Altcoins Talks - Cryptocurrency Forum
Local => বাংলা (Bengali) => ক্রিপ্টোকুরেন্সি খবর => Topic started by: Dark Knight on June 27, 2021, 09:30:10 AM
-
প্রচলিত মুদ্রার সঙ্গে বিটকয়েনের বড় পার্থক্য হলো, এর নিয়ন্ত্রণ কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিংবা সরকারের হাতে নেই। স্টক বা বন্ডে বিনিয়োগের সঙ্গেও রয়েছে বিস্তর ফারাক। কারণ এটি কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয় যে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষা করে বুঝবেন, তা কোন পথে এগোচ্ছে।
বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামের কেউ বা কারা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রাটি উদ্ভাবন করে। বিটকয়েনে লেনদেন লিপিবদ্ধ হয় ব্লকচেইন প্রযুক্তির ভার্চ্যুয়াল খতিয়ানে। বিটকয়েন কার কাছ থেকে কার কাছে গেল, তার হিসাব থাকে সেখানে। এটিই বিটকয়েনের মালিকানা প্রমাণ করে।
বিটকয়েনের মূল্য নির্ধারণ হয় কীভাবে
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কোনো দেশের অর্থব্যবস্থা, আর্থিক নীতিমালা, মুদ্রাস্ফীতির হার এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো বিটকয়েনের মূল্য নির্ধারণ করতে পারে না। এর মূল্য নির্ধারণে যে বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে, তা হলো—
বিটকয়েনের চাহিদা ও জোগান
মাইনিংয়ের মাধ্যমে বিটকয়েন তৈরির খরচ
ব্লকচেইনে লেনদেন যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক
প্রচলিত বিটকয়েনের পরিমাণ
যে মাধ্যমে বিনিময় হয়
বিটকয়েনে লেনদেনে নানা রাষ্ট্রের বিধিনিষেধ
বিটকয়েনের অভ্যন্তরীণ পরিচালনব্যবস্থা
বিটকয়েন মাইনিংয়ে সচরাচর এমন কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়বিটকয়েন মাইনিংয়ে সচরাচর এমন কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়
চাহিদা ও জোগান দিয়ে শুরু করা যাক
কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেমন নতুন ব্যাংক নোটের প্রচলন করে, বিটকয়েনের প্রচলন হয় ‘মাইনিং’ নামের প্রক্রিয়ায়। যে কেউ বিটকয়েনে লেনদেন সম্পাদনে এবং বিটকয়েন নেটওয়ার্কের সুরক্ষা নিশ্চিতে সাহায্য করতে পারেন। এ জন্য বিশেষ কম্পিউটার যন্ত্রাংশ সেটআপ করতে হয়, গাণিতিক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এটি মাইনিং হিসেবে পরিচিত। বিনিময়ে পুরস্কার হিসেবে তাঁরা বিটকয়েন পেয়ে থাকেন।
বিটকয়েনের জোগান দুভাবে প্রভাবিত হয়। প্রথমত, মাইনিংয়ের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরির হার আগে থেকেই নির্ধারিত। এই হার সময়ের সঙ্গে কমতে থাকবে। যেমন ২০১৬ সালে মোট বিটকয়েন বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৭ সালে ৪ দশমিক ৪ এবং ২০১৮ সালে এই হার ছিল ৪ শতাংশ। এতে বিটকয়েনের চাহিদা যত দ্রুত বাড়ছে, জোগান সে হারে বাড়ছে না।
দ্বিতীয়ত, বিটকয়েন প্রোটোকল অনুযায়ী সর্বসাকল্যে ২ কোটি ১০ লাখ বিটকয়েনের প্রচলন হবে। মোট বিটকয়েনের পরিমাণ সেই সংখ্যা ছুঁলে মাইনিংয়ের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি আর সম্ভব হবে না। অর্থাৎ মোট বিটকয়েনের পরিমাণ সীমিত।
২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাজারে মোট ১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৭ হাজার বিটকয়েন প্রচলিত ছিল। সেটি সম্ভাব্য মোট বিটকয়েন জোগানের ৮৮ দশমিক ৫ শতাংশ। সংখ্যাটি এত দিনে আরও বেড়েছে নিশ্চয়।
এথেরিয়াম, টেদারসহ বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। ছবির মুদ্রাগুলো অবশ্য প্রতীকীএথেরিয়াম, টেদারসহ বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। ছবির মুদ্রাগুলো অবশ্য প্রতীকী
প্রতিযোগিতার কথাও মাথায় রাখা জরুরি
বিটকয়েন নিঃসন্দেহে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টো মুদ্রা। তবে আরও অনেক এমন মুদ্রার প্রচলন হচ্ছে। বিটকয়েনের ‘নিকটবর্তী’ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে রয়েছে এথেরিয়াম, টেদার, বাইন্যান্স কয়েন, কারডানো ও পলকাডট। ক্রিপ্টো মুদ্রার এই প্রতিযোগিতা বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো। এতে মূল্য চট করে আকাশচুম্বী হতে পারে না। তবে বিটকয়েনের বেলায় এটা এতটাই মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়েছে যে প্রতিদ্বন্দ্বী মুদ্রাগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকার সুযোগ পেয়েছে।
নতুন বিটকয়েন তৈরির খরচও তো বাড়ছে
ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা হলেও বিটকয়েন তৈরির খরচ তো আছেই। কম্পিউটার যন্ত্রাংশ সেটআপ করার খরচ আছে, সেগুলো পরিচালনায় বিদ্যুতের খরচ আছে।
মনে করুন, বর্তমান হারে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে বিটকয়েন তৈরি হবে। এখন যদি একজন মাইনার বিটকয়েন মাইনিং করেন, তবে তিনি প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে বিটকয়েন পাবেন।
দিন কয়েক আগে এল সালভাদরে দ্বিতীয় বৈধ মুদ্রা হিসেবে বিটকয়েনের প্রচলন করা হয়। সে ঘোষণার পর দেশটির রাজধানী সান সালভাদরে স্থাপিত বিটকয়েন এটিএম বুথের ছবি তুলছেন এক নারীদিন কয়েক আগে এল সালভাদরে দ্বিতীয় বৈধ মুদ্রা হিসেবে বিটকয়েনের প্রচলন করা হয়। সে ঘোষণার পর দেশটির রাজধানী সান সালভাদরে স্থাপিত বিটকয়েন এটিএম বুথের ছবি তুলছেন এক নারী
১০০ জন সে কাজ করলে প্রতিযোগিতাই কেবল বাড়বে। ওই ১০ মিনিটে একটির বেশি বিটকয়েন তো আর তৈরি হবে না। এবার কল্পনা করুন, বিশ্বব্যাপী ১০ লাখ মানুষ একই সময়ে একই কাজ করে যাচ্ছেন। অর্থাৎ সেই যন্ত্রাংশের খরচ, শ্রমের খরচ এবং সম্মিলিত বিদ্যুৎ বিল হু হু করে বাড়লেও বিটকয়েন তৈরির হার একই থাকছে। অর্থাৎ বিটকয়েন তৈরির খরচ বেড়ে যাচ্ছে। আর তৈরির খরচ বিটকয়েনের মূল্যে বড় প্রভাব ফেলে।
নীতিনির্ধারকদের বিভ্রান্তি
বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টো মুদ্রা দ্রুত জনপ্রিয় হওয়ায় বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারকেরা এমন ভার্চ্যুয়াল সম্পদ কী হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করবেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে ক্রিপ্টো মুদ্রা ‘সিকিউরিটিজ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ। আবার একই দেশের কমোডিটি ফিউচার্স ট্রেডিং কমিশন এই মুদ্রাগুলোকে ‘পণ্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এতে কোন সংস্থা বিটকয়েনের মতো মুদ্রার নিয়ন্ত্রণ করবে, তা নিয়েও বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
ইলন মাস্কের রকেট তৈরির প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সঙ্গে বিটকয়েনের মূল্যে ঊর্ধ্বগতির তুলনা করে ছবিটি বানিয়েছেন কেউ। ইলন প্রায়ই টুইটারে বিটকয়েন নিয়ে আলোচনা করেনইলন মাস্কের রকেট তৈরির প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সঙ্গে বিটকয়েনের মূল্যে ঊর্ধ্বগতির তুলনা করে ছবিটি বানিয়েছেন কেউ। ইলন প্রায়ই টুইটারে বিটকয়েন নিয়ে আলোচনা করেন
বিটকয়েনের অভ্যন্তরীণ পরিচালনব্যবস্থা
কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা না থাকায় বিটকয়েনে লেনদেন সম্পন্ন করতে এবং নেটওয়ার্ক নিরাপদ রাখার ভার অনেকটা সফটওয়্যার ডেভেলপার এবং মাইনারদের ওপর। সাধারণ সমস্যার সমাধান দীর্ঘ সময়ের আগে সম্ভব হয় না। এতে বিটকয়েন কমিউনিটিতে হতাশা বাড়ছে।
বিটকয়েনে লেনদেন বর্তমানে যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, তা সেকেন্ডে কেবল তিনটি লেনদেন সম্পন্ন করতে পারে। শুরুর দিকে সেটা কোনো সমস্যা না হলেও বিটকয়েনে লেনদেনের চাহিদা বাড়ায় এখন সে সফটওয়্যারের কারণেই লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। একসময় হয়তো বিরক্ত হয়ে বিনিয়োগকারীরা অন্য ক্রিপ্টো মুদ্রায় লেনদেনে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
বিটকয়েনের দাম কখন বাড়ে, কখন কমে?
বিটকয়েনের মূল্য ওঠানামায় প্রচারিত সংবাদ, অনুমান, প্রাপ্যতা প্রভৃতির প্রভাব আছে। যেমন নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হলে অনেক বিনিয়োগকারী তড়িঘড়ি করে তাঁদের বিটকয়েন বিক্রি করে দেন। এতে দাম কমে যায়। আবার ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশ পেলে হয় উল্টোটা।
চীনা ব্যাংকগুলোকে বিটকয়েনে যেকোনো ধরনের লেনদেন বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছেচীনা ব্যাংকগুলোকে বিটকয়েনে যেকোনো ধরনের লেনদেন বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
তা ছাড়া, বাজারে বিটকয়েন বিক্রির পরিমাণ বাড়লে মূল্য কমে। আবার যত বেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ এবং বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে বিটকয়েন গ্রহণ করছে, এর দাম তত বাড়ছে।
আরেকটি ব্যাপার হলো, অনেকে মানুষ প্রচলিত মুদ্রায় বিশ্বাস না রাখতে পেরে বিকল্প মাধ্যম খুঁজতে থাকেন। বিটকয়েনের কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা না থাকায় এটিকে বেছে নিচ্ছেন অনেকে। এতেও দাম বাড়ছে।
বিভিন্ন দেশে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টো মুদ্রায় লেনদেনে বিধিনিষেধ আছে। সেটাও বিটকয়েনের মূল্যে প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি চীনা ব্যাংকগুলোকে বিটকয়েনে যেকোনো ধরনের লেনদেন বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরে বিটকয়েনের দাম পড়ে যায়।
তথ্যসূত্র: ইনভেস্টোপিডিয়া
source (https://www-prothomalo-com.cdn.ampproject.org/v/s/www.prothomalo.com/amp/story/education/science-tech/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%87?amp_js_v=a6&_gsa=1&usqp=mq331AQIKAGwASCAAgM%3D#aoh=16247786486222&csi=0&referrer=https%3A%2F%2Fwww.google.com&_tf=From%20%251%24s&share=https%3A%2F%2Fwww.prothomalo.com%2Feducation%2Fscience-tech%2F%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%259F%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE-%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%2596%25E0%25A6%25A8-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259C%25E0%25A7%2587-%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A8-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259C%25E0%25A7%2587)
-
আপনি আপনার পোস্ট এ বিটকয়েন সম্পর্কে অনেক মূল্যবান কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন যা আমাদের সকলেরই জেনে রাখাটা খুবই প্রয়োজনীয়। বিটকয়েন হলো এক ধরনের ভারচুয়াল মুদ্রা যার নির্দিষ্ট কোন মুল্য নেই। এটি আমাদের সবার ধরা ছোয়ার বাইরে। দিন দিন বিটকয়েনের চাহিদা বেড়েই চলেছে কিন্তু এর যোগান কমে আসতেছে। যার ফলে বিটকয়েনের দাম পাম্প করতেছে।
-
প্রচলিত মুদ্রার সঙ্গে বিটকয়েনের বড় পার্থক্য হলো, এর নিয়ন্ত্রণ কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিংবা সরকারের হাতে নেই। স্টক বা বন্ডে বিনিয়োগের সঙ্গেও রয়েছে বিস্তর ফারাক। কারণ এটি কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয় যে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষা করে বুঝবেন, তা কোন পথে এগোচ্ছে।
বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামের কেউ বা কারা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রাটি উদ্ভাবন করে। বিটকয়েনে লেনদেন লিপিবদ্ধ হয় ব্লকচেইন প্রযুক্তির ভার্চ্যুয়াল খতিয়ানে। বিটকয়েন কার কাছ থেকে কার কাছে গেল, তার হিসাব থাকে সেখানে। এটিই বিটকয়েনের মালিকানা প্রমাণ করে।
বিটকয়েনের মূল্য নির্ধারণ হয় কীভাবে
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কোনো দেশের অর্থব্যবস্থা, আর্থিক নীতিমালা, মুদ্রাস্ফীতির হার এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো বিটকয়েনের মূল্য নির্ধারণ করতে পারে না। এর মূল্য নির্ধারণে যে বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে, তা হলো—
বিটকয়েনের চাহিদা ও জোগান
মাইনিংয়ের মাধ্যমে বিটকয়েন তৈরির খরচ
ব্লকচেইনে লেনদেন যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক
প্রচলিত বিটকয়েনের পরিমাণ
যে মাধ্যমে বিনিময় হয়
বিটকয়েনে লেনদেনে নানা রাষ্ট্রের বিধিনিষেধ
বিটকয়েনের অভ্যন্তরীণ পরিচালনব্যবস্থা
