follow us on twitter . like us on facebook . follow us on instagram . subscribe to our youtube channel . announcements on telegram channel . ask urgent question ONLY . Subscribe to our reddit . Altcoins Talks Shop Shop


This is an Ad. Advertised sites are not endorsement by our Forum. They may be unsafe, untrustworthy, or illegal in your jurisdiction. Advertise Here

Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - ttcsalam

Pages: 1 [2] 3 4 ... 75
16
আমাদের বাংলাদেশের যদি বিটকয়েন বৈধ ঘোষণা হয় তাহলে আমরা সব দিক থেকে উপকৃত হব এবং যেকোনো জায়গায় আমরা বিটকয়েন এর সঠিক ব্যবহার করতে পারব এবং বিটকয়েন দ্বারা যেকোনো সুবিধা নিতে পারব। বিটকয়েন দ্বারা আমরা যেকোন ক্ষেত্রে বা খাতে এর সঠিক ব্যবহার করতে পারব।

এবং আমাদের বাংলাদেশ যদি বিটকয়েন অবৈধ এর অসুবিধা গুলো হলো যদি বিটকয়েন বৈধ ঘোষণা হয় তাহলে এ বিটকয়েন থেকে আয়কৃত অর্থ থেকে সরকারকে ট্যাক্স প্রদান করতে হবে। এবং যেকোনো পণ্য বা লেনদেন করতে গেলে সরকারকে এখান থেকে অবশ্যই ভ্যাট প্রদান করতে হবে।
আমার মনে হয় বৈধতার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা রয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে বলেতে পারি এটার বৈধতা পেলে বাংলাদেশে সব চাইতে বেশি সুবিধা ভোগ করবে প্রাবসীরা এবং ফ্রিলান্সীং কাজে জড়ীত যারা তারা সে জন্য এটার অবশ্যই বৈধতা দরকার।

17
Nowadays, more and more AMM/DEX are launching on solana ecosystem and more adoptions are done. Most of the time, i used raydium for swaps or saber for both swaps+farming. So which one is your favourite AMM/DEX on solana?
MY favorite amm DEx is redium exchanges system so my transaction confirmed by SOL with Redium exchange.

18
Cardano Forum / Re: Thoughts on Cardano
« on: January 02, 2022, 03:32:32 PM »
Do you think Cardano will stand the test of time and why ?

Drop your thoughts below
Cardino can good performance if come to some lots of project by this launchpad so we have to wait for the upcoming update.

19
Cardano Forum / Re: Should You Invest in Cardano?
« on: January 02, 2022, 03:30:39 PM »
Purported Ethereum-killer Cardano (ADA) is banking on energy efficiency to win over users.
By Ian Bezek
June 8, 2021
U.S. News & World Report
More
Cardano Coin (ADA) cryptocurrency 3D Render. Cardano is a decentralised public blockchain cryptocurrency with smart contracts
Cardano is currently the fifth-largest cryptocurrency by market capitalization. (GETTY IMAGES)

Cardano has long been hailed as the potential "Ethereum-killer."

RELATED CONTENT

Should You Buy Shiba Inu Coin?

That's quite the claim. After all, Ethereum – the name of the blockchain platform itself is often used interchangeably with its native cryptocurrency token, Ether (ETH) – is the second most valuable cryptocurrency project out there, only trailing Bitcoin (BTC). Yet, even as Ethereum seeks to overtake Bitcoin, it has a newer rival coming up to try to take its place.
More
Now the current market situation is not good so I dint think need to invest in ADA cause need lots of upcoming good projects for invest then we can get very good feadback from hare.

20
DeFi tokens / Re: Do launchpads help Defi?
« on: January 02, 2022, 03:28:48 PM »
Do you think launchpads help Defi,if yes why?
lots of exchange is now making a launchpad system such as MXC and Binance and Gate.io hare anybody can buy upcoming new defi token so I can tell launchpad must help defi project.

21
Polkalokr is the world’s first multi-chain token locking and escrow platform with built-in privacy. Lokr, Swapr, and Bridgr are three of the company’s solutions that assist in increasing trust in the DeFi market. They achieve this by eliminating the human aspect and focusing on governance through code, all while providing a seamless, omnichannel digital experience platform.
Do you think,Polkalokr could make some profits for investors?
This is very good news for all investors so we have to wait and we have to see updates I think all investors can get good feedback from this very informative news.

22
DeFi tokens / Re: Best DeFi token for staking?
« on: January 02, 2022, 03:25:10 PM »
Hey,DeFi's offering holder's to stake option,i want to know what's ur personal favorite for staking?
There are lots of DeFi-based cryptocurrency tokens or coins, but I have always believed in Polkadot. Although this DOT coin often experiences corrections, I still hold it because I am optimistic that in the future Polkadot will have a high price.
yes, lots of defi projects just you have to search coin market cap and how voleum and how much good exchange list then you have to take a good decision.

