Altcoins Talks - Cryptocurrency Forum

Local => বাংলা (Bengali) => ক্রিপ্টোকুরেন্সি খবর => Topic started by: Malam90 on January 29, 2021, 09:33:38 AM

Title: ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বিটকয়েন ভর্তি হার্ড ডিস্ক ছুঁড়ে ফেলেছেন তিনি
Post by: Malam90 on January 29, 2021, 09:33:38 AM
এমন সৌভাগ্য পায়ে ঠেলেছেন! তাও আবার নয় নয় করে প্রায় দুই হাজার হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। আর আট বছর পর বিটকয়েনরূপী সেই সৌভাগ্যকে ফিরে পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন ব্রিটিশ যুবক। দ্বারস্থ হয়েছেন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের। কিন্তু, কোনো সুরাহা হচ্ছে না। ফলে রাতের ঘুম উধাও জেমস হাউওয়েলসের।
ওয়েলসের অন্তর্গত নিউপোর্টের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের এই তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার। ২০০৯ সালে তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং শুরু করেন। এই পদ্ধতিতে কোনো লগ্নি না করেই সাড়ে ৭ হাজার বিটকয়েন আয় করতেও সক্ষম হন জেমস। নিজের হার্ড ডিস্কে তা সঞ্চয় করে রাখেন। কিন্তু, বিধি বাম! ২০১৩ সালে অফিস পরিষ্কারের সময় একটি বাতিল হার্ড ড্রাইভ ফেলতে গিয়ে ভুলবশত ওই যুবক ভার্চুয়াল কারেন্সির ডিস্কটিই ফেলে দেন । এখন তা নিয়ে হাত কামড়াচ্ছেন তিনি।

আজ থেকে ১২ বছর আগে জেমস যখন ওই বিপুল বিটকয়েন মাইনিং করেছিলেন, তখন তার তেমন কোনো মূল্য ছিল না। কিন্তু, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভার্চুয়াল অর্থের দাম ৪০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এক বিটকয়েনের দাম প্রায় ৩৬ হাজার ডলার। অর্থাৎ, একসময়ে জেমসের হাতে থাকা সেই বিটকয়েনের বর্তমান বাজারদর ২৮০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এই হিসেব দেখেই মাথা ঘুরে গিয়েছে ‘হতভাগ্য’ যুবকের। আট বছর আগে নর্দমায় ফেলে দেয়া হার্ড ডিস্ক খুঁজে দিতে এখন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তরুণ ইঞ্জিনিয়ার মনে করেন, ডিস্কের যে ম্যাগনেটিক ফিল্ডে তথ্য সঞ্চয় থাকে, তার কোনো ক্ষতি হয়নি। ডেটা পুনরুদ্ধারের কাজে যুক্ত ইঞ্জিনিয়াররা তা থেকে সহজেই তথ্য উদ্ধার করে দিতে পারবেন।

যদিও, জেমসকে সেই হার্ড ডিস্ক খুঁজে দিতে অস্বীকার করেছে নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিল। বার বার আবেদন জানানো সত্ত্বেও সাড়া মেলেনি। কাউন্সিলের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের হাতে যে লাইসেন্স রয়েছে, তাতে নর্দমা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। তাছাড়া, বিপুল এলাকা খোঁড়াখুড়ি করা হলে আশপাশে পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। পরিষ্কারের পর বর্জ্য অন্যত্র ফেলতে কোটি কোটি অর্থ ব্যয় হবে। তার পরেও হার্ড ডিস্ক পাওয়া যাবে কি না, তার কী গ্যারান্টি রয়েছে?’