বিটকয়েন মাইনিংয়ে সচরাচর এমন কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়বিটকয়েন মাইনিংয়ে সচরাচর এমন কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়
চাহিদা ও জোগান দিয়ে শুরু করা যাক
কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেমন নতুন ব্যাংক নোটের প্রচলন করে, বিটকয়েনের প্রচলন হয় ‘মাইনিং’ নামের প্রক্রিয়ায়। যে কেউ বিটকয়েনে লেনদেন সম্পাদনে এবং বিটকয়েন নেটওয়ার্কের সুরক্ষা নিশ্চিতে সাহায্য করতে পারেন। এ জন্য বিশেষ কম্পিউটার যন্ত্রাংশ সেটআপ করতে হয়, গাণিতিক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এটি মাইনিং হিসেবে পরিচিত। বিনিময়ে পুরস্কার হিসেবে তাঁরা বিটকয়েন পেয়ে থাকেন।
বিটকয়েনের জোগান দুভাবে প্রভাবিত হয়। প্রথমত, মাইনিংয়ের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরির হার আগে থেকেই নির্ধারিত। এই হার সময়ের সঙ্গে কমতে থাকবে। যেমন ২০১৬ সালে মোট বিটকয়েন বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৭ সালে ৪ দশমিক ৪ এবং ২০১৮ সালে এই হার ছিল ৪ শতাংশ। এতে বিটকয়েনের চাহিদা যত দ্রুত বাড়ছে, জোগান সে হারে বাড়ছে না।
দ্বিতীয়ত, বিটকয়েন প্রোটোকল অনুযায়ী সর্বসাকল্যে ২ কোটি ১০ লাখ বিটকয়েনের প্রচলন হবে। মোট বিটকয়েনের পরিমাণ সেই সংখ্যা ছুঁলে মাইনিংয়ের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি আর সম্ভব হবে না। অর্থাৎ মোট বিটকয়েনের পরিমাণ সীমিত।
২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাজারে মোট ১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৭ হাজার বিটকয়েন প্রচলিত ছিল। সেটি সম্ভাব্য মোট বিটকয়েন জোগানের ৮৮ দশমিক ৫ শতাংশ। সংখ্যাটি এত দিনে আরও বেড়েছে নিশ্চয়।
এথেরিয়াম, টেদারসহ বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। ছবির মুদ্রাগুলো অবশ্য প্রতীকীএথেরিয়াম, টেদারসহ বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। ছবির মুদ্রাগুলো অবশ্য প্রতীকী
প্রতিযোগিতার কথাও মাথায় রাখা জরুরি
বিটকয়েন নিঃসন্দেহে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টো মুদ্রা। তবে আরও অনেক এমন মুদ্রার প্রচলন হচ্ছে। বিটকয়েনের ‘নিকটবর্তী’ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে রয়েছে এথেরিয়াম, টেদার, বাইন্যান্স কয়েন, কারডানো ও পলকাডট। ক্রিপ্টো মুদ্রার এই প্রতিযোগিতা বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো। এতে মূল্য চট করে আকাশচুম্বী হতে পারে না। তবে বিটকয়েনের বেলায় এটা এতটাই মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়েছে যে প্রতিদ্বন্দ্বী মুদ্রাগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকার সুযোগ পেয়েছে।
নতুন বিটকয়েন তৈরির খরচও তো বাড়ছে
ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা হলেও বিটকয়েন তৈরির খরচ তো আছেই। কম্পিউটার যন্ত্রাংশ সেটআপ করার খরচ আছে, সেগুলো পরিচালনায় বিদ্যুতের খরচ আছে।
মনে করুন, বর্তমান হারে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে বিটকয়েন তৈরি হবে। এখন যদি একজন মাইনার বিটকয়েন মাইনিং করেন, তবে তিনি প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে বিটকয়েন পাবেন।
দিন কয়েক আগে এল সালভাদরে দ্বিতীয় বৈধ মুদ্রা হিসেবে বিটকয়েনের প্রচলন করা হয়। সে ঘোষণার পর দেশটির রাজধানী সান সালভাদরে স্থাপিত বিটকয়েন এটিএম বুথের ছবি তুলছেন এক নারীদিন কয়েক আগে এল সালভাদরে দ্বিতীয় বৈধ মুদ্রা হিসেবে বিটকয়েনের প্রচলন করা হয়। সে ঘোষণার পর দেশটির রাজধানী সান সালভাদরে স্থাপিত বিটকয়েন এটিএম বুথের ছবি তুলছেন এক নারী
১০০ জন সে কাজ করলে প্রতিযোগিতাই কেবল বাড়বে। ওই ১০ মিনিটে একটির বেশি বিটকয়েন তো আর তৈরি হবে না। এবার কল্পনা করুন, বিশ্বব্যাপী ১০ লাখ মানুষ একই সময়ে একই কাজ করে যাচ্ছেন। অর্থাৎ সেই যন্ত্রাংশের খরচ, শ্রমের খরচ এবং সম্মিলিত বিদ্যুৎ বিল হু হু করে বাড়লেও বিটকয়েন তৈরির হার একই থাকছে। অর্থাৎ বিটকয়েন তৈরির খরচ বেড়ে যাচ্ছে। আর তৈরির খরচ বিটকয়েনের মূল্যে বড় প্রভাব ফেলে।
নীতিনির্ধারকদের বিভ্রান্তি
বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টো মুদ্রা দ্রুত জনপ্রিয় হওয়ায় বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারকেরা এমন ভার্চ্যুয়াল সম্পদ কী হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করবেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে ক্রিপ্টো মুদ্রা ‘সিকিউরিটিজ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ। আবার একই দেশের কমোডিটি ফিউচার্স ট্রেডিং কমিশন এই মুদ্রাগুলোকে ‘পণ্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এতে কোন সংস্থা বিটকয়েনের মতো মুদ্রার নিয়ন্ত্রণ করবে, তা নিয়েও বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
ইলন মাস্কের রকেট তৈরির প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সঙ্গে বিটকয়েনের মূল্যে ঊর্ধ্বগতির তুলনা করে ছবিটি বানিয়েছেন কেউ। ইলন প্রায়ই টুইটারে বিটকয়েন নিয়ে আলোচনা করেনইলন মাস্কের রকেট তৈরির প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সঙ্গে বিটকয়েনের মূল্যে ঊর্ধ্বগতির তুলনা করে ছবিটি বানিয়েছেন কেউ। ইলন প্রায়ই টুইটারে বিটকয়েন নিয়ে আলোচনা করেন
বিটকয়েনের অভ্যন্তরীণ পরিচালনব্যবস্থা
কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা না থাকায় বিটকয়েনে লেনদেন সম্পন্ন করতে এবং নেটওয়ার্ক নিরাপদ রাখার ভার অনেকটা সফটওয়্যার ডেভেলপার এবং মাইনারদের ওপর। সাধারণ সমস্যার সমাধান দীর্ঘ সময়ের আগে সম্ভব হয় না। এতে বিটকয়েন কমিউনিটিতে হতাশা বাড়ছে।
বিটকয়েনে লেনদেন বর্তমানে যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, তা সেকেন্ডে কেবল তিনটি লেনদেন সম্পন্ন করতে পারে। শুরুর দিকে সেটা কোনো সমস্যা না হলেও বিটকয়েনে লেনদেনের চাহিদা বাড়ায় এখন সে সফটওয়্যারের কারণেই লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। একসময় হয়তো বিরক্ত হয়ে বিনিয়োগকারীরা অন্য ক্রিপ্টো মুদ্রায় লেনদেনে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
বিটকয়েনের দাম কখন বাড়ে, কখন কমে?