23
TRON (TRX) Forum + Ecosystem / Re: Tron coin best.
« on: December 31, 2021, 07:19:35 AM »
I think Tron coin is a very good coin in the world of cryptocurrency.  As far as I think this coin platform is much better. Tron coin cuts less gas free.  Better than a unique platform.  What do you think?
Yes, I agree with you TRX is a very good chin and low gas fee very fast transaction but TRX is not pumped high I don't know why where ADA is performed very well but TRX is not good.

24
Polkadot Forum / Re: Parachain auction
« on: December 31, 2021, 07:16:32 AM »
Which project do you submit your DOT coins to and why?


At the moment i've transferred my dot only to the Acala project. So far i don't really want to transfer my coins to other projects as i'm sure that Acala will win the first slot.
After all market condition is not good but DOT is not performing well day bay day DOT price is decreasing and there is no new project on the DOT network. I think for better performance dot need lots of good projects.

25
বিটকয়েনের দাম ৫.৭১ শতাংশ কমে দাড়িয়েছে ৩৫ হাজার ২১০ ডলারে। এল ফলে বিটকয়েন প্রতি দাম কমেছে ২১৩১.১১ ডলার।
বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম শনিবার এর সর্বোচ্চ মূল্যের তুলনায় ৪৫.৭ শতাংশ কম ছিল বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এ বছর এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখে এর মূল্য ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৬৪ হাজার ৮৯৫.২২ ডলারে পৌঁছায়।

পাশাপাশি ইথেরিয়াম ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের মূদ্রা ইথারের দামও কমেছে। এর মূল্য ২.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২২৯৩.২৬ ডলারে। শনিবারের ওই মূল্য আগের দিনে চেয়ে ৫৯.৮৪ শতাংম কম ছিল।
গত মাসেই অস্থিরতা শুরু হয় বিটকয়েন নিয়ে। ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে চীনের কঠোর অবস্থানের পরপরই একাধিক বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং প্রতিষ্ঠান চীনে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এর ফলে লেনদেন বন্ধ থাকায় পড়ে যায় বিটকয়েনের দাম। কয়েক সপ্তাহেই বিটকয়েনের মূল্য বছরের সর্বোচ্চ মূল্যের অর্ধেকে এসে ঠেকে।

এর আগে টেসলা সিইও ও বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্কের বেশ কয়েকটি টুইটের পর বিটকয়েন চাপের মধ্যে ছিল। টেসলা গাড়ির মূল্য বিটকয়েনে দেওয়া যাবে ফেব্রুয়ারিতে এমন ঘোষণার পর মে মাসে ওই অবস্থান থেকে সরে আসে টেসলা।
source
https://m.bdnews24.com/bn/detail/tech/1900919
দাম বাড়া এবং কমা এটার মধ্যে এটা নিহিত থাকে আমি মনে করি 2022 সাল এটার জন্য একটা পজিটিভ দিক বয়ে নিয়ে আসবে এবং আমরা আরও নতুন উদ্যোম এ ভালো কিছু পাবো বলে আশা রাখি।

26
ডিজিটাল মুদ্রার ব্যাপক চাহিদার কারণে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু করেই হু হু করে বেড়েছে কয়েনবেসের বাজারমূল্য। গতকাল বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু করার প্রথম দিনই কোম্পানিটির বাজারমূল্য ১০০ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়ে ফেলেছে। ওয়াল স্ট্রিটের নাসডাক সূচকের সঙ্গে এটি তালিকাভুক্ত হয়েছে। গতকাল লেনদেনের একপর্যায়ে সংস্থাটির শেয়ারের দর ৩৮১ ডলার পর্যন্ত ওঠে। পরে ৩৩০ ডলারে লেনদেন শেষ হয়। প্রাথমিক মূল্যায়নে দেখা গেছে, কয়েনবেস তেল জায়ান্ট ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের মতো অনেক নামী প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এগিয়ে গেছে।

কয়েনবেস হল একটি ডিজিটাল মুদ্রা বিনিময় সিস্টেম। বিশ্বব্যাপী ১০০টির বেশি দেশে বিটকয়েন, বিটকয়েন ক্যাশ, এথেরিয়াম, এথেরিয়াম ক্ল্যাসিক, লাইটকয়েন
ব্রোকার এক্সচেঞ্জার এবং স্টোরেজ হিসেবে কাজ করে। ৫০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে কয়েনবেসের। গত মার্চের শেষ পর্যন্ত এর ব্যবহারকারীদের কাছে প্রায় ২২৩ বিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল মুদ্রা ছিল। সংস্থাটি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করার পর কয়েনবেসের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ব্রায়ান আর্মস্ট্রং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তির তালিকায় ঢুকে গেছেন। ৩৮ বছর বয়সী এয়ারবিএনবির সাবেক এই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কয়েনবেসের প্রায় ২১ শতাংশ শেয়ারের মালিক।

