যবহার করতে হলে আরও অনেক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

তবে ড. আহমেদ বলছেন, সেই সঙ্গে যেহেতু পৃথিবীতে এই মুদ্রা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, ফলে পুরোপুরি এটাকে অস্বীকার করারও উপায় নেই।

"ফলে পুরোপুরি বন্ধ না করে রেখে এটার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা করা উচিত। কারণ বিশ্বে যদি একসময় এটা প্রচলিত হয়ে ওঠে, তাহলে সেটার সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সুতরাং সেই জন্য প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একেবারে মুখ ফিরিয়ে না রেখে তাদের এটা নিয়ে গবেষণা করা, যৌক্তিকতা, অযৌক্তিকতা যাচাই করা তৈরি করা উচিত। বিটকয়েন কোথায় যাচ্ছে, সেটার দিকে নজর রাখা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে যদি বিটকয়েনের ওপর বড় লেনদেন করতে হয়, তখন বিপদে পড়তে হবে না"।

চীন এবং ভারতসহ কয়েকটি দেশ নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরির পরিকল্পনা করছে।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির অনুমতি দেয়ার আগে এটা নিয়ে আরও ভালো করে গবেষণা করে, পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের জ্যেষ্ঠ গবেষক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, ‘’আমি মনে করি, বাংলাদেশ এখনো এটার জন্য প্রস্তুত নয়। কারণ আমাদের মূল ধারার মুদ্রা ব্যবস্থাপনার বাইরে এটা হচ্ছে। শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এটার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক যে নীতি দরকার, সেটার অভাব রয়েছে। এটার ভেতর এখনো অনেক ধরণের ফটকাবাজি চলছে। এটা নিয়ে আসলে কোন ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি প্রস্তুতি নেই, তথ্যের অস্বচ্ছতাও আছে।‘’

"বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক পরিকাঠামো এখনো দুর্বল। শিডিউল ব্যাংকগুলো নাজুক অবস্থায় আছে, দেশ থেকে অর্থ পাচার রোধে বড় ধরণের কোন কার্যকারিতা দেখানো যায়নি। অন্যান্য আর্থিক জালিয়াতি চলছে, তাই এটার ব্যাপারে আমি এখনো অনেক রক্ষণশীল"। বলছেন ড. ভট্টাচার্য।  Source Link (https://www.bbc.com/bengali/news-56064527)
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহুল পোষ্ট করার জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট বর্তমানে বাংলাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়নি তবে আমার মনে হয় অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশের একটু কারেন্সি অনুমোদন পাবে। যদি বাংলাদেশ বিটকয়েনের অনুমোদন দেওয়া হয়নি কিন্তু বাংলাদেশ অনেকেই গোপন ভাবে বিটকয়েনের কাজ করে যাচ্ছে। ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক হবার সাথে বাংলাদেশের জন্য ভালো একটা পয়েন্ট।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Diknel on August 01, 2021, 06:07:27 AM
আমাদের বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করা বৈধ নয়। কিন্তু তবে আমরা গোপনে ক্রিপ্টোকারেন্সির সাথে অনেকে জড়িত আছি। আমাদের বাংলাদেশে যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি যদি বৈধতা দেয় তাহলে আমরা যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি সাথে জড়িত আছি তাদের জন্য অনেক ভালো খবর হবে। আমাদের বাংলাদেশে যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা দেয় তাহলে আমাদের বাংলাদেশ ও অনেক উন্নত হবে বলে, আমি মনে করি।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Abdulkana on August 12, 2021, 04:25:49 AM
এটি অনেকটা ভাল পোস্ট এখনই বিটকয়েনে বৈধতা দেওয়ার সময় এসেছে এখন বিটকয়েন বৈধতা দেয়া হলে আমরা সময়ের সাথে চলতে পারব না। বিটকয়েন থেকে অনেকটা দূরে সরে যেতে হবে তাই সময়ের সাথে তাল মেলানোর জন্য আমাদের দেশে বিটকয়েন বৈধতা দরকার
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Tunir Baap on October 25, 2021, 05:15:43 PM
আমার মনে হয় না বাংলাদেশ কোনদিন ক্রিপ্টোকারেন্সি অনুমোদন দিবে। কারণ আমরা যদি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে তাকাই তাহলে খুবই ভালভাবে আমরা বুঝতে পারবো কেনো বাংলাদেশ বিটকয়েন বৈধতা দেওয়ার সম্ভাবনা এতটা খুব। বাংলাদেশের বিটকয়েন এর বৈধতা দেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশ সরকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ঠিক রাখতে পারবে না। যার ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বড় বিপর্যয় পড়তে পারে।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Piku on October 28, 2021, 10:50:17 AM
বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ এবং মন্ত্রি ইতোমধ্যেই বিটকয়েন নিয়ে কথা বলেছে। বিটকয়েন সেজন্য বাংলাদেশী মানুষের কাছে আরো বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে। এবং ভার্চুয়াল কারেন্সি সম্পর্কে প্রতিবেদন এর মাধ্যমে যারা জানেনা তারাও জানতে পেরেছে। সুতরাং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্রিপ্টোকারেন্সি কে আরও সহজভাবে গ্রহণ করবে। তাই বিটকয়েন বাংলাদেশের অনুমোদন পাওয়া জরুরি।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: ttcsalam on November 08, 2021, 12:48:32 PM
বিটকয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিবিসি বাংলা একটি চমৎকার পোস্ট করেছেন। যেটা বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও এর সাথে জড়িতদের জন্য পজিটিভ খবর। সকলের অবগতির জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-


ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মূল্য গত কিছুদিনে রাতারাতি বহুগুণ বেড়ে গেছে।

মার্কিন বিলিওনিয়ার এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দেড়'শ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এই ডিজিটাল মুদ্রার দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে।

এ প্রতিবেদনটি যখন প্রকাশিত হচ্ছে, তখন একটি বিটকয়েনের বাংলাদেশের টাকায় মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

কিন্তু বাংলাদেশের এই ডিজিটাল মুদ্রার কী অবস্থা?

বাংলাদেশে বিটকয়েন

যদিও বাংলাদেশে খুব সীমিত আকারে বিটকয়েন কেনাবেচার কথা জানা যাচ্ছে, তবে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিটকয়েন বা অন্য কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা বা সংরক্ষণ করা বেআইনি বলে জানাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, বাংলাদেশে বিটকয়েনের কোন অনুমোদন নেই। যেহেতু অনুমোদন নেই, সুতরাং এই জাতীয় লেনদেন বৈধ নয়।

হ্যাকাররা চুরি করা অর্থ কেন দান করছে

বিটকয়েনের ব্যবসা নিষিদ্ধ করে ফতোয়া জারি

"যদি আমাদের নোটিশে এই জাতীয় লেনদেনের খবর আসে, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি"।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েনে লেনদেনের ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না বিধায় এর বিপরীতে আর্থিক দাবির কোন স্বীকৃতিও নেই।

ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে।

এ ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক এবং আইনগত ঝুঁকি রয়েছে বলে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নামবিহীন বা ছদ্মনামে প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে অনলাইনে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।”

এছাড়া, অনলাইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লেনদেনকারী গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ভবিষ্যতে বিটকয়েনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা নেই।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

বিটকয়েন কী?
বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এই মুদ্রার লেনদেন হয়ে থাকে।

২০০৮ সালের শেষের দিকে জাপানের একজন নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের কেউ বা একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ উদ্ভাবন করেন। যদিও এই ব্যক্তির আসল নাম বা পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