জেমস অবশ্য নাছোড়। হার্ড ডিস্ক পেতে শেষ চেষ্টা হিসেবে ‘প্ল্যান-বি’ ভেবে রেখেছেন তিনি। কথাবার্তা চালাচ্ছেন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে। জেমসের কথায়, ‘আমি পুরনো কিছু গচ্ছিত অর্থ খুঁজে পেয়েছি। হার্ড ডিস্ক খুঁজতে ওই টাকা কাউন্সিলকে দিতে চাই।

বিটকয়েন এক ধরনের ‘ভার্চুয়াল কারেন্সি’ বা ডিজিটাল মুদ্রা। এটি সাঙ্কেতিক রূপে থাকে, দেখা যায় না এবং অত্যন্ত নিরাপদ বলে এর নাম ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’। অনলাইন ওয়ালেটে এটি জমিয়ে রাখা যায়। সাধারণ মুদ্রার মতো বিটকয়েন দিয়ে কেনাকাটা করা সম্ভব।

সূত্র= নয়াদিগন্ত (https://www.dailynayadiganta.com/uk/558927/২-হাজার-৩৭৪-কোটি-টাকার-বিটকয়েন-ভর্তি-হার্ড-ডিস্ক-ছুঁড়ে-ফেলেছেন-তিনি)
Title: Re: ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বিটকয়েন ভর্তি হার্ড ডিস্ক ছুঁড়ে ফেলেছেন তিনি
Post by: Zixr on February 03, 2021, 07:32:44 AM
এভাবে আপনি আপডেট নিউজ দিতে থাকুন। সবার অনেক উপকার হবে ‌। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Title: Re: ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বিটকয়েন ভর্তি হার্ড ডিস্ক ছুঁড়ে ফেলেছেন তিনি
Post by: Tubelight on March 16, 2021, 11:48:46 AM
এই ধরনের ঘটনা কি সত্যি। আপনার সম্পূর্ণ ঘটনা পড়ার পর আমি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছি না যে মানুষ কোনদিন এরকম কিছু করতে পারে। সত্যিই বিষয়টি বিশ্বাস করার মতো নয়।
Title: Re: ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বিটকয়েন ভর্তি হার্ড ডিস্ক ছুঁড়ে ফেলেছেন তিনি
Post by: Rothi roy on March 16, 2021, 12:38:14 PM
আপনার পোস্ট অনেক সুন্দর। কিন্তু পড়ার পর আমি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছি না।
Title: Re: ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বিটকয়েন ভর্তি হার্ড ডিস্ক ছুঁড়ে ফেলেছেন তিনি
Post by: Jan on March 31, 2021, 08:29:23 AM
এমন সৌভাগ্য পায়ে ঠেলেছেন! তাও আবার নয় নয় করে প্রায় দুই হাজার হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। আর আট বছর পর বিটকয়েনরূপী সেই সৌভাগ্যকে ফিরে পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন ব্রিটিশ যুবক। দ্বারস্থ হয়েছেন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের। কিন্তু, কোনো সুরাহা হচ্ছে না। ফলে রাতের ঘুম উধাও জেমস হাউওয়েলসের।
ওয়েলসের অন্তর্গত নিউপোর্টের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের এই তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার। ২০০৯ সালে তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং শুরু করেন। এই পদ্ধতিতে কোনো লগ্নি না করেই সাড়ে ৭ হাজার বিটকয়েন আয় করতেও সক্ষম হন জেমস। নিজের হার্ড ডিস্কে তা সঞ্চয় করে রাখেন। কিন্তু, বিধি বাম! ২০১৩ সালে অফিস পরিষ্কারের সময় একটি বাতিল হার্ড ড্রাইভ ফেলতে গিয়ে ভুলবশত ওই যুবক ভার্চুয়াল কারেন্সির ডিস্কটিই ফেলে দেন । এখন তা নিয়ে হাত কামড়াচ্ছেন তিনি।

আজ থেকে ১২ বছর আগে জেমস যখন ওই বিপুল বিটকয়েন মাইনিং করেছিলেন, তখন তার তেমন কোনো মূল্য ছিল না। কিন্তু, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভার্চুয়াল অর্থের দাম ৪০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এক বিটকয়েনের দাম প্রায় ৩৬ হাজার ডলার। অর্থাৎ, একসময়ে জেমসের হাতে থাকা সেই বিটকয়েনের বর্তমান বাজারদর ২৮০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এই হিসেব দেখেই মাথা ঘুরে গিয়েছে ‘হতভাগ্য’ যুবকের। আট বছর আগে নর্দমায় ফেলে দেয়া হার্ড ডিস্ক খুঁজে দিতে এখন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তরুণ ইঞ্জিনিয়ার মনে করেন, ডিস্কের যে ম্যাগনেটিক ফিল্ডে তথ্য সঞ্চয় থাকে, তার কোনো ক্ষতি হয়নি। ডেটা পুনরুদ্ধারের কাজে যুক্ত ইঞ্জিনিয়াররা তা থেকে সহজেই তথ্য উদ্ধার করে দিতে পারবেন।