আসলে বিনিয়োগকারীদের কাছে এখন ক্রিপ্টেকারেন্সির ব্যাপক চাহিদা। ২০২০ সালে ডিজিটাল মুদ্রার দাম বেড়েছে ৩০০ শতাংশ। আবার ২০২১ সালে টেসলা, মাস্টারকার্ড, ব্ল্যাকরকের মতো কোম্পানি এই মুদ্রায় বিনিয়োগ করায় এর দাম বেড়েই যাচ্ছে। তবে শুধু বিটকয়েন নয়, অন্যান্য ডিজিটাল মুদ্রার দামও বেশ বাড়ছে। বিটকয়েনের পর সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত ডিজিটাল মুদ্রা হচ্ছে ইথেরিয়াম। ২০২০ সালে এই মুদ্রার দাম বেড়েছে ৪৬৫ শতাংশ।

গত মঙ্গলবার বিটকয়েনের দাম বেড়ে ৬৩ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। এর আগে গত ১৩ মার্চ বিশ্বের বৃহত্তম এই ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য প্রথমবারের মতো ৬০ হাজার ডলার ছাড়ায়।

সূত্র: প্রথম আলো
খুবই লক্ষ্য করে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় গন মাধ্যম গুলো বেশ তথ্য নির্ভর নিউজ করছে বিটকয়েন বা এ সমস্ত বিষয় গুলো নিয়ে সে জন্য আমি মনে করি এটার মাধ্যমে একটা পজিটিভ লক্ষ্য আমরা পৌছাতে পারবো অদুর ভবিষ্যৎ এ।

27
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বিটকয়েনের দাম। আজ মঙ্গলবার ভার্চ্যুয়াল এই মুদ্রাবাজারের সর্বমোট মূল্য আবার ১ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। গণমাধ্যম সিএনবিসি কয়েনডেস্কের তথ্য দিয়ে জানায়, আজ মঙ্গলবার এশিয়ার বাজারে লেনদেনের পর এই ডিজিটাল মুদ্রার বাজারমূল্য এক ট্রিলিয়ন ডলারের ওপরে চলে আসে। (১ ট্রিলিয়ন= ১ লাখ কোটি)। গত এক বছরে বিটকয়েনের দাম বেড়েছে ৫৭০ শতাংশ।

আজ সিঙ্গাপুরের বাজারে গতকাল সোমবারের চেয়ে ৭ শতাংশ বেড়েছে বিটকয়েনের দাম। ৫৪ হাজার ডলারের বেশিতে গিয়ে ঠেকেছে এই ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম। এর আগেও লাখ কোটি ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছিল বিটকয়েন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি ভার্চ্যুয়াল এই মুদ্রার সর্বমোট বাজারমূল্য ১ লাখ কোটি ডলার ছাড়ায়। ওই দিন বিটকয়েনের মূল্য ৫৮ হাজার মার্কিন ডলার হয়। পরে অবশ্য তা আবার কমে যায়। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই ক্রিপ্টোকারেন্সি ৮০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।


ক্রিপ্টোকারেন্সি নিউজ সাইট কয়েনডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, বিটকয়েন এ বছর ২৮ হাজার ৯০০ ডলারে শুরু করেছিল। জানুয়ারির শুরুতে দাম ৪০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। পরে আবার কমে ৩০ হাজারে নামে। পরে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার বিনিয়োগের পর আবারও দাম বাড়তে থাকে দাম। ১৬ ফেব্রুয়ারি ৫০ হাজার ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে বিটকয়েন। টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে ডিজিটাল মুদ্রার একজন অন্যতম প্রবক্তা বলা হয়।

তবে এখন অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানই ডিজিটাল মুদ্রার দিকে ঝুঁকছে। নিউইয়র্কের স্কয়ার ইনকরপোরেশন, মাইক্রোস্ট্র্যাটেজি কোম্পানিও বিটকয়েন কিনেছে। গত রোববার মেটু নামে একটি চীনা অ্যাপ্লিকেশন কোম্পানি জানায়, তারা কেবল বিটকয়েনই কিনছে, সেই সঙ্গে ইথার নামে পরিচিত আরও একটি ক্রিপ্টোকারেন্সিও কিনেছে। এটির দামও দিনদিন বাড়ছে। সূত্র: প্রথম আলো
জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিটকয়েন কে যে সবাই সুন্দর ভাবে গ্রহন করেছে সেটার একটা সুষ্ঠু প্রমান এটার মাধ্যমে পাওয়া যায়। আশা করা যায় অতি নিকট ভবিষৎ এটা আরও বেশি গুনে বৃদ্ধি পাবে এবং সবাই এটার প্রতি ঝুকে পড়বে।