বিটকয়েনের মূল্য ওঠানামায় প্রচারিত সংবাদ, অনুমান, প্রাপ্যতা প্রভৃতির প্রভাব আছে। যেমন নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হলে অনেক বিনিয়োগকারী তড়িঘড়ি করে তাঁদের বিটকয়েন বিক্রি করে দেন। এতে দাম কমে যায়। আবার ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশ পেলে হয় উল্টোটা।
চীনা ব্যাংকগুলোকে বিটকয়েনে যেকোনো ধরনের লেনদেন বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছেচীনা ব্যাংকগুলোকে বিটকয়েনে যেকোনো ধরনের লেনদেন বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
তা ছাড়া, বাজারে বিটকয়েন বিক্রির পরিমাণ বাড়লে মূল্য কমে। আবার যত বেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ এবং বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে বিটকয়েন গ্রহণ করছে, এর দাম তত বাড়ছে।
আরেকটি ব্যাপার হলো, অনেকে মানুষ প্রচলিত মুদ্রায় বিশ্বাস না রাখতে পেরে বিকল্প মাধ্যম খুঁজতে থাকেন। বিটকয়েনের কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা না থাকায় এটিকে বেছে নিচ্ছেন অনেকে। এতেও দাম বাড়ছে।
বিভিন্ন দেশে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টো মুদ্রায় লেনদেনে বিধিনিষেধ আছে। সেটাও বিটকয়েনের মূল্যে প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি চীনা ব্যাংকগুলোকে বিটকয়েনে যেকোনো ধরনের লেনদেন বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরে বিটকয়েনের দাম পড়ে যায়।
তথ্যসূত্র: ইনভেস্টোপিডিয়া
source (https://www-prothomalo-com.cdn.ampproject.org/v/s/www.prothomalo.com/amp/story/education/science-tech/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%87?amp_js_v=a6&_gsa=1&usqp=mq331AQIKAGwASCAAgM%3D#aoh=16247786486222&csi=0&referrer=https%3A%2F%2Fwww.google.com&_tf=From%20%251%24s&share=https%3A%2F%2Fwww.prothomalo.com%2Feducation%2Fscience-tech%2F%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%259F%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE-%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%2596%25E0%25A6%25A8-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259C%25E0%25A7%2587-%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A8-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259C%25E0%25A7%2587)
সিনিয়র ভাই আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট করেছেন। বিটকয়েন সম্পর্কে যাদের জানা নেই বিশেষ করে নতুনদের আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে বুঝতে পারবে। কোন কিছু অজানা থাকবে না বিটকয়েন সম্পর্কে।
-
বিটকয়েন হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম ও আধুনিক ইলেকট্রিক মুদ্রা। এর দাম কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সব সময় বিটকয়েনের দাম ওঠানামা করে থাকে। বিটকয়েনের দাম ওঠানামা করা বিনিয়োগের ওপর নির্ভর করে থাকে। বিনিয়োগ বাড়লে দাম বাড়বে বিনিয়োগ করলে দাম কমবে এটাই স্বাভাবিক।
-
বিটকয়েনের দাম অনেকটা কমে গেছে । বিটকয়েনের বর্তমান সময়ে এর দাম 30 হাজার ডলার । কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি বিটকয়েনের দাম বাড়বে আমি মনে করি বিটকয়েনের দাম আবারও বাড়বে ।
-
ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিটকয়েন হলো একটি জনপ্রিয় ভার্চুয়াল মুদ্রা। এই ভার্চুয়াল মুদ্রার নির্দিষ্ট কোন মূল্য নেই। এটি আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এই ভার্চুয়াল মুদ্রার দাম কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে, বাজার সব সময় ওঠানামা করে। এই ভার্চুয়াল মুদ্রায় যদি বিনিয়োগ বাড়ে তাহলে এর দাম ও বাড়ে এবং যখন বিনিয়োগ কমে তখন এর দামও কমে যায়।
-
ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা দেখবেন এটা কেন দাম বাড়ে বা কোথা থেকে কে বাড়ায় বাক কিসের জন্য বাড়ে এটা আমি ঠিকভাবে জানিনা আমি এই ফোরামে নতুন জয়েন হয়েছি যদি কোনো সিনিয়র ভাই দেখে থাকেন তাহলে আমাকে সাহায্য করলে ভালো হতো
-
কখন আপ হবে এবং কখন ডাউন হবে কিভাবে ভালো করে ধারনা পেতে পারি? যদিও জানি যে এটা কেউ জানে না তবুও তো অনেকই সিগনাল দেয় যে আপ বা ডাউন হবে এটা কিভাবে শিখবো?