যদিও, জেমসকে সেই হার্ড ডিস্ক খুঁজে দিতে অস্বীকার করেছে নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিল। বার বার আবেদন জানানো সত্ত্বেও সাড়া মেলেনি। কাউন্সিলের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের হাতে যে লাইসেন্স রয়েছে, তাতে নর্দমা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। তাছাড়া, বিপুল এলাকা খোঁড়াখুড়ি করা হলে আশপাশে পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। পরিষ্কারের পর বর্জ্য অন্যত্র ফেলতে কোটি কোটি অর্থ ব্যয় হবে। তার পরেও হার্ড ডিস্ক পাওয়া যাবে কি না, তার কী গ্যারান্টি রয়েছে?’

জেমস অবশ্য নাছোড়। হার্ড ডিস্ক পেতে শেষ চেষ্টা হিসেবে ‘প্ল্যান-বি’ ভেবে রেখেছেন তিনি। কথাবার্তা চালাচ্ছেন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে। জেমসের কথায়, ‘আমি পুরনো কিছু গচ্ছিত অর্থ খুঁজে পেয়েছি। হার্ড ডিস্ক খুঁজতে ওই টাকা কাউন্সিলকে দিতে চাই।

বিটকয়েন এক ধরনের ‘ভার্চুয়াল কারেন্সি’ বা ডিজিটাল মুদ্রা। এটি সাঙ্কেতিক রূপে থাকে, দেখা যায় না এবং অত্যন্ত নিরাপদ বলে এর নাম ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’। অনলাইন ওয়ালেটে এটি জমিয়ে রাখা যায়। সাধারণ মুদ্রার মতো বিটকয়েন দিয়ে কেনাকাটা করা সম্ভব।

সূত্র= নয়াদিগন্ত (https://www.dailynayadiganta.com/uk/558927/২-হাজার-৩৭৪-কোটি-টাকার-বিটকয়েন-ভর্তি-হার্ড-ডিস্ক-ছুঁড়ে-ফেলেছেন-তিনি)
জেমসের ঘটনা থেকে আমি ভরতে চাই অবশ্যই এটা বিধির লিখন এখানে কিছুই করার নেই তার কপালে যদি সেটা থাকবে অবশ্যই সে পেত কিন্তু তার কপালে ওটা নেই তাই সে পায়নি তবে এখন বিটকয়েনের যে পরিমাণ প্রায় সেই বিটকয়েন গুলো যদি পারত তাহলে সে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনীদের মধ্যে একজন থাকতো ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি তথ্য তুলে ধরার জন্য।
Title: Re: ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বিটকয়েন ভর্তি হার্ড ডিস্ক ছুঁড়ে ফেলেছেন তিনি
Post by: Tepona on April 03, 2021, 09:28:41 AM
আসলে কি ব্রো কারেন্সি বাজার কিভাবে পরিবর্তন হয় সেটা আপনার অজানা নয়। কারণ ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজার 2009 সাল থেকে আপনি যদি পর্যবেক্ষণ করেন তাহলে আস্তে আস্তে এর অগ্রগতি কিভাবে হয়েছে তা বুঝতে পারবেন। 2017 সালে এর প্রথম দিকে আমার এক বড় ভাই ফেসবুকে পোস্ট দিতেও বিটিসি দরকার। এখন আর তিনি ফেসবুকে পোষ্ট দেয় না বিটিসি দরকার। কারন সে বিটকয়েন লেনদেন করতে করতে বড় ধরনের বায়ারের পরিবর্তন হয়ে গেছে। তার কাছে অনেক বিটকয়েন ছিল। এভাবে বাজারের অবস্থা আমরা পরিবর্তন দেখতে পাই।
Title: Re: ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বিটকয়েন ভর্তি হার্ড ডিস্ক ছুঁড়ে ফেলেছেন তিনি
Post by: Dark Knight on April 04, 2021, 07:22:01 AM
এমন সৌভাগ্য পায়ে ঠেলেছেন! তাও আবার নয় নয় করে প্রায় দুই হাজার হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। আর আট বছর পর বিটকয়েনরূপী সেই সৌভাগ্যকে ফিরে পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন ব্রিটিশ যুবক। দ্বারস্থ হয়েছেন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের। কিন্তু, কোনো সুরাহা হচ্ছে না। ফলে রাতের ঘুম উধাও জেমস হাউওয়েলসের।
ওয়েলসের অন্তর্গত নিউপোর্টের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের এই তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার। ২০০৯ সালে তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং শুরু করেন। এই পদ্ধতিতে কোনো লগ্নি না করেই সাড়ে ৭ হাজার বিটকয়েন আয় করতেও সক্ষম হন জেমস। নিজের হার্ড ডিস্কে তা সঞ্চয় করে রাখেন। কিন্তু, বিধি বাম! ২০১৩ সালে অফিস পরিষ্কারের সময় একটি বাতিল হার্ড ড্রাইভ ফেলতে গিয়ে ভুলবশত ওই যুবক ভার্চুয়াল কারেন্সির ডিস্কটিই ফেলে দেন । এখন তা নিয়ে হাত কামড়াচ্ছেন তিনি।