28
বিটকয়েন নিয়ে মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিবেদন ভিডিওটি সবার জন্য দেওয়া হলো-



যত বেশি নিউজ হবে তত বেশি সে বিষয়ে আলোচনা হবে এবং একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পৌছানো আমাদের সরকরী কর্তা বাবু দের জন্য সহজ হবে। সে জন্য বলতে চাই এমন কিছু করা উচিত যে খানে উভয় সংকট এবং সংশয় দুর হয়ে আমরা যারা ফ্রিল্যান্সিং করছি সুষ্ঠু এবং সুন্দর ভাবে কাজ করে যেতে পারি।

29
ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে প্রথম আলোর প্রতিবেদনটা হুবহু তুলে ধরলাম।


সিআইডির প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংক তার মতামত জানায়

সাত মামলা, পাঁচটিই র‌্যাবের

ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুমোদন পেয়েছে

বাংলাদেশের উচিত দ্রুত এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া


ক্রিপ্টোকারেন্সি’র মালিকানা, সংরক্ষণ বা লেনদেন অপরাধ নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ মতামত দিয়েছে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি একধরনের ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া এ ধরনের মুদ্রার সংখ্যা এখন আট হাজারের বেশি। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিটকয়েন। ২০০৮ সালের শেষভাগে জাপানি নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের একজন বা একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ উদ্ভাবন করেন।


কয়েন মার্কেট ক্যাপের তথ্য অনুযায়ী, ১ বিটকয়েনের বিনিময়মূল্য গত ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় ছিল ৩৩ হাজার ৮০৫ দশমিক ৩১ ডলার। তবে বাংলাদেশে বিটকয়েন লেনদেন অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এ মুহূর্তে সিআইডি দুটি মামলার তদন্ত করছে। এমন একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি মতামত চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে।

গত ১৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের সহকারী পরিচালক শফিউল আজম ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে ব্যাংকের অবস্থান জানান সিআইডিকে। তিনি লেখেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিকানা, সংরক্ষণ বা লেনদেন স্বীকৃত না হলেও এটিকে অপরাধ বলার সুযোগ নেই মর্মে প্রতীয়মান হয়।’ ওই চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ভার্চ্যুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের ফলাফল হিসেবে দ্বিতীয় পর্যায়ে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭; সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর আওতায় অপরাধ হতে পারে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিআইডি এ নিয়ে অনুসন্ধান করে দেখতে পারে।

একই চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বর্তমান বিশ্বে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রার বাজার দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রচলনের প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্বের কোনো আইনগত কর্তৃপক্ষ এই মুদ্রাকে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু বর্তমানে কয়েকটি দেশের (যেমন: জাপান, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) কেন্দ্রীয় ব্যাংক/মুদ্রা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনকে বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো এ ধরনের প্রাইভেট কারেন্সিতে লেনদেন বা সংরক্ষণের অনুমোদন দেয়নি।

বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে কৃত্রিম মুদ্রায় (যেমন বিটকয়েন) লেনদেন থেকে বিরত থাকার বিষয়ে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছিল। বিজ্ঞপ্তিতে ওই সময় বাংলাদেশ ব্যাংক বলে, ভার্চ্যুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ–সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে। ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো কোনো নীতিমালা প্রণয়ন করেনি।

তবে এর মধ্যেই ক্রিপ্টোকারেন্সিকে একেবারে নাকচ করে না দেওয়ার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে সংস্থাগুলোর মধ্যে। যেমন, সরকারের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ডিভিশন। ২০২০ সালের মার্চে এ বিভাগ ন্যাশনাল ব্লকচেইন স্ট্র্যাটেজি করে। ওই কৌশলপত্রে তারা বলেছে, ব্লকচেইন স্টার্টআপে ২০১৩ সাল থেকে ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে। এই বিনিয়োগ ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। বাংলাদেশি সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিগুলোর জন্য এটা একটা সুযোগ। কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকায় বাংলাদেশের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি এ আকর্ষণীয় সুযোগের বাইরে থেকে যাচ্ছে। অবশ্য ওই কৌশলপত্রে এও বলা হয়েছে, উপযুক্ত প্রযুক্তি, আইন ও নীতি কাঠামোর অনুপস্থিতিতে এ ধরনের ডোমেইন দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পথকে উন্মুক্ত করে দিতে পারে। তাই এই উভয়সংকট কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তা বিবেচনা করা উচিত।

