নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বিপুল পরিমাণ টাকা পাঠিয়েছে কাশ্মীরে। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তরিত করে বিটকয়েনের মাধ্যমে এই পাচারের ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছে ইন্ডিয়া টিভি। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এ খবর দেয় গণমাধ্যমটি।
ঐ কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) একটি বিশেষ অ্যাকশন গ্রুপ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আওয়াল নেওয়াজ ওরফে সোহেল নেওয়াজ ও ফজলে রাব্বি চৌধুরী নামে দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদকালে তারা বলেছিল, জঙ্গি সংগঠনগুলি ২০১৪ সাল থেকে বিটকয়েন সিস্টেমের মাধ্যমে প্রচুর তহবিল পাচ্ছে।
এই দু'জন আরও বলে, তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি আকারে পাকিস্তান ও উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছিল। আগে তারা 'হুন্ডি'-র মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করত, তবে এটি এখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে।
বাংলাদেশি স্পেশাল একশন টিমের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার আহমেদুল ইসলাম বলেন, বিটকয়েনের মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন শনাক্ত করা খুব কঠিন। এ কাজ করার মতো প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আমাদের নেই।
২০২০ সালের আগস্টে মার্কিন সরকার ঘোষণা করে, কয়েকশ ক্রিপ্টোকারেন্সী অ্যাকাউন্ট, চারটি ওয়েবসাইট এবং চারটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। এ পদক্ষেপ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর ডিজিটাল মুদ্রার সাহায্যে তহবিল সংগ্রহের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।
তবে বাংলাদেশে ডিজিটাল মুদ্রা এখনো নিষিদ্ধ। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নোটিশ জারি করে প্রত্যেককে এই জাতীয় লেনদেন থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
সূত্র:
ইত্তেফাক