আজ থেকে ১২ বছর আগে জেমস যখন ওই বিপুল বিটকয়েন মাইনিং করেছিলেন, তখন তার তেমন কোনো মূল্য ছিল না। কিন্তু, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভার্চুয়াল অর্থের দাম ৪০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এক বিটকয়েনের দাম প্রায় ৩৬ হাজার ডলার। অর্থাৎ, একসময়ে জেমসের হাতে থাকা সেই বিটকয়েনের বর্তমান বাজারদর ২৮০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এই হিসেব দেখেই মাথা ঘুরে গিয়েছে ‘হতভাগ্য’ যুবকের। আট বছর আগে নর্দমায় ফেলে দেয়া হার্ড ডিস্ক খুঁজে দিতে এখন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তরুণ ইঞ্জিনিয়ার মনে করেন, ডিস্কের যে ম্যাগনেটিক ফিল্ডে তথ্য সঞ্চয় থাকে, তার কোনো ক্ষতি হয়নি। ডেটা পুনরুদ্ধারের কাজে যুক্ত ইঞ্জিনিয়াররা তা থেকে সহজেই তথ্য উদ্ধার করে দিতে পারবেন।

যদিও, জেমসকে সেই হার্ড ডিস্ক খুঁজে দিতে অস্বীকার করেছে নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিল। বার বার আবেদন জানানো সত্ত্বেও সাড়া মেলেনি। কাউন্সিলের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের হাতে যে লাইসেন্স রয়েছে, তাতে নর্দমা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। তাছাড়া, বিপুল এলাকা খোঁড়াখুড়ি করা হলে আশপাশে পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। পরিষ্কারের পর বর্জ্য অন্যত্র ফেলতে কোটি কোটি অর্থ ব্যয় হবে। তার পরেও হার্ড ডিস্ক পাওয়া যাবে কি না, তার কী গ্যারান্টি রয়েছে?’

জেমস অবশ্য নাছোড়। হার্ড ডিস্ক পেতে শেষ চেষ্টা হিসেবে ‘প্ল্যান-বি’ ভেবে রেখেছেন তিনি। কথাবার্তা চালাচ্ছেন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে। জেমসের কথায়, ‘আমি পুরনো কিছু গচ্ছিত অর্থ খুঁজে পেয়েছি। হার্ড ডিস্ক খুঁজতে ওই টাকা কাউন্সিলকে দিতে চাই।

বিটকয়েন এক ধরনের ‘ভার্চুয়াল কারেন্সি’ বা ডিজিটাল মুদ্রা। এটি সাঙ্কেতিক রূপে থাকে, দেখা যায় না এবং অত্যন্ত নিরাপদ বলে এর নাম ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’। অনলাইন ওয়ালেটে এটি জমিয়ে রাখা যায়। সাধারণ মুদ্রার মতো বিটকয়েন দিয়ে কেনাকাটা করা সম্ভব।