ব্লকচেইন হলো তথ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি তথ্য চেইনের মতো করে সংরক্ষণ করা হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনের তথ্য ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে। এমনিতে এই মুদ্রার লেনদেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকিতে থাকে না। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দুজন নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করে সরাসরি এই লেনদেন করে । ২৭ থেকে ৩৪ অক্ষরের একটি আইডি খুলে ইন্টারনেটে অ্যাকাউন্ট খুলে এই মুদ্রা লেনদেন করা যায়। ভার্চ্যুয়াল এই মুদ্রা জমা থাকে ডিজিটাল ওয়ালেটে।

যদিও আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিগগির বিটকয়েন অনুমোদন দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বিটকয়েনের ভালো-মন্দ খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক।’

সিআইডিতে তদন্তাধীন দুই মামলা, অভিযোগ একই
এ মুহূর্তে সিআইডি দুটি মামলার তদন্ত করছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে র‌্যাব-১ মো. রায়হান হোসেন ওরফে রায়হানকে গ্রেপ্তার করে। র‌্যাবের দাবি ছিল বাংলাদেশে বিট কয়েন প্রতারণা চক্রের মূল হোতা রায়হান। এক মাসে তিনি ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার লেনদেন করেছেন। অডি গাড়ি কিনেছেন ১ কোটি ৭ লাখ টাকা দিয়ে। তাঁর কাছ থেকে ১৯টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ২২টি সিমকার্ড, ২৫ ডলারসহ ১ হাজার ২৭৫ টাকা, একটি কম্পিউটার, ৩টি সেলফোন, ৩টি ভুয়া চালান বই, একটি ট্রেড লাইসেন্স, একটি টিন সার্টিফিকেট, একটি রেকর্ডিং মাইক্রোফোন, একটি ক্যামেরা, একটি রাউটার, একটি হেডফোন, একটি মডেম ও বিভিন্ন ব্যাংকের চারটি চেকবই উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের অভিযোগ, রায়হান পাকিস্তানি নাগরিক সাইদের সহায়তায় বিটকয়েনের মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও রাশিয়ার চোরাকারবারি, ক্রেডিট কার্ড হ্যাকার ও বিটকয়েনের মাধ্যমে অবৈধ পাচারকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।
প্রায় একই ধরনের অভিযোগ তোলা হয় ইসমাইল হোসেন ওরফে সুমনের বিরুদ্ধে। গত ২ মে রাতে বাড্ডার ইকবাল ভিলা থেকে ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

পরদিন সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও রাশিয়ার ক্রেডিট কার্ড হ্যাকারদের সঙ্গে ইসমাইলের যোগাযোগ ছিল। তিনি বিদেশি সব হ্যাকারের সঙ্গে জোট বেঁধে প্রতারণা করে আসছিলেন। তারা আরও জানায়, ইসমাইল শিশুদের খেলনা ও কাপড়ের ব্যবসা করতেন একসময়। পরে বেসিক বিজ মার্কেটিং নামের একটি আউটসোর্সিং কোম্পানি তৈরি করেন। এর আড়ালে অবৈধ বিটকয়েন লেনদেন এবং অনলাইনে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন। এভাবে তিনি অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। ঢাকায় তাঁর দুটি ফ্ল্যাট, প্লট, সুপার শপের ব্যবসা আছে। এক বছরে তিনি অবৈধভাবে ১২ থেকে ১৫ লাখ ডলার লেনদেন করেন।

বাড্ডার ইসমাইল গ্রেপ্তারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন ওঠে, বিটকয়েন লেনদেন হয় দুটি আইডির মধ্যে, এর বাইরে আর কারও এ–সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারার কথা নয়। তাহলে র‌্যাব তাঁদের প্রতারণার খবর কীভাবে নিশ্চিত হলো।

এ বিষয়ে জানতে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কম্পিউটারে থাকা ডিজিটাল ওয়ালেট পরীক্ষা করে তাঁরা বিটকয়েন লেনদেনের ব্যাপারে তথ্য পান। তাঁদের মধ্যে ইসমাইল ইভ্যালি আদলে ব্যবসার চেষ্টা করছিলেন। তিনি দামি জিনিস কম টাকায় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজ্ঞাপন দিচ্ছিলেন। টাকাটা বিটকয়েনে নিয়ে সাইট বন্ধ করে দিচ্ছিলেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই বিটকয়েন এসেছিল বিদেশ থেকে।
এখন পর্যন্ত বিটকয়েন লেনদেন ও প্রতারণার অভিযোগে র‌্যাব কমপক্ষে পাঁচটি অভিযান চালায়। বগুড়া জেলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে, ঢাকায় সিআইডির পরিদর্শক মো. ইব্রাহীম হোসেন নিজেই বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযোগপত্রও জমা দিয়েছে সিআইডি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অর্গানাইজড ক্রাইমের পরিদর্শক মো. ইব্রাহীম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পাবনার এক ব্যক্তি ২০১৩ সালে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। তিনি একটি ক্যাসিনোতে কাজ নিয়েছিলেন। ওই ক্যাসিনোর মালিক হামকে তিনি বিটকয়েন কেনাবেচার জন্য বাংলাদেশের জাকারিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। একপর্যায়ে হাম দাবি করেন, তিনি বিটকয়েন দিয়েছেন, কিন্তু অর্থ পাননি। এই বলে তিনি পাবনার ওই ব্যক্তিকে পুলিশে ধরিয়ে দেন। পরে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। সিআইডি অনুসন্ধানে জাকারিয়ার লেনদেনের খবর নিশ্চিত হন। আহ্‌ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাকারিয়াকে আসামি করে পরে সিআইডি অভিযোগপত্র জমা দেয়।