-
বিটকয়েনের দাম কখন কমবে কখন বৃদ্ধি পায় সেটা সঠিক করে কেউ বলতে পারবেনা। কারণ সব সময় ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট আপডাউন করতে আছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট আপডাউন অথবা কম বেশী হওয়ার মধ্যে একমাত্র দায়ী হলো ইনভেস্টর। কারণ যত বেশি বেচাকেনা করবে তত বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে আপ ডাউন হবে।
-
ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে কয়েন গুলোর দাম কখন বৃদ্ধি পায় বা কখন কমে যায় সেটা কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট প্রতিনিয়ত আপডাউন করতে দেখা যায়। দেখাতে অনেক সময় কোন কয়েনের দাম 10 থেকে 15 ডলার থাকলেও সেই কয়েন একসময় 50 থেকে 60 ডলার পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট সবসময় উঠানামা করবে এটাই তার নিয়ম ।
-
আমার মতে বিটকয়েনের দাম তখনই বৃদ্ধি পায়, যখন বিটকয়েন সম্পর্কে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে বিভিন্ন পজিটিভ নিউজ বেরিয়ে থাকে। বিশ্বের সব ধনী ধনী ব্যক্তিরা যখন বিটকয়েন সম্পর্কে পজেটিভ মন্তব্য করে। তখন বিটকয়েনের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে। কারণ বিনিয়োগকারীরা তখন বিটকয়েন কিনতে থাকে। তাই অতিরিক্ত চাহিদার কারণে বিটকয়েনের দাম বৃদ্ধি।
-
বিটকয়েনের দাম কখন এবং কিভাবে বৃদ্ধি পায় সেটা কিন্তু কেউ বলতে পারবে না সঠিক করে। কেননা ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট প্রতিনিয়ত আপডাউন করতে দেখা যায়। দেখা যায় কোন এক সময় কোন একটি কয়েনের দাম 10 ডলার থাকলে একসময় তা বেড়ে 50 থেকে 60 ডলার পর্যন্ত হতে পারে। হ্যাঁ এটাই ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট এর নিয়ম।
-
বিটকয়েন হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে খুবই জনপ্রিয় একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা। ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের বাজার প্রতিনিয়ত ওঠানামা করে। কখন কোন কয়েনের দাম বাড়ে এবং কোন কয়েনের দাম কমে তা বলা খুবই মুশকিল। তবে আমার মনে হয় বিটকয়েনে যদি বিনিয়োগ বেশি হয় তাহলে বিটকয়েনের দাম বেড়ে যায়। আবার বিনিয়োগ যদি কম হয় তাহলে বিটকয়েনের দাম কমে যায়
-
বিটকয়েন হলো একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা । এবং এই কয়েন এর জনপ্রিয়তা রয়েছে অনেক। ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজার প্রতিনিয়ত উঠানামা করে । তাই বলা যায় না বিটকয়েনের দাম কখন বাড়ে এবং কখন কমে। বিটকয়েন সম্পর্কে যখন পজিটিভ কথাবার্তা বলা হয় তখন বিটকয়েনের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে।
-
প্রচলিত মুদ্রার সঙ্গে বিটকয়েনের বড় পার্থক্য হলো, এর নিয়ন্ত্রণ কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিংবা সরকারের হাতে নেই। স্টক বা বন্ডে বিনিয়োগের সঙ্গেও রয়েছে বিস্তর ফারাক। কারণ এটি কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয় যে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষা করে বুঝবেন, তা কোন পথে এগোচ্ছে।
বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামের কেউ বা কারা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রাটি উদ্ভাবন করে। বিটকয়েনে লেনদেন লিপিবদ্ধ হয় ব্লকচেইন প্রযুক্তির ভার্চ্যুয়াল খতিয়ানে। বিটকয়েন কার কাছ থেকে কার কাছে গেল, তার হিসাব থাকে সেখানে। এটিই বিটকয়েনের মালিকানা প্রমাণ করে।
বিটকয়েনের মূল্য নির্ধারণ হয় কীভাবে
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কোনো দেশের অর্থব্যবস্থা, আর্থিক নীতিমালা, মুদ্রাস্ফীতির হার এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো বিটকয়েনের মূল্য নির্ধারণ করতে পারে না। এর মূল্য নির্ধারণে যে বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে, তা হলো—
বিটকয়েনের চাহিদা ও জোগান
মাইনিংয়ের মাধ্যমে বিটকয়েন তৈরির খরচ
ব্লকচেইনে লেনদেন যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক
প্রচলিত বিটকয়েনের পরিমাণ
যে মাধ্যমে বিনিময় হয়
বিটকয়েনে লেনদেনে নানা রাষ্ট্রের বিধিনিষেধ
বিটকয়েনের অভ্যন্তরীণ পরিচালনব্যবস্থা
বিটকয়েন মাইনিংয়ে সচরাচর এমন কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়বিটকয়েন মাইনিংয়ে সচরাচর এমন কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়
চাহিদা ও জোগান দিয়ে শুরু করা যাক
কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেমন নতুন ব্যাংক নোটের প্রচলন করে, বিটকয়েনের প্রচলন হয় ‘মাইনিং’ নামের প্রক্রিয়ায়। যে কেউ বিটকয়েনে লেনদেন সম্পাদনে এবং বিটকয়েন নেটওয়ার্কের সুরক্ষা নিশ্চিতে সাহায্য করতে পারেন। এ জন্য বিশেষ কম্পিউটার যন্ত্রাংশ সেটআপ করতে হয়, গাণিতিক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এটি মাইনিং হিসেবে পরিচিত। বিনিময়ে পুরস্কার হিসেবে তাঁরা বিটকয়েন পেয়ে থাকেন।
বিটকয়েনের জোগান দুভাবে প্রভাবিত হয়। প্রথমত, মাইনিংয়ের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরির হার আগে থেকেই নির্ধারিত। এই হার সময়ের সঙ্গে কমতে থাকবে। যেমন ২০১৬ সালে মোট বিটকয়েন বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৭ সালে ৪ দশমিক ৪ এবং ২০১৮ সালে এই হার ছিল ৪ শতাংশ। এতে বিটকয়েনের চাহিদা যত দ্রুত বাড়ছে, জোগান সে হারে বাড়ছে না।
দ্বিতীয়ত, বিটকয়েন প্রোটোকল অনুযায়ী সর্বসাকল্যে ২ কোটি ১০ লাখ বিটকয়েনের প্রচলন হবে। মোট বিটকয়েনের পরিমাণ সেই সংখ্যা ছুঁলে মাইনিংয়ের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি আর সম্ভব হবে না। অর্থাৎ মোট বিটকয়েনের পরিমাণ সীমিত।
২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাজারে মোট ১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৭ হাজার বিটকয়েন প্রচলিত ছিল। সেটি সম্ভাব্য মোট বিটকয়েন জোগানের ৮৮ দশমিক ৫ শতাংশ। সংখ্যাটি এত দিনে আরও বেড়েছে নিশ্চয়।
এথেরিয়াম, টেদারসহ বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। ছবির মুদ্রাগুলো অবশ্য প্রতীকীএথেরিয়াম, টেদারসহ বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। ছবির মুদ্রাগুলো অবশ্য প্রতীকী
প্রতিযোগিতার কথাও মাথায় রাখা জরুরি
বিটকয়েন নিঃসন্দেহে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টো মুদ্রা। তবে আরও অনেক এমন মুদ্রার প্রচলন হচ্ছে। বিটকয়েনের ‘নিকটবর্তী’ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে রয়েছে এথেরিয়াম, টেদার, বাইন্যান্স কয়েন, কারডানো ও পলকাডট। ক্রিপ্টো মুদ্রার এই প্রতিযোগিতা বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো। এতে মূল্য চট করে আকাশচুম্বী হতে পারে না। তবে বিটকয়েনের বেলায় এটা এতটাই মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়েছে যে প্রতিদ্বন্দ্বী মুদ্রাগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকার সুযোগ পেয়েছে।