নতুন এই ভার্চুয়াল মুদ্রাকে বলা হয় বিটকয়েন।

২০১৩ সালের দিকে এই মুদ্রার দাম ১০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে দুইজন ব্যবহারকারীর মধ্যে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করেও এটা সরাসরি আদান-প্রদান (পিয়ার-টু-পিয়ার) করা হয়। এই লেনদেনের তথ্য ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে, কিন্তু এই মুদ্রার লেনদেন তদারকির জন্য কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো কর্তৃপক্ষ থাকে না। এই মাইনারের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয়।

বিটকয়েন তৈরি বা কেনার পর তা গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকে। পরবর্তীতে তিনি সেগুলো ব্যবহার করে পণ্য কিনতে পারেন বা বিক্রি করে দিতে পারেন। বিক্রি করলে বিটকয়েনের পরিবর্তে প্রচলিত অর্থে তা গ্রহণ করা যায়। বিভিন্ন কম্পিউটার ব্যবহার করে লেনদেন করা হলেও সেসব তথ্য কেন্দ্রীয় সার্ভারে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে।

বিটকয়েনকে অনেকেই ভবিষ্যতের মুদ্রা বলে মনে করেন।

যেহেতু বিটকয়েনে লেনদেনে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে না এবং এর লেনদেনের গতিবিধি অনুসরণ করা যায় না, ফলে এটা মাদক, কালোবাজারি ও অর্থ পাচারে এই ব্যবহার হচ্ছে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

গত কয়েক বছরে বিটকয়েনের ইকোসিস্টেম বা বাজার ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হয়েছে, অনলাইনে বিটকয়েন এক্সচেঞ্জও চালু হয়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশেই এখন বিটকয়েনের আইনি স্বীকৃতি আছে। তবে বাংলাদেশ, মিসর, আলজেরিয়া, মরক্কো প্রভৃতি দেশে বিটকয়েন এখনো নিষিদ্ধ।

বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,
বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি

বাংলাদেশে বিটকয়েনের ব্যবহার
বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহার অবৈধ হওয়ায় ঠিক কতো জন বিটকয়েন কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না।

তবে বিটকয়েন ও আউটসোর্সিং পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’বাংলাদেশে যারা আউটসোসিং করছেন, তাদের কেউ কেউ বিটকয়েন কেনাবেচা করে থাকেন। কিন্তু অবৈধ হওয়ায় সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না।‘’

তিনি জানান, সাধারণত বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গেই এই লেনদেন হয়ে থাকে। অর্থ আদান-প্রদানে বিদেশে থাকা বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনদের সহায়তা নেয়া হয়।

কয়েকবছর আগেও উচ্চ ক্ষমতার কম্পিউটার ব্যবহার করে বিদেশি সহযোগীদের সাথে মিলে বিটকয়েন মাইনিংয়ের কাজও করা হতো। কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসা আর বিদ্যুৎ ভোগান্তির কারণে এখন এই প্রবণতা কমে গেছে।

বাংলাদেশে কি বিটকয়েন বৈধ করার সময় এসেছে?
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ ভেতরে বেশ জটিল কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন এটার ব্যবসা এখন যেভাবে হচ্ছে, কেউ কিনে রেখে দিচ্ছেন, দাম বাড়লে আবার বিক্রি করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে যেমনটা হয়েছে, ভালোভাবে না বোঝার কারণে এখানেও কিন্তু প্রতারণার একটা সুযোগ রয়েছে।‘

বিটকয়েন বাংলাদেশে ব্যবহার করতে হলে আরও অনেক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

তবে ড. আহমেদ বলছেন, সেই সঙ্গে যেহেতু পৃথিবীতে এই মুদ্রা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, ফলে পুরোপুরি এটাকে অস্বীকার করারও উপায় নেই।

"ফলে পুরোপুরি বন্ধ না করে রেখে এটার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা করা উচিত। কারণ বিশ্বে যদি একসময় এটা প্রচলিত হয়ে ওঠে, তাহলে সেটার সঙ্গেও খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সুতরাং সেই জন্য প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একেবারে মুখ ফিরিয়ে না রেখে তাদের এটা নিয়ে গবেষণা করা, যৌক্তিকতা, অযৌক্তিকতা যাচাই করা তৈরি করা উচিত। বিটকয়েন কোথায় যাচ্ছে, সেটার দিকে নজর রাখা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে যদি বিটকয়েনের ওপর বড় লেনদেন করতে হয়, তখন বিপদে পড়তে হবে না"।

চীন এবং ভারতসহ কয়েকটি দেশ নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরির পরিকল্পনা করছে।

তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির অনুমতি দেয়ার আগে এটা নিয়ে আরও ভালো করে গবেষণা করে, পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের জ্যেষ্ঠ গবেষক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, ‘’আমি মনে করি, বাংলাদেশ এখনো এটার জন্য প্রস্তুত নয়। কারণ আমাদের মূল ধারার মুদ্রা ব্যবস্থাপনার বাইরে এটা হচ্ছে। শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এটার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক যে নীতি দরকার, সেটার অভাব রয়েছে। এটার ভেতর এখনো অনেক ধরণের ফটকাবাজি চলছে। এটা নিয়ে আসলে কোন ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি প্রস্তুতি নেই, তথ্যের অস্বচ্ছতাও আছে।‘’

"বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক পরিকাঠামো এখনো দুর্বল। শিডিউল ব্যাংকগুলো নাজুক অবস্থায় আছে, দেশ থেকে অর্থ পাচার রোধে বড় ধরণের কোন কার্যকারিতা দেখানো যায়নি। অন্যান্য আর্থিক জালিয়াতি চলছে, তাই এটার ব্যাপারে আমি এখনো অনেক রক্ষণশীল"। বলছেন ড. ভট্টাচার্য।  Source Link (https://www.bbc.com/bengali/news-56064527)
অনেক সুন্দর তথ্য বহুল পোষ্ট আশা করা যায় অনেকেই আমার মত এই পোষ্ট টি পড়ে অনেক তথ্য জানতে পারবেন।তবে আমার ব্যাক্তিগত মতামত আশা করা যাচ্ছে অচিরেই বাংলাদেশ এ এটা বৈধতা ঘোষনা করা হতে পারে।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Paglamon on November 08, 2021, 02:49:08 PM
বাংলাদেশের সরকারের বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে মতিগতি। তাতে আমার মনে হয় না খুব তাড়াতাড়ি ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ অনুমোদন পাবে। তবে আশা করি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন তথ্য উপদেষ্টা ও আইসিটি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বা বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বৈঠক করা উচিত। বাংলাদেশের যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ হয় তাহলে অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে যাবে। যেমন দেশের বাহিরে অন্য কোন দেশের সাথে লেনদেন করতে এই মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে। যারা বিদেশ থেকে টাকা উপার্জন করে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে, অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি এর মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাতে পারবে। তাই এই দিক থেকে বিবেচনা করলে বাংলাদেশের ক্রিপ্টোকারেন্সি অনুমোদন দেওয়া উচিত।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Triedboy on November 09, 2021, 12:31:32 AM
বাংলাদেশ এতটা উন্নয়নশীল দেশ হওয়া সত্ত্বেও কেন যে বিটকয়েনের বৈধতা ইচ্ছে না। বিশেষ করে আমি একটা বিষয় লক্ষ করে দেখেছি বাংলাদেশের অধিক মানসিক রোগের সম্পর্কে জানেনা। বাংলাদেশের মন্ত্রী পরিষদের লোক রয়েছে তারাও কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে ততটা মাথা ঘামাচ্ছে না। অবশ্যই বাংলাদেশ বিটকয়েনের বৈধতা দেওয়া সম্ভব কিন্তু এটা তথ্য মন্ত্রণালয় এটা নিয়ে বৈঠক করতে হবে তা না হলে কখনোই সম্ভব নয় বাংলাদেশে বিটকয়েন বৈধতা পাওয়ার। বাংলাদেশের শুধুমাত্র একজনই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সবথেকে বেশি কথা বলেন তিনি হচ্ছে জুনায়েদ আহমেদ পলক স্যার
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Chita76 on November 09, 2021, 05:42:29 AM
এখন আমাদের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ এই দেশে বিটকয়েন বৈধতা ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের পক্ষে কখনো এটা কি লেনদেন করা সম্ভব হবে না। কারণ বাংলাদেশে তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে আমাদের দেশের চেয়ে উন্নত দেশগুলো রয়েছে যেগুলো দেশ বিটকয়েন কেউ বৈধতা দেয়নি।
আমাদের বাংলাদেশে বিটকয়েন অবৈধ হলে অসুবিধা নাই এর ব্যবহার প্রচুর পরিমাণ গোপনে চলছে। সরকার আমাদের কোন প্রকার চাপ সৃষ্টি করে না তাই বৈধ ঘোষণা হবে আমাদের দেশ উন্নত পর্যায়ে পৌঁছালে।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Tepona on February 24, 2022, 09:04:44 AM
আমার মনে হয় বাংলাদেশেও বিটকয়েন বৈধ করার সময় এসেছে। বর্তমানে অনেক সংবাদ মাধ্যম গুলোতে বিটকয়েন নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করে থাকে। এতে বিটকয়েন এর জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে যাচ্ছে। এবং যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে জানত না তারাও জানতে পারছে। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি লোকেরা এই ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে অনেক পর্যালোচনা করে যাচ্ছে। এবং আমি মনে করি আমাদের বাংলাদেশেও যদি বিটকয়েন বৈধতা দেয় তাহলে অর্থনৈতিক ভাবে আরো এগিয়ে যাবে।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Fulshai on February 25, 2022, 06:12:20 AM
বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ প্রায় ক্রিপ্টোকারেন্সি সাথে জড়িত আছে। তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে অনেক মুদ্রা উপার্জন করতেছে। তাই অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে । আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকে ক্রিপ্টোকারেন্সি অনুমোদন প্রাধান্য দেওয়া উচিত। আমাদের দেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা না দিলেও, আমরা এটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি যে জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাতে বোঝা যায় যে আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশেও ক্রিপ্টোকারেন্সি অনুমোদন হবে। ক্রিপ্টোকারেন্সি অনুমোদন দিলে । বাংলাদেশ অন্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে অনেক এগিয়ে  যাবে। আশা করি আগামী কয়েক বছরে এর অনুমোদন পেয়ে যাব।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Cinno3 on March 05, 2022, 07:55:33 AM
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব রাষ্ট্রগুলোতে বিটকয়েন অর্থাৎ ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা দিয়ে দিছে। বর্তমানে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্র গুলোতে ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে লেনদেন করে থাকে। ওইসব দেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা দেওয়ায় আরও উন্নতির দিকে চলে যাচ্ছে। হয়তো আমাদের বাংলাদেশেও কিছুদিনের মধ্যে বিটকয়েন অর্থাৎ ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ দিতে পারে বলে আমার মনে হয়। যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি আমাদের বাংবাংলাদেশে বৈধতা দেয় তাহলে বাংলাদেশে আরো উন্নতির দিকে অগ্রসর হবে।
Title: Re: বিটকয়েন: বাংলাদেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার সময় এসেছে?
Post by: Centus on March 06, 2022, 09:03:55 AM
বিশ্বের প্রায় অনেকগুলো দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা দিয়ে দিয়েছে। হয়তো আমাদের বাংলাদেশেও ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা দিবে। কেননা বর্তমানে বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশে যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা দেয় তাহলে অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন বাংলাদেশে যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা দেওয়া থাকে তাহলে অন্য কোন দেশের সাথে খুব সহজেই লেনদেন করতে পারবে।