ক্রিপ্টোকারেন্সিকে নাকচ করা কঠিন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানান, ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন অনেকেই করছেন। সবাইকে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে, ওয়াকিবহাল আরেকটি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, যাঁরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন, তাঁদের অনেক সময় সেবাগ্রহিতারা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা দিয়ে থাকেন। এভাবে কেউ কেউ ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা লেনদেনে জড়িয়ে পড়ছেন।

সিআইডির একটি সূত্র নাম না প্রকাশ করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি এখন একটি বাস্তবতা। বৈদ্যুতিক গাড়ির কোম্পানি টেসলার নির্বাহী পরিচালক ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক নিজেই বলেছেন, তাঁর কাছে ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে। তিনি আরও বলেছেন, টেসলা এখন বিটকয়েন ব্যবহার করার কথা ভাবছে। বাংলাদেশের উচিত, যেসব দেশ এই মুদ্রার অনুমোদন দিয়েছে, তাদের ঝুঁকি মোকাবিলার কৌশলগুলো পর্যালোচনা করে দ্রুত একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।

একই মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বি এম মঈনুল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সিকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র ক্রিপ্টোকারেন্সিকে করের আওতায় এনে অনুমোদন দিয়েছে। একটাই সমস্যা ব্যবহারকারীদের পরিচয় প্রকাশ না পাওয়ায়, অপরাধের একটা সুযোগ থাকছে। এমনকি বাংলাদেশ থেকে অর্থ বিদেশে পাচারের ঘটনাও ঘটতে পারে। কীভাবে নিজেদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে মেনে নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে চিন্তা করা দরকার।

তবে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) প্রধান নির্বাহী আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, ক্রিপ্টোকারেন্সিকে অনুমোদন দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিময় দুজনের মধ্যে হয়। নজরদারির কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মতো দেশে এটিকে অনুমোদন দেওয়া হলে অর্থ পাচারকারীরা সুযোগ নিতে পারেন। তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো
উন্নত বিশ্বের  সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এটা আমাদের অবশ্যই পজিটিভ চিন্তা ভাবনা শুরু করতে হবে তা ছাড়া এটার বৈধ্যতা নিয়ে যখন সারা বিশ্ব শোচ্চার তখন আমরা এটা নিজেরা বিষয় টি জেনে হোক আর না জেনে হোক অনেক নেগেটিভ কথা শুনতেছি।

30
পশ্চিমা বিশ্বে যাকে ডিজিটাল কারেন্সি বলা হয় । যদিও পৃথিবীর কোন দেশের স্বীকৃত বা বৈধ মুদ্রা নয় এই বিটকয়েন। বাংলাদেশেও এই মুদ্রা অবৈধ। কিন্তু তারপরও হচ্ছে লেনদেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এ ধরনের লেনদেন চলছে। বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র অর্থ লেনদেন করছে দেশে কার্যরত বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ, রকেট ও নগদের মাধ্যমে। ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে বিটকয়েন লেনদেন পুরোপুরি নিষিদ্ধ। তারপরও এই ভার্চুয়াল মুদ্রা লেনদেন চলছে, আর এতে বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা করছেন বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তিবিদরা। তারা বলছেন, সাবধান, লেনদেনে সতর্ক হতে হবে। ইতোমধ্যে কয়েক দফায় বিটকয়েন লেনদেন নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বলছে, এ ধরনের মুদ্রায় লেনদেন ঝুঁকিপূর্ণ। এটি পুরোপুরি অবৈধ। এই মুদ্রার লেনদেন নিষিদ্ধ এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন উল্লেখ করে ‘জাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ’ আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার।