নতুন বিটকয়েন তৈরির খরচও তো বাড়ছে
ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা হলেও বিটকয়েন তৈরির খরচ তো আছেই। কম্পিউটার যন্ত্রাংশ সেটআপ করার খরচ আছে, সেগুলো পরিচালনায় বিদ্যুতের খরচ আছে।
মনে করুন, বর্তমান হারে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে বিটকয়েন তৈরি হবে। এখন যদি একজন মাইনার বিটকয়েন মাইনিং করেন, তবে তিনি প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে বিটকয়েন পাবেন।
দিন কয়েক আগে এল সালভাদরে দ্বিতীয় বৈধ মুদ্রা হিসেবে বিটকয়েনের প্রচলন করা হয়। সে ঘোষণার পর দেশটির রাজধানী সান সালভাদরে স্থাপিত বিটকয়েন এটিএম বুথের ছবি তুলছেন এক নারীদিন কয়েক আগে এল সালভাদরে দ্বিতীয় বৈধ মুদ্রা হিসেবে বিটকয়েনের প্রচলন করা হয়। সে ঘোষণার পর দেশটির রাজধানী সান সালভাদরে স্থাপিত বিটকয়েন এটিএম বুথের ছবি তুলছেন এক নারী
১০০ জন সে কাজ করলে প্রতিযোগিতাই কেবল বাড়বে। ওই ১০ মিনিটে একটির বেশি বিটকয়েন তো আর তৈরি হবে না। এবার কল্পনা করুন, বিশ্বব্যাপী ১০ লাখ মানুষ একই সময়ে একই কাজ করে যাচ্ছেন। অর্থাৎ সেই যন্ত্রাংশের খরচ, শ্রমের খরচ এবং সম্মিলিত বিদ্যুৎ বিল হু হু করে বাড়লেও বিটকয়েন তৈরির হার একই থাকছে। অর্থাৎ বিটকয়েন তৈরির খরচ বেড়ে যাচ্ছে। আর তৈরির খরচ বিটকয়েনের মূল্যে বড় প্রভাব ফেলে।
নীতিনির্ধারকদের বিভ্রান্তি
বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টো মুদ্রা দ্রুত জনপ্রিয় হওয়ায় বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারকেরা এমন ভার্চ্যুয়াল সম্পদ কী হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করবেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে ক্রিপ্টো মুদ্রা ‘সিকিউরিটিজ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ। আবার একই দেশের কমোডিটি ফিউচার্স ট্রেডিং কমিশন এই মুদ্রাগুলোকে ‘পণ্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এতে কোন সংস্থা বিটকয়েনের মতো মুদ্রার নিয়ন্ত্রণ করবে, তা নিয়েও বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
ইলন মাস্কের রকেট তৈরির প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সঙ্গে বিটকয়েনের মূল্যে ঊর্ধ্বগতির তুলনা করে ছবিটি বানিয়েছেন কেউ। ইলন প্রায়ই টুইটারে বিটকয়েন নিয়ে আলোচনা করেনইলন মাস্কের রকেট তৈরির প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সঙ্গে বিটকয়েনের মূল্যে ঊর্ধ্বগতির তুলনা করে ছবিটি বানিয়েছেন কেউ। ইলন প্রায়ই টুইটারে বিটকয়েন নিয়ে আলোচনা করেন
বিটকয়েনের অভ্যন্তরীণ পরিচালনব্যবস্থা
কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা না থাকায় বিটকয়েনে লেনদেন সম্পন্ন করতে এবং নেটওয়ার্ক নিরাপদ রাখার ভার অনেকটা সফটওয়্যার ডেভেলপার এবং মাইনারদের ওপর। সাধারণ সমস্যার সমাধান দীর্ঘ সময়ের আগে সম্ভব হয় না। এতে বিটকয়েন কমিউনিটিতে হতাশা বাড়ছে।
বিটকয়েনে লেনদেন বর্তমানে যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, তা সেকেন্ডে কেবল তিনটি লেনদেন সম্পন্ন করতে পারে। শুরুর দিকে সেটা কোনো সমস্যা না হলেও বিটকয়েনে লেনদেনের চাহিদা বাড়ায় এখন সে সফটওয়্যারের কারণেই লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। একসময় হয়তো বিরক্ত হয়ে বিনিয়োগকারীরা অন্য ক্রিপ্টো মুদ্রায় লেনদেনে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
বিটকয়েনের দাম কখন বাড়ে, কখন কমে?
বিটকয়েনের মূল্য ওঠানামায় প্রচারিত সংবাদ, অনুমান, প্রাপ্যতা প্রভৃতির প্রভাব আছে। যেমন নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হলে অনেক বিনিয়োগকারী তড়িঘড়ি করে তাঁদের বিটকয়েন বিক্রি করে দেন। এতে দাম কমে যায়। আবার ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশ পেলে হয় উল্টোটা।
চীনা ব্যাংকগুলোকে বিটকয়েনে যেকোনো ধরনের লেনদেন বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছেচীনা ব্যাংকগুলোকে বিটকয়েনে যেকোনো ধরনের লেনদেন বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
তা ছাড়া, বাজারে বিটকয়েন বিক্রির পরিমাণ বাড়লে মূল্য কমে। আবার যত বেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ এবং বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে বিটকয়েন গ্রহণ করছে, এর দাম তত বাড়ছে।
আরেকটি ব্যাপার হলো, অনেকে মানুষ প্রচলিত মুদ্রায় বিশ্বাস না রাখতে পেরে বিকল্প মাধ্যম খুঁজতে থাকেন। বিটকয়েনের কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা না থাকায় এটিকে বেছে নিচ্ছেন অনেকে। এতেও দাম বাড়ছে।
বিভিন্ন দেশে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টো মুদ্রায় লেনদেনে বিধিনিষেধ আছে। সেটাও বিটকয়েনের মূল্যে প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি চীনা ব্যাংকগুলোকে বিটকয়েনে যেকোনো ধরনের লেনদেন বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরে বিটকয়েনের দাম পড়ে যায়।
তথ্যসূত্র: ইনভেস্টোপিডিয়া
source (https://www-prothomalo-com.cdn.ampproject.org/v/s/www.prothomalo.com/amp/story/education/science-tech/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%87?amp_js_v=a6&_gsa=1&usqp=mq331AQIKAGwASCAAgM%3D#aoh=16247786486222&csi=0&referrer=https%3A%2F%2Fwww.google.com&_tf=From%20%251%24s&share=https%3A%2F%2Fwww.prothomalo.com%2Feducation%2Fscience-tech%2F%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%259F%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE-%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%2596%25E0%25A6%25A8-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259C%25E0%25A7%2587-%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A8-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259C%25E0%25A7%2587)
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট দিয়েছেন ধন্যবাদ ভাই। আপনি আপনার পোস্টে বিটকয়েন সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরেছেন। বিটকয়েন হলো একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা। ভার্চুয়াল মুদ্রাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের রাজা বলা হয়। এবং এই মুদ্রার নির্দিষ্ট কোন মূল্য নেই। এটি আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।
-
