Altcoins Talks - Cryptocurrency Forum
Local => বাংলা (Bengali) => নতুনদের => Topic started by: C 98 on July 31, 2021, 07:41:53 AM
-
ক্রিপ্টোগ্রাফিক কয়েন ভার্চুয়াল মুদ্রা বিট কয়েনের ব্যবহার ক্রমাগত বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, জার্মানি ও ভারতের মতো বিশ্বের বেশ কিছু দেশে বিকেন্দ্রীকরণ পদ্ধতির এই ডিজিটাল মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন শুরু হয়েছে।
অনলাইনে পণ্যমূল্য পরিশোধ করে বিট কয়েনের মতো লাইট কয়েন, পিয়ার কয়েন, রিপল, ড্রাক কয়েন, ডগ কয়েন, নেম কয়েন- এমন অন্তত ডজনখানেক ভার্চুয়াল কয়েন দিয়ে কেনা যাচ্ছে প্রয়োজনীয় পণ্যও। অনলাইন থেকে পণ্য ক্রয়ে এই মুদ্রার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বাংলাদেশেও।
২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে অনলাইন বিশ্বে বিটকয়েনের আবির্ভাব ঘটে। ২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতো নামের জনৈক সফটওয়্যার ডেভেলপার এই বিটকয়েন আবিষ্কার করেন। এটিই বিশ্বের প্রথম ভার্চুয়াল কারেন্সি।
ইলেকট্রনিক উপায়ে সৃষ্ট এই বিনিময় মাধ্যমটি পিয়ার টু পিয়ারের মাধ্যমে আদান-প্রদান হয়। বর্তমানে কানাডা, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও ডেনমার্কে বিটকয়েনের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।
তবে এখনও বৈধ বা আনুষ্ঠানিক মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। কেবল নিরাপত্তা ও বিকেন্দ্রীকরণ সুবিধায় জনপ্রিয়তার বিচারে বিস্তৃতি লাভ করছে।
বিট কয়েন আসলে কোনো কয়েন নয়। এটি একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা, যা কম্পিউটারের মাধ্যমে আদানপ্রদান করা হয়। বিট কয়েনের সাংকেতিক প্রতীক হল BTC, এবং এর ক্ষুদ্র একক হল সাতোশি। ১ বিট কয়েন সমান ১০০০ মিলি বিটয়েন এবং সাতোশি ১ বিটকয়েন সমান ১ কোটি সাতোশি।
বিট কয়েন কোনো ক্যাশবাক্স বা ব্যাংকে রাখা যায় না। এই মুদ্রার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাও নেই।এটি অনলাইনের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়।
যেহেতু এটি একটি ক্রিপ্টোক্রারেন্সি সিস্টেম তাই অনলাইনে সকল প্রকার বৈধ ও অবৈধ কাজে এটি ব্যবহার করা হয় এবং যেহেতু নির্দিষ্ট কোনো নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা নেই তাই বিটকয়েনের মাধ্যমে লেনদেন করলে কে বা কারা করছে এটি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।
কোন কোন কাজে বিট কয়েন
সাধারণত আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজেই বিট কয়েন ব্যবহার করা হয়। মাদক কেনাবেচা, অস্ত্র ব্যবসা এমনকি খুন খারাবির কাজেও বিট কয়েন ব্যবহার করা হচ্ছে।
২০০৯ সালে বিটকয়েনের উদ্ভাবন হয়। সাতোশি নাম ব্যবহার করে এক ব্যক্তি এই মুদ্রার উদ্ভাবন করেন। পরে ওই বছরই একটি সফটওয়্যার চালুর মাধ্যমে এটি আত্মপ্রকাশ করে।
প্রথম দিকে বিট কয়েনের বাজার মূল্য খুব কম ছিল। ১৩০৯ বিট কয়েন সমান ছিল ১ ডলার। পরে নানা রকম অবৈধ কাজে বিটকয়েনের ব্যবহার বাড়লে এর বাজার মূল্যও বাড়তে থাকে।
বর্তমান ১ বিটকয়েনের মূল্যমান ৯ হাজার ৯৯৯ ডলারের সমান যা বাংলাদেশি টাকায় ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৫ টাকা।
ড্রাক-অয়েবে বিট কয়েনের মাধ্যমে সব লেনদেন করা হয়। ড্রাক-অয়েব ইন্টারনেটের একটি গোপন অন্ধকার জগৎ।
বিট কয়েনের জনপ্রিয়তা ও দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে বিট কয়েন সংগ্রহ করে রাখছেন।
বিট কয়েন সংগ্রহ করে রাখার জন্য কোনো ব্যক্তির অবশ্যই একটি অনলাইন ওয়ালেটের বিপরীতে একটি ইউনিক আইডি বা অ্যাকাউন্ট নাম্বার দেওয়া হয়, যেখান থেকে গ্রাহক বিটকয়েন খরচ বা জমা করতে পারেন। অনেক উপায়ে বিটকয়েন উপার্জন করা যায়, যেমন কিছু ওয়েবসাইটের কাজ করে, কোনো মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যমে, কোনো কিছু বিক্রয়ের মাধ্যমে। তবে বিটকয়েন উপার্জনের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে বিটকয়েন মাইনিং করা।
ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার ইন্টারনেটের জগতে অনেকটা শেয়ার বা মুদ্রার মতো লেনদেন হয় বিটকয়েন নামের এই ভার্চুয়াল কারেন্সিটি। নিয়মিত এর দর বা বিনিময়মূল্য ওঠানামা করে। এটি নিজেই ডলার বা ইউরো_ এসব আন্তর্জাতিক মুদ্রাগুলোর মতো বিনিময়মাধ্যম। পৃথিবীর কোনো কোনো দেশে সীমিত পরিসরে বিটকয়েনকে ব্যবহার করা হয় নিজস্ব মুদ্রার মতো। বিট কয়েনের লেনদেনটি বিটকয়েন ইউজারদের পিসিতেই সংরক্ষিত থাকে। পিয়ার টু পিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুক্ত থাকা একাধিক কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মধ্যে বিটকয়েন লেনদেন হলে এর ইউজার রেফারেন্স অনুযায়ী লেজার হালনাগাদ করে দেয়। অর্থাৎ কোনো ক্লিয়ারিং হাউসের খবরদারি নেই এখানে। ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রক্রিয়ায় বিটকয়েনের লেনদেন সম্পন্ন হয়।
বিটকয়েনের বাজার
আমাদের দেশে এখনও বিটকয়েনের ব্যবহার চালু হয়নি। বিশ্বে এখন ৭০২ কোটি ডলারের ওপর ভার্চুয়াল মুদ্রাবাজার রয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বের প্রায় ৩৭টিরও বেশি দেশে বিটকয়েন ভার্চুয়াল মুদ্রাটির ব্যবহৃত হচ্ছে। এখনও তৈরি হচ্ছে বিটকয়েন মুদ্রা। প্রতিদিন মাইনিংয়ের মাধ্যমে এই মুদ্রা উৎপাদন করা হচ্ছে। নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রতি দশ মিনিটে অ্যালগরিদম সমস্যার সমাধান করায় ২৫ মাইনারকে দেওয়া হচ্ছে বিটকয়েন। বর্তমানে এক কোটি ২৪ লাখ বিটকয়েন প্রচলিত আছে। এর মোট বাজারদর এখন ৬২০ কোটি ডলার। ২১৪০ সাল পর্যন্ত নতুন সৃষ্টি হওয়া বিট কয়েনগুলো প্রতি চার বছর পরপর অর্ধেকে নেমে আসবে। ২১৪০ সালের পর ২১ মিলিয়ন বিটকয়েন তৈরি হয়ে গেলে আর কোনো নতুন বিটকয়েন তৈরি করা হবে না। তাই চাইলে বাংলাদেশ থেকেও যোগ্য কম্পিউটার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা এই ভার্চুয়াল মুদ্রাটি উৎপাদনে অংশ নিতে পারেন। একটি বিটকয়েনের বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী তিনিও দশ মিনিটে আয় করতে পারেন ৫০৮ ডলার বা ৩৯ হাজার ৫০০ টাকা।
source (https://samakal.com/economics/article/210771205/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9F-%E0%A6%95%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8)
-
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর একটি ইনফরমেটিভ পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। এই পোস্ট পড়ে বিটকয়েন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম। আশা করছি এভাবেই শিক্ষামূলক পোস্ট বরাবর শেয়ার করবেন।
-
আমার মনে হয় না যে বিটকয়েন সম্পর্কে নতুন ভাবে কাউকে বোঝানোর কিছু আছে। কারণ যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি এসেছে তারা হয়তো অবশ্যই বিটকয়েন সম্পর্কে। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে না জানলেও বিটকয়েন সম্পর্কে জানে। তাই আমার মনে হয় বিটকয়েন সম্পর্কে এভাবে পোস্ট করে কিছু বোঝানোর নাই। কারণ এই ধরনের ইনফরমেশন গুগলে সার্চ করলে খুব সহজে পাওয়া যায়।
-
আমার মনে হয় না যে বিটকয়েন সম্পর্কে নতুন ভাবে কাউকে বোঝানোর কিছু আছে। কারণ যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি এসেছে তারা হয়তো অবশ্যই বিটকয়েন সম্পর্কে। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে না জানলেও বিটকয়েন সম্পর্কে জানে। তাই আমার মনে হয় বিটকয়েন সম্পর্কে এভাবে পোস্ট করে কিছু বোঝানোর নাই। কারণ এই ধরনের ইনফরমেশন গুগলে সার্চ করলে খুব সহজে পাওয়া যায়।
আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন। যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট এর সাথে জড়িত আছে বা ক্রিপ্টো কারেন্সি মার্কেট সম্পর্কে একটু হলেও জানে তারা অবশ্যই বিটকয়েন এর সাথে পরিচিত আছে। বিটকয়েন হল ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের সবার সেরা করেন এটা সবারই জানার কথা।