সূত্র= নয়াদিগন্ত (https://www.dailynayadiganta.com/uk/558927/২-হাজার-৩৭৪-কোটি-টাকার-বিটকয়েন-ভর্তি-হার্ড-ডিস্ক-ছুঁড়ে-ফেলেছেন-তিনি)
তিনি সত্যিই বোকার মত একটি কাজ করেছেন।তিনি যদি বুঝতে পারতেন যে বিটকয়েনের দাম ভবিষ্যতে এতটা পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে তাহলে হয়তো 2374 কোটি টাকার বিটকয়েন ভর্তি হার্ডডিস্ক ছুড়ে ফেলতেন না। তিনি যখন ছুড়ে ফেলে ছিলেন তখন বিটকয়েনের দাম কিন্তু সেরকম ছিলনা এখন যে রকম হয়েছে। তিনি হয়তো জানতেন না যে ক্রিপ্টোকারেন্সি তে যে কোন সময় যে কোন কিছু ঘটতে পারে। ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট দিনের-পর-দিন পরিবর্তিত হতে থাকে।
Title: Re: ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বিটকয়েন ভর্তি হার্ড ডিস্ক ছুঁড়ে ফেলেছেন তিনি
Post by: Riddi on April 06, 2021, 01:29:38 PM
এমন সৌভাগ্য পায়ে ঠেলেছেন! তাও আবার নয় নয় করে প্রায় দুই হাজার হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। আর আট বছর পর বিটকয়েনরূপী সেই সৌভাগ্যকে ফিরে পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন ব্রিটিশ যুবক। দ্বারস্থ হয়েছেন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের। কিন্তু, কোনো সুরাহা হচ্ছে না। ফলে রাতের ঘুম উধাও জেমস হাউওয়েলসের।
ওয়েলসের অন্তর্গত নিউপোর্টের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের এই তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার। ২০০৯ সালে তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং শুরু করেন। এই পদ্ধতিতে কোনো লগ্নি না করেই সাড়ে ৭ হাজার বিটকয়েন আয় করতেও সক্ষম হন জেমস। নিজের হার্ড ডিস্কে তা সঞ্চয় করে রাখেন। কিন্তু, বিধি বাম! ২০১৩ সালে অফিস পরিষ্কারের সময় একটি বাতিল হার্ড ড্রাইভ ফেলতে গিয়ে ভুলবশত ওই যুবক ভার্চুয়াল কারেন্সির ডিস্কটিই ফেলে দেন । এখন তা নিয়ে হাত কামড়াচ্ছেন তিনি।

আজ থেকে ১২ বছর আগে জেমস যখন ওই বিপুল বিটকয়েন মাইনিং করেছিলেন, তখন তার তেমন কোনো মূল্য ছিল না। কিন্তু, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভার্চুয়াল অর্থের দাম ৪০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এক বিটকয়েনের দাম প্রায় ৩৬ হাজার ডলার। অর্থাৎ, একসময়ে জেমসের হাতে থাকা সেই বিটকয়েনের বর্তমান বাজারদর ২৮০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এই হিসেব দেখেই মাথা ঘুরে গিয়েছে ‘হতভাগ্য’ যুবকের। আট বছর আগে নর্দমায় ফেলে দেয়া হার্ড ডিস্ক খুঁজে দিতে এখন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তরুণ ইঞ্জিনিয়ার মনে করেন, ডিস্কের যে ম্যাগনেটিক ফিল্ডে তথ্য সঞ্চয় থাকে, তার কোনো ক্ষতি হয়নি। ডেটা পুনরুদ্ধারের কাজে যুক্ত ইঞ্জিনিয়াররা তা থেকে সহজেই তথ্য উদ্ধার করে দিতে পারবেন।

যদিও, জেমসকে সেই হার্ড ডিস্ক খুঁজে দিতে অস্বীকার করেছে নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিল। বার বার আবেদন জানানো সত্ত্বেও সাড়া মেলেনি। কাউন্সিলের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের হাতে যে লাইসেন্স রয়েছে, তাতে নর্দমা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। তাছাড়া, বিপুল এলাকা খোঁড়াখুড়ি করা হলে আশপাশে পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। পরিষ্কারের পর বর্জ্য অন্যত্র ফেলতে কোটি কোটি অর্থ ব্যয় হবে। তার পরেও হার্ড ডিস্ক পাওয়া যাবে কি না, তার কী গ্যারান্টি রয়েছে?’