ক্রিপ্টোকারেন্সি তে যে কোন সময় একটি কয়েন এর প্রাইস ওঠানামা করবে এটাই যেন ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ম। কখনোই কিপটা কারেন্সির মার্কেট স্থির অবস্থায় থাকে না কিন্তু হঠাৎ করেই প্রাইজের অনেক আপ ডাউন হয়ে থাকে। কারন একটি কয়েন এর মধ্যে যত বেশি বিনিয়োগ করা হবে সেই কয়েন প্রাইস ততো বেশি বৃদ্ধি পাবে। আমি মনে করি ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট এরকম উঠানামা করার পেছনে অবশ্যই বিনিয়োগকারীদের হাত রয়েছে।
-
ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট স্থির নয়।এটা সর্বদা অস্থির। ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে সর্বদা কয়েনের মূল্য উঠানামা করে থাকে।আর ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে বিটকয়েন হলো এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রার। বিটকয়েনের দাম বাড়বে না কমবে সেটা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারবে না। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই ডিজিটাল মুদ্রাটির মূল্য বৃদ্ধি বা হ্রাস করতে পারেনা।তবে মার্কেটে বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধি বা হ্রাস করার ক্ষেত্রে অনেকটা বিনিয়োগকারীদের উপর নির্ভর করে বলে আমি মনে করি।
-
ভার্চুয়াল মুদ্রা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেখালেখি এবং আলোচনার শীর্ষে রয়েছে বিটকয়েন। সারা পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন দেশে বিটকয়েনের অনুমোদন নিয়ে রয়েছে অনেক তোলপাড়। আমি মনে করি সারা পৃথিবীব্যাপী বিটকয়েনের লেনদেন যখন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেইসাথে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন কোন কোম্পানি, নতুন কোন ব্যক্তিবর্গ বিটকয়েন এর উপর বিনিয়োগ করলে, রাতারাতি ভাবে বিটকয়েনের অবস্থার পরিবর্তন। এবং বিটকয়েনের দাম বৃদ্ধি পায়। যত বেশি ইউজ কের বৃদ্ধি পাবে, বিটকয়েনের দাম তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।
-
এই পৃথিবীতে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে ভার্চুয়াল মুদ্রা ব্যবহার হয়ে থাকে। বর্তমানে দেখা যায় যে প্রতিনিয়ত ভার্চুয়াল মুদ্রা পজিটিভ আলোচনা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। বর্তমানে ইরানের অবস্থান শীর্ষে। যখন নতুন কোন ব্যক্তি বিটকয়েনে ইনভেস্ট করে তখন ঐ বিটকয়েনের পরিবর্তন দেখা যায়। বর্তমানে সবথেকে বেশি বিটকয়েনে বিনিয়োগ হচ্ছে এ কারণেই রাতারাতি বিটকয়েনের দাম বৃদ্ধি পায়। আর আপনারা একটা বিষয় খেয়াল করবেন যখন বিনিয়োগ কম হয় তখন কিন্তু বিট কয়েনের মূল্য ডাম্পিং করতে থাকে।
-
প্রচলিত মুদ্রার সঙ্গে বিটকয়েনের বড় পার্থক্য হলো, এর নিয়ন্ত্রণ কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিংবা সরকারের হাতে নেই। স্টক বা বন্ডে বিনিয়োগের সঙ্গেও রয়েছে বিস্তর ফারাক। কারণ এটি কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয় যে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষা করে বুঝবেন, তা কোন পথে এগোচ্ছে।
বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামের কেউ বা কারা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রাটি উদ্ভাবন করে। বিটকয়েনে লেনদেন লিপিবদ্ধ হয় ব্লকচেইন প্রযুক্তির ভার্চ্যুয়াল খতিয়ানে। বিটকয়েন কার কাছ থেকে কার কাছে গেল, তার হিসাব থাকে সেখানে। এটিই বিটকয়েনের মালিকানা প্রমাণ করে।
বিটকয়েনের মূল্য নির্ধারণ হয় কীভাবে
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কোনো দেশের অর্থব্যবস্থা, আর্থিক নীতিমালা, মুদ্রাস্ফীতির হার এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো বিটকয়েনের মূল্য নির্ধারণ করতে পারে না। এর মূল্য নির্ধারণে যে বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে, তা হলো—
বিটকয়েনের চাহিদা ও জোগান
মাইনিংয়ের মাধ্যমে বিটকয়েন তৈরির খরচ
ব্লকচেইনে লেনদেন যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক
প্রচলিত বিটকয়েনের পরিমাণ
যে মাধ্যমে বিনিময় হয়
বিটকয়েনে লেনদেনে নানা রাষ্ট্রের বিধিনিষেধ
বিটকয়েনের অভ্যন্তরীণ পরিচালনব্যবস্থা
বিটকয়েন মাইনিংয়ে সচরাচর এমন কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়বিটকয়েন মাইনিংয়ে সচরাচর এমন কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়
চাহিদা ও জোগান দিয়ে শুরু করা যাক
কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেমন নতুন ব্যাংক নোটের প্রচলন করে, বিটকয়েনের প্রচলন হয় ‘মাইনিং’ নামের প্রক্রিয়ায়। যে কেউ বিটকয়েনে লেনদেন সম্পাদনে এবং বিটকয়েন নেটওয়ার্কের সুরক্ষা নিশ্চিতে সাহায্য করতে পারেন। এ জন্য বিশেষ কম্পিউটার যন্ত্রাংশ সেটআপ করতে হয়, গাণিতিক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এটি মাইনিং হিসেবে পরিচিত। বিনিময়ে পুরস্কার হিসেবে তাঁরা বিটকয়েন পেয়ে থাকেন।
বিটকয়েনের জোগান দুভাবে প্রভাবিত হয়। প্রথমত, মাইনিংয়ের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরির হার আগে থেকেই নির্ধারিত। এই হার সময়ের সঙ্গে কমতে থাকবে। যেমন ২০১৬ সালে মোট বিটকয়েন বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৭ সালে ৪ দশমিক ৪ এবং ২০১৮ সালে এই হার ছিল ৪ শতাংশ। এতে বিটকয়েনের চাহিদা যত দ্রুত বাড়ছে, জোগান সে হারে বাড়ছে না।
দ্বিতীয়ত, বিটকয়েন প্রোটোকল অনুযায়ী সর্বসাকল্যে ২ কোটি ১০ লাখ বিটকয়েনের প্রচলন হবে। মোট বিটকয়েনের পরিমাণ সেই সংখ্যা ছুঁলে মাইনিংয়ের মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি আর সম্ভব হবে না। অর্থাৎ মোট বিটকয়েনের পরিমাণ সীমিত।
২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাজারে মোট ১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৭ হাজার বিটকয়েন প্রচলিত ছিল। সেটি সম্ভাব্য মোট বিটকয়েন জোগানের ৮৮ দশমিক ৫ শতাংশ। সংখ্যাটি এত দিনে আরও বেড়েছে নিশ্চয়।
এথেরিয়াম, টেদারসহ বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। ছবির মুদ্রাগুলো অবশ্য প্রতীকীএথেরিয়াম, টেদারসহ বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। ছবির মুদ্রাগুলো অবশ্য প্রতীকী
প্রতিযোগিতার কথাও মাথায় রাখা জরুরি
বিটকয়েন নিঃসন্দেহে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টো মুদ্রা। তবে আরও অনেক এমন মুদ্রার প্রচলন হচ্ছে। বিটকয়েনের ‘নিকটবর্তী’ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে রয়েছে এথেরিয়াম, টেদার, বাইন্যান্স কয়েন, কারডানো ও পলকাডট। ক্রিপ্টো মুদ্রার এই প্রতিযোগিতা বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো। এতে মূল্য চট করে আকাশচুম্বী হতে পারে না। তবে বিটকয়েনের বেলায় এটা এতটাই মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়েছে যে প্রতিদ্বন্দ্বী মুদ্রাগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকার সুযোগ পেয়েছে।