অনুসন্ধানে বাংলাদেশে বিটকয়েন লেনদেনের অন্তত অর্ধশতাধিক ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্যাক্সফুল ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট ঘেটে দেখা গেছে, বাংলাদেশে এরই মধ্যে ৪০ হাজার বিটকয়েন বিক্রি করেছে প্যাক্সফুল ডটকম। ৫৫ হাজার ক্রেতা এই বিটকয়েন কিনেছেন। লোকাল বিটকয়েনস ডটকম নামে অন্য একটি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিকাশ, রকেটসহ মোবাইল ব্যাংকিং এবং সাধারণ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিটকয়েন কেনাবেচা করা যায়। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ওয়েবসাইট বিটকয়েন লেনদেনে টোকেন বিক্রি শুরু করেছে। ‘বিটকয়েন বাংলাদেশ’, বিটকয়েন ফোরাম বাংলাদেশ, ‘বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ : বিটকয়েন বাই এ্যান্ড সেল বাংলাদেশ’ নামে বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেজ খুঁজে পাওয়া যায়। এসব পেজেও বলা হয়েছে, বিকাশ, রকেটসহ মোবাইল ব্যাংকিং ও সাধারণ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিটকয়েন কেনাবেচা করা যাবে। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ বিটকয়েন লেনদেন করাটা অন্তত ঝুঁকিপূর্ণ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতারণার শিকার হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তারপরও কেউ যদি এই লেনদেনে খুব বেশি আগ্রহী হন তাহলে সঠিক ওয়েবসাইট খুলে ডাউনলোড করতে হবে সফটওয়্যার। তারপর ওয়ালেট তৈরি করে সংগ্রহ করতে হবে বিটকয়েন।

জানা গেছে, বিট কয়েনের বৈধতা পেতে ২০১৪ সালে উদ্যোগ নেয় এদেশের আগ্রহী কিছু ফ্রিল্যান্সার। এর অংশ হিসেবে ওই সময় তারা বেশকিছু ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর একটি সতর্কতামূলক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিটকয়েন কোন দেশের ইস্যুকৃত বৈধ মুদ্রা নয়। বিটকয়েন বা বিট কয়েনের মতো কিংবা অন্যকোন কৃত্রিম মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা বাংলাদেশ সরকারের কোন সংস্থা দ্বারা স্বীকৃত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্যকোন নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন বহির্ভূত এসব লেনদেন বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪৭ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ বিজ্ঞপ্তির পর দেশে বিটকয়েন চালুর উদ্যোগ স্তিমিত হয়ে পড়ে।

বাংলাদেশে বিটকয়েন নিষিদ্ধ হলেও বাইরের অনেক প্রতিষ্ঠান এই ভার্চুয়াল মুদ্রায় পেমেন্ট নিয়ে থাকে। দেশে অবৈধ হলেও বিট কয়েনের লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত তারেক জামান (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, বিটকয়েন ডলার কিংবা টাকায় রূপান্তর করা হচ্ছে। অনলাইনে যোগাযোগ করে যে কেউ তাদের কাছ থেকে বিটকয়েন বিনিময় করতে পারেন। এক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে কমিশন নেন তারা। আর বিক্রেতার কাছ থেকে নেয়া বিটকয়েন পরবর্তীতে অনলাইনেই বিদেশী মার্কেট প্লেসগুলোয় বিক্রি করা হয়। দেশে বিট কয়েনে লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত এ ধরনের কয়েকটি চক্রের সন্ধানও পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া অনলাইনভিত্তিক একাধিক সন্দেহভাজন প্রতিষ্ঠানকে নজরদারির মধ্যে রেখেছে তারা। এ প্রসঙ্গে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর জনকণ্ঠকে বলেন, বিটকয়েন মূলত ইন্টারনেট সিস্টেমে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কে প্রোগ্রামিং করা আছে, যা চাইলে কেনা যায়। তবে এটি কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা কোন দেশের জারি করা মুদ্রা নয়। ইন্টারনেট সিস্টেমকে ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি এই সিস্টেমকে ডেভেলপ করেছে। এটাকে এক ধরনের জুয়া খেলা বলা যেতে পারে। তিনি বলেন, এই মুদ্রার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে, এর কোন কর্তৃপক্ষ নেই। এ কারণে এটা অবৈধ। তবে জুয়াড়িদের কাছে এটা জনপ্রিয়। এক সময় এর দাম ছিল এক শ’ ডলার। এক বছরের মধ্যে তা বেড়ে হয় এক হাজার ডলার। এখন এর দাম ১৯ হাজার ডলারে উঠে গেছে। যে কারণে লোভে পড়ে অনেকেই এই মুদ্রায় বিনিয়োগ করছে। কিন্তু হঠাৎ করে এর পেছনের লোকেরা বাজার থেকে সরে গেলে বিপদে পড়বেন অনেকেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের

সতর্কতা জারি

বিটকয়েন নিয়ে একাধিকবার সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশে বিট কয়েনের লেনদেন হচ্ছে, যা কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত নয়। ফলে মানুষের আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এ ধরনের অবৈধ মুদ্রার লেনদেন না করতে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে আরও বলা হয়েছে, অনলাইনভিত্তিক ভার্চুয়াল মুদ্রা বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, রিপ্পেল ও লিটকয়েনসহ বিভিন্ন বিনিময় প্ল্যাটফর্মে লেনদেন হচ্ছে। এসব ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা বৈধ মুদ্রা নয়। ফলে এর বিপরীতে কোন আর্থিক দাবির স্বীকৃতিও নেই। ভার্চুয়াল এসব মুদ্রার লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদিত না হওয়ায় তা আইন দ্বারা সমর্থিত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নামবিহীন বা ছদ্মনামে অনলাইনে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে। এছাড়া অনলাইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনকারী গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়াতে বিট কয়েনের মতো ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন বা এসব লেনদেনের প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

‘জাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ’

আইনে বিটকয়েন

লেনদেন নিষিদ্ধ

জালনোট চোরাকারবারিসহ বিটকয়েন লেনদেনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ‘জাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ’ আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। নতুন আইনটি পাস হলে এটি হবে দেশে জাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে প্রথম আইন। আইনটি বাস্তবায়নে ‘জাতীয় এবং জেলা’ পর্যায়ে কমিটি থাকবে। কমিটির সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে আইনের আওতায় গঠন করা হবে ‘জাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সেল’। জাল নোট সংক্রান্ত খবর দেয়া হলে পুরস্কার দেয়া হবে সংবাদদাতাকে- এ বিধানও থাকছে নতুন আইনে। জাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ আইনের খসড়ায় অপরাধীদের জন্য পরপর তিন দফা শাস্তি আরোপের বিধান রাখা হয়েছে। প্রথমবার অপরাধ করে শাস্তি ভোগ করে দ্বিতীয়বার একই অপরাধে শাস্তি হবে প্রথমবারের তুলনায় দ্বিগুণ। ফের একই ব্যক্তি এ অপরাধ তৃতীয়বার করলে দ-ের পরিমাণ দ্বিগুণ ও সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদ- হবে। জানা গেছে, জাল নোটের কার্যক্রম প্রতিরোধ এবং সংঘটিত এ সংক্রান্ত বিচারের জন্য পৃথক কোন আইন দেশে কার্যকর নেই। ফলে দ-বিধি ১৮৬০-এর ৪৮৯(ক)-(ঘ) ধারা এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪-এর ২৫(ক) ধারা অনুযায়ী জাল নোট সংক্রান্ত অপরাধের বিচার চলছে। কিন্তু এসব আইনে বিচার করতে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বিশেষ করে বিচারকালে শুনানির নির্ধারিত দিনে প্রায়সই সাক্ষী উপস্থিত না থাকায় মামলার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। নতুন আইনে জাল মুদ্রা প্রস্তুত, ক্রয়-বিক্রয়, খাঁটি বলে ব্যবহার ও লেনদেন, প্রতারণার উদ্দেশে নিজের দখলে রাখা, দেশ থেকে বিদেশ বা বিদেশ থেকে সরবরাহ, পরিবহন ও পাচার, অসৎ উদ্দেশে ইচ্ছাকৃত বিতরণ অপরাধ বলে গণ্য হবে। জাল মুদ্রা তৈরির জন্য যন্ত্রপাতি বা উৎপাদন বা দ্রব্যাদি প্রস্তুত, সরবরাহ, আমদানি, মেরামত, বহন ও ক্রয়-বিক্রয় ও ভার্চুয়াল লেনদেন গুরুতর অপরাধ। মুদ্রা তৈরি সংক্রান্ত পদ্ধতি, তথ্য আদান-প্রদান, ফাইল ক্লিপ, হার্ডডিস্ক, এ সংক্রান্ত কোন গুজব ছড়ানো এ আইনের আওতায় অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হবে।


সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ
 
উন্নত দেশ গুলো যখন এটার বৈধতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন আমরা তখন েএটা কে অবৈধ বলার চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং আমাদের অনেক ফ্রিলান্সিং করে যারা অর্থ উপর্জন করছেণ তাদের কে আমরা ডি ,মটিভেশন করছি বলে আমার মনে হয়।

Pages: 1 [2] 3 4 ... 75
ETH & ERC20 Tokens Donations: 0x2143F7146F0AadC0F9d85ea98F23273Da0e002Ab
BNB & BEP20 Tokens Donations: 0xcbDAB774B5659cB905d4db5487F9e2057b96147F
BTC Donations: bc1qjf99wr3dz9jn9fr43q28x0r50zeyxewcq8swng
BTC Tips for Moderators: 1Pz1S3d4Aiq7QE4m3MmuoUPEvKaAYbZRoG
Powered by SMFPacks Social Login Mod