জেমস অবশ্য নাছোড়। হার্ড ডিস্ক পেতে শেষ চেষ্টা হিসেবে ‘প্ল্যান-বি’ ভেবে রেখেছেন তিনি। কথাবার্তা চালাচ্ছেন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে। জেমসের কথায়, ‘আমি পুরনো কিছু গচ্ছিত অর্থ খুঁজে পেয়েছি। হার্ড ডিস্ক খুঁজতে ওই টাকা কাউন্সিলকে দিতে চাই।

বিটকয়েন এক ধরনের ‘ভার্চুয়াল কারেন্সি’ বা ডিজিটাল মুদ্রা। এটি সাঙ্কেতিক রূপে থাকে, দেখা যায় না এবং অত্যন্ত নিরাপদ বলে এর নাম ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’। অনলাইন ওয়ালেটে এটি জমিয়ে রাখা যায়। সাধারণ মুদ্রার মতো বিটকয়েন দিয়ে কেনাকাটা করা সম্ভব।

সূত্র= নয়াদিগন্ত (https://www.dailynayadiganta.com/uk/558927/২-হাজার-৩৭৪-কোটি-টাকার-বিটকয়েন-ভর্তি-হার্ড-ডিস্ক-ছুঁড়ে-ফেলেছেন-তিনি)
জেমসের এই ঘটনাটি পড়ে সত্যিই অবাক হলাম। আসল ঘটনাটি থেকে আমি যতটুকু শিখলাম যে ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে ভালো কিছু পেতে হলে অবশ্যই তাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। যে ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে ধৈর্য ধারণ করে থাকতে পারবে।সেই ভবিষ্যতে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে ভালো একটি ফলাফল পাবে। অবশ্যই  জেমসের এই ঘটনাটি ধরা যাক সে যদি ধৈর্য ধরে বিটকয়েন গুলো রেখে দিত এখন তাহলে তার অবস্থান কত উপরে ছিল তা কল্পনার বাইরে।
Title: Re: ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বিটকয়েন ভর্তি হার্ড ডিস্ক ছুঁড়ে ফেলেছেন তিনি
Post by: Azharul on April 16, 2021, 12:30:42 AM
আমরা শুনেছি যে ব্রিটিশ এক যুবক জেমস হাউওয়েলস সাধারণ হার্ড ডিস্ক মনে করে ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার ডিজিটাল মুদ্রা ভর্তি হার্ড ডিস্ক ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। আর আমরা জানি ক্রিপ্টো জগতের সব থেকে শীর্ষ ডিজিটাল মুদ্রা হলো বিটকয়েন।তাই আমি বলতে পারি যে সেই সময় তিনি যদি মুদ্রা গুলো সংরক্ষণ করে রাখতে পারতেন তাহলে বর্তমান সময়ে তার অবস্থান অনেক উপরে থাকতো।
Title: Re: ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বিটকয়েন ভর্তি হার্ড ডিস্ক ছুঁড়ে ফেলেছেন তিনি
Post by: Jokar on May 03, 2021, 12:36:00 PM
এমন সৌভাগ্য পায়ে ঠেলেছেন! তাও আবার নয় নয় করে প্রায় দুই হাজার হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। আর আট বছর পর বিটকয়েনরূপী সেই সৌভাগ্যকে ফিরে পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন ব্রিটিশ যুবক। দ্বারস্থ হয়েছেন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের। কিন্তু, কোনো সুরাহা হচ্ছে না। ফলে রাতের ঘুম উধাও জেমস হাউওয়েলসের।
ওয়েলসের অন্তর্গত নিউপোর্টের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের এই তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার। ২০০৯ সালে তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং শুরু করেন। এই পদ্ধতিতে কোনো লগ্নি না করেই সাড়ে ৭ হাজার বিটকয়েন আয় করতেও সক্ষম হন জেমস। নিজের হার্ড ডিস্কে তা সঞ্চয় করে রাখেন। কিন্তু, বিধি বাম! ২০১৩ সালে অফিস পরিষ্কারের সময় একটি বাতিল হার্ড ড্রাইভ ফেলতে গিয়ে ভুলবশত ওই যুবক ভার্চুয়াল কারেন্সির ডিস্কটিই ফেলে দেন । এখন তা নিয়ে হাত কামড়াচ্ছেন তিনি।