নতুন বিটকয়েন তৈরির খরচও তো বাড়ছে
ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা হলেও বিটকয়েন তৈরির খরচ তো আছেই। কম্পিউটার যন্ত্রাংশ সেটআপ করার খরচ আছে, সেগুলো পরিচালনায় বিদ্যুতের খরচ আছে।
মনে করুন, বর্তমান হারে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে বিটকয়েন তৈরি হবে। এখন যদি একজন মাইনার বিটকয়েন মাইনিং করেন, তবে তিনি প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে বিটকয়েন পাবেন।
দিন কয়েক আগে এল সালভাদরে দ্বিতীয় বৈধ মুদ্রা হিসেবে বিটকয়েনের প্রচলন করা হয়। সে ঘোষণার পর দেশটির রাজধানী সান সালভাদরে স্থাপিত বিটকয়েন এটিএম বুথের ছবি তুলছেন এক নারীদিন কয়েক আগে এল সালভাদরে দ্বিতীয় বৈধ মুদ্রা হিসেবে বিটকয়েনের প্রচলন করা হয়। সে ঘোষণার পর দেশটির রাজধানী সান সালভাদরে স্থাপিত বিটকয়েন এটিএম বুথের ছবি তুলছেন এক নারী
১০০ জন সে কাজ করলে প্রতিযোগিতাই কেবল বাড়বে। ওই ১০ মিনিটে একটির বেশি বিটকয়েন তো আর তৈরি হবে না। এবার কল্পনা করুন, বিশ্বব্যাপী ১০ লাখ মানুষ একই সময়ে একই কাজ করে যাচ্ছেন। অর্থাৎ সেই যন্ত্রাংশের খরচ, শ্রমের খরচ এবং সম্মিলিত বিদ্যুৎ বিল হু হু করে বাড়লেও বিটকয়েন তৈরির হার একই থাকছে। অর্থাৎ বিটকয়েন তৈরির খরচ বেড়ে যাচ্ছে। আর তৈরির খরচ বিটকয়েনের মূল্যে বড় প্রভাব ফেলে।
নীতিনির্ধারকদের বিভ্রান্তি
বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টো মুদ্রা দ্রুত জনপ্রিয় হওয়ায় বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারকেরা এমন ভার্চ্যুয়াল সম্পদ কী হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করবেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে ক্রিপ্টো মুদ্রা ‘সিকিউরিটিজ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ। আবার একই দেশের কমোডিটি ফিউচার্স ট্রেডিং কমিশন এই মুদ্রাগুলোকে ‘পণ্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এতে কোন সংস্থা বিটকয়েনের মতো মুদ্রার নিয়ন্ত্রণ করবে, তা নিয়েও বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
ইলন মাস্কের রকেট তৈরির প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সঙ্গে বিটকয়েনের মূল্যে ঊর্ধ্বগতির তুলনা করে ছবিটি বানিয়েছেন কেউ। ইলন প্রায়ই টুইটারে বিটকয়েন নিয়ে আলোচনা করেনইলন মাস্কের রকেট তৈরির প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সঙ্গে বিটকয়েনের মূল্যে ঊর্ধ্বগতির তুলনা করে ছবিটি বানিয়েছেন কেউ। ইলন প্রায়ই টুইটারে বিটকয়েন নিয়ে আলোচনা করেন
বিটকয়েনের অভ্যন্তরীণ পরিচালনব্যবস্থা
কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা না থাকায় বিটকয়েনে লেনদেন সম্পন্ন করতে এবং নেটওয়ার্ক নিরাপদ রাখার ভার অনেকটা সফটওয়্যার ডেভেলপার এবং মাইনারদের ওপর। সাধারণ সমস্যার সমাধান দীর্ঘ সময়ের আগে সম্ভব হয় না। এতে বিটকয়েন কমিউনিটিতে হতাশা বাড়ছে।
বিটকয়েনে লেনদেন বর্তমানে যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, তা সেকেন্ডে কেবল তিনটি লেনদেন সম্পন্ন করতে পারে। শুরুর দিকে সেটা কোনো সমস্যা না হলেও বিটকয়েনে লেনদেনের চাহিদা বাড়ায় এখন সে সফটওয়্যারের কারণেই লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। একসময় হয়তো বিরক্ত হয়ে বিনিয়োগকারীরা অন্য ক্রিপ্টো মুদ্রায় লেনদেনে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
বিটকয়েনের দাম কখন বাড়ে, কখন কমে?
বিটকয়েনের মূল্য ওঠানামায় প্রচারিত সংবাদ, অনুমান, প্রাপ্যতা প্রভৃতির প্রভাব আছে। যেমন নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হলে অনেক বিনিয়োগকারী তড়িঘড়ি করে তাঁদের বিটকয়েন বিক্রি করে দেন। এতে দাম কমে যায়। আবার ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশ পেলে হয় উল্টোটা।
চীনা ব্যাংকগুলোকে বিটকয়েনে যেকোনো ধরনের লেনদেন বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছেচীনা ব্যাংকগুলোকে বিটকয়েনে যেকোনো ধরনের লেনদেন বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
তা ছাড়া, বাজারে বিটকয়েন বিক্রির পরিমাণ বাড়লে মূল্য কমে। আবার যত বেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ এবং বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে বিটকয়েন গ্রহণ করছে, এর দাম তত বাড়ছে।
আরেকটি ব্যাপার হলো, অনেকে মানুষ প্রচলিত মুদ্রায় বিশ্বাস না রাখতে পেরে বিকল্প মাধ্যম খুঁজতে থাকেন। বিটকয়েনের কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা না থাকায় এটিকে বেছে নিচ্ছেন অনেকে। এতেও দাম বাড়ছে।
বিভিন্ন দেশে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টো মুদ্রায় লেনদেনে বিধিনিষেধ আছে। সেটাও বিটকয়েনের মূল্যে প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি চীনা ব্যাংকগুলোকে বিটকয়েনে যেকোনো ধরনের লেনদেন বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরে বিটকয়েনের দাম পড়ে যায়।
তথ্যসূত্র: ইনভেস্টোপিডিয়া
source (https://www-prothomalo-com.cdn.ampproject.org/v/s/www.prothomalo.com/amp/story/education/science-tech/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%87?amp_js_v=a6&_gsa=1&usqp=mq331AQIKAGwASCAAgM%3D#aoh=16247786486222&csi=0&referrer=https%3A%2F%2Fwww.google.com&_tf=From%20%251%24s&share=https%3A%2F%2Fwww.prothomalo.com%2Feducation%2Fscience-tech%2F%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%259F%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE-%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%2596%25E0%25A6%25A8-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259C%25E0%25A7%2587-%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A8-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259C%25E0%25A7%2587)
অনেক বড় তথ্য বহুল পোষ্ট অনেক নতুন নতুন তথ্য জানতে পারলাম আশা করা যায় এটার থেকে নতুনদের অনেক কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহন এবং চিন্তার খোরাক জোগাবে।
-
ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে সবচেয়ে জনপ্রিয় মুদ্রা হলো বিটকয়েন। এটা কখনও ডাম্পিং করে আবার কখনো পাম্পিং করে। গত কয়েক বছর আগে বিটকয়েনের দাম বেড়েছিল। বর্তমানে বিটকয়েনের দাম কমে গেছে। ভবিষ্যতে বিটকয়েনের দাম আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। এটা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারবেন। কিন্ত প্রত্যেকটা দেশের মানুষ যদি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অর্থের লেনদেন করে। হয়তো এটা অনেকটাই পাম্পিং করা সম্ভব।