সারা পৃথিবীব্যাপির অর্থনীতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে এবং আমি মনে করি সেটা বিটকয়েনের মাধ্যমে। যে দেশের কাছে বিটকয়েনের মূলধন সবচেয়ে বেশি সেই দেশ তত বেশি অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী। কারণ বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। তাই ভবিষ্যতে যেকোনো দেশের অর্থনীতির অবস্থা উন্নতি করতে বিটকয়েনের ভূমিকা মুখ্য হিসাবে থাকবে। অর্থাৎ যে দেশের সবচেয়ে বেশি বিট কয়েন আছে। যে দেশের বিটকয়েনের লেনদেন রয়েছে। আপনার কি মনে হয়, বিটকয়েন কি লেনদেনের ধারক বাহক হিসেবে কাজ করবে?

টেসলা এর নির্বাহী কর্মকর্তা বর্তমানেও ডগি কয়েন কে সাপোর্ট করে। আমি গত কয়েক সপ্তাহ আগে একটি টুইটে দেখেছি যে বরাবরের মতো টেসলা এর নির্বাহী কর্মকর্তা ডগি কয়েন কে সাপোর্ট করে যাচ্ছে। তাই ডগি কয়েলের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল বলে অনেকে আখ্যায়িত করেছেন। আমি তাদের সাথে একমত কারণ ভবিষ্যতে ডগি কয়েন অনেক বেশি উন্নতি লাভ করবে। বিশ্বের প্রথম ধনী কয়েন সাপোর্ট করে। তাই বলা যায় ডগি কয়েনের ভবিষ্যতে অনেক উজ্জ্বল।

ভালো টেকনিক্যাল রোড ম্যাপ এর প্রজেক্টে ইনভেস্ট করলে অনেক বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। তবে সেটা দীর্ঘমেয়াদী সময় ধরে রাখতে হবে। অন্যথায় লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই অনেকে স্বল্পমেয়াদি ট্রেডিং করে থাকে। তবে স্বল্প মেয়াদী ট্রেডিং করে খুব একটা লাভবান হওয়া সম্ভব না। তাই দীর্ঘমেয়াদী নিয়োগ উত্তম। যারা তাড়াহুড়া করে ইনভেস্ট করে তারা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মার্কেট যদি বিয়ারিশ থাকে তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

প্রতিনিয়ত বিটকয়েন এর ব্যবহার বাংলাদেশের বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ দেশের ভিতরে অনেক ব্যবসায়ী রয়েছে যাদের সরকারিভাবে কোন লেনদেনের আমলনামা নেই। আমি মনে করি সারা পৃথিবীব্যাপী প্রত্যেকটা দেশের যখন কয়েনবেস অনুমোদন পাবে শেষ হতে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরাও ইউজ করতে পারবে। তবে আমরা বাংলাদেশের ডেমো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারি। তবে ডেমো অ্যাকাউন্ট এ অনেক বেশি সুবিধা নেই বললেই চলে। তাই বাণিজ্যের জন্য নতুন ফিউচারের একাউন্ট ব্যবহার করা বাংলাদেশের ইউজারদের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় এর আগে অনুমোদন দেওয়া জরুরি।

খুব তাড়াতাড়ি বিটকয়েন বৈধতা পাবে। বাংলাদেশ খুব তাড়াতাড়ি বাণিজ্য শুরু হবে। বাংলাদেশ প্রত্যেকটা খাতে উন্নতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ বিভিন্ন উন্নতির দেশগুলোকে ফলো করে। আমাদের দেশের সরকার ভারতকে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী মনে করে। তবে ভারতের কার্যকলাপগুলো বাংলাদেশ সরকার কেন ফলো করে না। প্রশ্ন হলো ভার্চুয়াল কারেন্সি লেনদেন কেন অনুমোদন দিচ্ছে না। তাই আশা করা যায় যে ভবিষ্যতে হয়তো দিবে। এখানে স্বার্থের চিন্তা নিয়ে সবাই ব্যস্ত। অনুমোদন দিলে হয়তো দেশের টাকাগুলো ভার্চুয়াল মাধ্যমেই পাচার হয়ে যাবে। সবাই স্বার্থবাদী। তাই ব্লকচেইন মাধ্যমে অনেক বেশি সিকিউরিটি এর প্রয়োজন রয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যদি এ বিষয়ে নজর দেয় তাহলে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাবে।

বিটকয়েন ফোরাম সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। কারণ বিটকয়েন না থাকলে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজার কল্পনা করা যায় না। তাই আমি মনে করি ভবিষ্যতে বিটকয়েন ফোরামের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কোন ফোরাম আসবেনা। অথবা এই ফোরামটি বিটকয়েন ফোরামের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। তবে এই ফোরামটি জনপ্রিয়তা পাবে। মাঝখানে অর্থাৎ এই বছরের মাঝখানে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। হঠাৎ করে কেমন জানি বাউন্টি আসা বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যান্য বিজ্ঞাপনগুলো আসা বন্ধ করে দিয়েছে। রাখা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি আবার আগের মত হবে।

হ্যাঁ আমি আপনার সাথে একমত পোষণ। মার্কেটের অবস্থা অনেক খারাপ। আপ হওয়ার পিছনে এই প্রজেক্টগুলো দায়ী। আমরা যদি মার্কেটের সার্বিক দিক বিবেচনা করি তাহলে বুঝতে পারা সম্ভব যে ছয় মাসের মধ্যে মার্কেটের অবস্থা আরও উন্নত হবে। সকল কয়েনের দাম বৃদ্ধি পাবে। বিটকয়েন ও ইথেরিয়াম এর দাম কমে যাচ্ছে। তবে আমরা আশা রাখতে পারি যে 2023 সালের শুরুতে মার্কেট আবার পুনরায় বিপণন হবে। অর্থাৎ বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং মার্কেটের অবস্থা ভালো হবে।