আজ থেকে ১২ বছর আগে জেমস যখন ওই বিপুল বিটকয়েন মাইনিং করেছিলেন, তখন তার তেমন কোনো মূল্য ছিল না। কিন্তু, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভার্চুয়াল অর্থের দাম ৪০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এক বিটকয়েনের দাম প্রায় ৩৬ হাজার ডলার। অর্থাৎ, একসময়ে জেমসের হাতে থাকা সেই বিটকয়েনের বর্তমান বাজারদর ২৮০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এই হিসেব দেখেই মাথা ঘুরে গিয়েছে ‘হতভাগ্য’ যুবকের। আট বছর আগে নর্দমায় ফেলে দেয়া হার্ড ডিস্ক খুঁজে দিতে এখন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তরুণ ইঞ্জিনিয়ার মনে করেন, ডিস্কের যে ম্যাগনেটিক ফিল্ডে তথ্য সঞ্চয় থাকে, তার কোনো ক্ষতি হয়নি। ডেটা পুনরুদ্ধারের কাজে যুক্ত ইঞ্জিনিয়াররা তা থেকে সহজেই তথ্য উদ্ধার করে দিতে পারবেন।

যদিও, জেমসকে সেই হার্ড ডিস্ক খুঁজে দিতে অস্বীকার করেছে নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিল। বার বার আবেদন জানানো সত্ত্বেও সাড়া মেলেনি। কাউন্সিলের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের হাতে যে লাইসেন্স রয়েছে, তাতে নর্দমা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। তাছাড়া, বিপুল এলাকা খোঁড়াখুড়ি করা হলে আশপাশে পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। পরিষ্কারের পর বর্জ্য অন্যত্র ফেলতে কোটি কোটি অর্থ ব্যয় হবে। তার পরেও হার্ড ডিস্ক পাওয়া যাবে কি না, তার কী গ্যারান্টি রয়েছে?’

জেমস অবশ্য নাছোড়। হার্ড ডিস্ক পেতে শেষ চেষ্টা হিসেবে ‘প্ল্যান-বি’ ভেবে রেখেছেন তিনি। কথাবার্তা চালাচ্ছেন নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে। জেমসের কথায়, ‘আমি পুরনো কিছু গচ্ছিত অর্থ খুঁজে পেয়েছি। হার্ড ডিস্ক খুঁজতে ওই টাকা কাউন্সিলকে দিতে চাই।

বিটকয়েন এক ধরনের ‘ভার্চুয়াল কারেন্সি’ বা ডিজিটাল মুদ্রা। এটি সাঙ্কেতিক রূপে থাকে, দেখা যায় না এবং অত্যন্ত নিরাপদ বলে এর নাম ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’। অনলাইন ওয়ালেটে এটি জমিয়ে রাখা যায়। সাধারণ মুদ্রার মতো বিটকয়েন দিয়ে কেনাকাটা করা সম্ভব।

সূত্র= নয়াদিগন্ত (https://www.dailynayadiganta.com/uk/558927/২-হাজার-৩৭৪-কোটি-টাকার-বিটকয়েন-ভর্তি-হার্ড-ডিস্ক-ছুঁড়ে-ফেলেছেন-তিনি)
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এই পোস্টটি করার জন্য। এখানে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছেন। আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সকলকে সতর্ক করেছেন। এখান থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে নতুন নতুন খবর দেওয়ার জন্য। এখান থেকে আমরা অনেকেই আপনার পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছি।