পাসওয়ার্ড আন-লক করার ক্ষমতা শুধু জেরাল্ড কটেন নামে ওই সংস্থার সিইও-র কাছেই ছিল৷ ডিসেম্বরে ভারতে মৃত্যু হয় কটেনের৷
#টরন্টো: কানাডিয়ান ক্রিপ্টোকারেন্সি ফার্মের সিইও-র মৃত্যুতে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লগ্নিকারীদের ১৮ কোটি কানাডিয়ান ডলার মূল্যের পাসওয়ার্ডের কোনও খোঁজ মিলছে না৷ কারণ পাসওয়ার্ড আন-লক করার ক্ষমতা শুধু জেরাল্ড কটেন নামে ওই সংস্থার সিইও-র কাছেই ছিল৷ ডিসেম্বরে ভারতে মৃত্যু হয় কটেনের৷
Quadriga CX-এর ফেসবুক পেজ বলছে, ৩০ বছর বয়সি কটেন ডিসেম্বরে ভারতে এসেছিলেন৷ একটি অনাথ আশ্রমে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যুক্ত হতে৷ তখনই তাঁর কঠিন রোগে মৃত্যু হয়৷ এরপর থেকেই তার তত্ত্বাবধানে থাকা ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির খোঁজ পাচ্ছে না কোয়াডরিগা কর্তৃপক্ষ। ফলে সেগুলো সুরক্ষিতও করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা৷
১৮ কোটি কানাডিয়ান ডলার মূল্যের বিটকয়েন ও তহবিলের পুরো দায়িত্বে ছিলেন কটেন। ৩১ জানুয়ারি নোভা স্কশিয়া সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া এক নথিতে কটেনের স্ত্রী জেনিফার রবার্টসন বলেন, 'কটেন যে ল্যাপটপে ব্যবসা চালাতেন, সেটি এনক্রিপ্টেড এবং আমি তার পাসওয়ার্ড জানি না। বারবার খোঁজ করেও আমি সেগুলি কোথাও লেখা দেখতে পাইনি।'
কটেনের কম্পিউটার ও ফোন থেকে তথ্য বের করতে একজন তদন্তকারী নিয়োগ করেছে কোয়াডরিগা। আদালতের নথিতে আরও বলা হয়, কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি অন্য এক্সচেঞ্জে নিরাপদে রাখা যায় কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখছে কোয়াডরিগা কর্তৃপক্ষ। কোয়াডরিগার কাছে লগ্নিকারদের পাওনার পরিমাণ প্রায় ২৫ কোটি কানাডিয়ান ডলার।
আদালতের হলফনামায় বলা হয়েছে, বেশিরভাগ ক্রিপ্টোকারেন্সি 'কোল্ড ওয়ালেট'-এ রেখেছে কোয়াডরিগা। হ্যাকিং বা চুরি ঠেকাতে এগুলি অফলাইন করা হয়েছে।
Sourch