-
ইতোমধ্যেই বিটকয়েন সম্পর্কে প্রত্যেকটা দেশের সরকার এবং প্রত্যেকটা দেশের জনগণ অবগত। সারা শিক্ষিত সুশীল সমাজে বসবাস করে তারা বিটকয়েন বা ভার্চুয়াল কারেন্সি লেনদেন সম্পর্কে ভালোভাবেই জানে। কারণ সারা পৃথিবীব্যাপী বিটকয়েন বা ভার্চুয়াল কারেন্সি গুলোর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি মনে করি বিটকয়েন সম্পর্কে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অবশ্যই অবগত হবে।
-
বর্তমানে মানুষ এখন ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে অবগত না হলেও বিটকয়েন সম্পর্কে ঠিকই জানে। বিটকয়েন এখন মানুষের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও পরিচিত হয়ে উঠেছে। যারা ডিজিটাল যুগের সাথে যুক্ত তারা এই বিটকয়েন সম্পর্কে অবশ্যই জেনে থাকবে। বিশেষ করে যাদের ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে একটু হলেও জ্ঞান আছে তারা বিটকয়েন কি সেটা ভালোভাবে জানে এতে নতুন করে বোঝানোর কিছু নেই।
-
বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে বিটকয়েন সম্পর্কে জানেনা এমন কোনো ইউজার নেই। কমবেশি সবই ইউজার ক্রিপ্টোকারেন্সি যত কয়েন সম্পর্কে জানে। বিশেষ করে বিটকয়েন ছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজার অর্থহীন, আমি মনে করি। বিটকয়েন মুদ্রাটির না থাকলে হয়তো ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে অস্তিত্ব থাকত না। তাই বিটকয়েন ছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজার কল্পনা করা যায় না। বিটকয়েন হলো ইলেকট্রিক মানি।
-
আমি নতুন ইউজার বিটকয়েন সম্পর্কে জানতে চাই।
-
ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুদ্রা হলো বিটকয়েন। এবং বিটকয়েনকে ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের রাজা বলা হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট বিটকয়েন এর উপর সব সময় নির্ভর করে। বিটকয়েন ছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট কল্পনাও করা যায় না। এবং বিটকয়েন সম্পর্কে প্রায় সব মানুষেই জানেন।
-
আপনি অনেক সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করেছেন যা আমাদের অনেক শিক্ষনীয় একটি পোস্ট। আমি নতুন ইউজার তাই বিটকয়েন সম্বন্ধে তেমন কোন ধারণা নেই আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেকটাই ধারণা নিতে পেরেছি আশা করবো আরো অন্যান্য বিষয়গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন যাতে আমরা নতুনরা নতুন কিছু জানতে পারি।
-
বিটকয়েন হলো সারা বিশ্বের ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের সর্বোচ্চ জনপ্রিয় একটি মুদ্রা। এটি 2009 সালে জানুয়ারি মাসে অনলাইন বিশ্বে বিটকয়েন এর আবির্ভাব ঘটে। 2008 সালে সাতোশি নাকামোতো নামের জনৈক সফটওয়্যার ডেভেলপার এই বিটকয়েন আবিস্কা করে। এটি সারা বিশ্বের প্রথম ভার্চুয়াল কারেন্সি। বিটকয়েন আসলে কোন কয়েন নয় ।এটি একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মুদ্রা। বর্তমানে বিটকয়েন মুদ্রা দিয়ে মানুষ অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারে। তাই বলা যায় যে বিটকয়েন একটি জনপ্রিয় মুদ্রা।
-
বর্তমানে বিটকয়েন সম্পর্কে প্রত্যেকটা দেশের সরকার এবং প্রত্যেকটা দেশের জনগণ বিটকয়েন সম্পর্কে জ্ঞান আছে। কেননা বর্তমানে সারাবিশ্বে বিটকয়েন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি মুদ্রাগুলোর জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে । এবং বিটকয়েন সহ অন্যান্য মুদ্রাগুলোর লেনদেন সারা বিশ্বে অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে । বিটকয়েন হলো একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা। বিটকয়েন ছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট একেবারে অচল বলে মনে হয়।