Altcoins Talks - Cryptocurrency Forum
Local => বাংলা (Bengali) => ক্রিপ্টোকুরেন্সি খবর => Topic started by: Ricardo11 on September 14, 2024, 05:57:27 PM
-
(https://www.talkimg.com/images/2024/09/14/BgGqb.png)
full news and photo link (https://www.prothomalo.com/technology/cyberworld/k9gwua7pay)
আজকে আমি খবর ঘাটাঘাটি করার সময় এই খবরটি আমার চোখে পড়লো। আমরা জানি ক্রিপ্টো কারেন্সি বাংলাদেশে অবৈধ, কিন্তু তার পরেও ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবহারে বাংলাদেশের অবস্থান পোস্ট ৩৫ তম। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২১ সালে কৃতকারেন্সি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলেছিল, ক্রিপ্টোকারেন্সি কোনো দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ দ্বারা ইস্যু করা নয় বলে জারি করেন বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশে এটি অবৈধ থাকলেও বাংলাদেশের প্রতিটি ফ্রিল্যান্সাররা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে থাকে, এবং বৈধতা না থাকা সত্ত্বেও ক্রিপ্ট ব্যবহারে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫ তম, আমার মনে হয় বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে ক্রিপ্টো কারেন্সির ওপর কিছুটা নজর দেওয়া উচিত, বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকে বৈধ করা উচিত। এতে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের অনেক বেশি সুবিধা হবে, পাশাপাশি বাংলাদেশের আর্থিক পরিস্থিতিও উন্নতির দিকে যাবে।
-
বাংলাদেশে নামমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ এখানে প্রচুর পরিমাণে ক্রিপ্টো ট্রেডিং, আর্নিং, হোল্ডিং করা হয়। এর বিরুদ্ধে খুব বেশি আইনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। আমি কিছুদিন আগে ঢাকাতে একটি থানার পাশে এক দোকান থেকে বিকাশের টাকা ক্যাশ আউট করতে গিয়েছিলাম আমি লোকেশনটা উল্লেখ করলাম না। সেখানে দেখতে পেলাম একটি কম্পিউটারে ওপেনে দোকানে বসে বসে Binance এ ট্রেডিং করছে। সেই দোকানদার বিকাশ নগদ রকেট এগুলোর এজেন্ট ব্যবহার করেন আমি নিশ্চিত তিনি ক্রিপ্টো ক্রয়ে বিক্রয়ের বিজনেসের সাথেও জড়িত আমি সেই মুহূর্তে তার একাউন্টে $৯০০০ এরও বেশি ডলার দেখতে পেয়েছিলাম। বাংলাদেশে এমন পরিমাণে অপেনলি ক্রিপ্টো ব্যবহার শুরু হয়েছে। আর এর কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে আইন আছে কিন্তু আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই। আমরা ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কথা বলতে ভয় পাই অথচ থানার পাশেই এক দোকানে এগুলো চলছে। তাহলে ভাবুন বাংলাদেশে কি পরিমাণে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা হচ্ছে
-
আসলে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যাবহার আটকানো খুবই কঠিন। এর সবচেয়ে বড় কারন হলো এটার লেনদেনকারিদের পরিচয় গোপন থাকে। আমাদের দেশে বর্তমানে প্রচুর পরিমানে ফ্রিল্যান্সার আছে যাদের অনেকের পেমেন্ট বায়াররা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে পরিশোধ করে থাকে। সো এখানে এর ব্যবহার একেবারে বাদ দেওয়া অসম্ভ।
-
এটার ব্যবহার একেবারে বাদ দেয়া যেহেতু অসম্ভব সেহেতু এটিকে বাংলাদেশ এ বৈধ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এতে প্রতিটি ফ্রীলান্সার দেড় জন্য অনেক বেশি সুবিধা হবে. এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অযথাই ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ বলে স্বীকৃতি দেয়া রয়েছে। তাই এটিকে এখন বৈধ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া অনেক প্রয়োজন।
-
বাংলাদেশ ৩৫ তম নাকি আরো কোনো হের ফের আছে, সেই তথ্য যদি সেন্ট্রালাইজড এক্সচেন্জ গুলো থেকে পাওয়া যেতো, তাহলেই হয়তো বেশি বিশ্বাস যোগ্য হতো। কারন, যেসব কোম্পানি গুলো এন্যালাইসিস করে, তারা মূলত ব্লকচেইন ডাটা থেকে এন্যালাইসিস করে থাকে। আমার মনে হয় না ব্লকচেইনে এই ধরনের কোনো ডাটা থাকে। যদিও রিপোর্টে তাদের ডাটার কোনো সোর্স উল্লেখ করা হয়নি। আমার মনে হয় বাইনান্স বা কয়েনবেজ যদি এরকম একটা পরিসংখ্যান প্রকাশ করে, তাহলে সেটা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে। কারন যেহেতু বাংলাদেশের প্রায় বেশিরভাগ ক্রিপ্টো ব্যাবহারকারীদের বাইনান্স একাউন্ট আছে, তাই বাইনান্সের কাছেই সঠিক তথ্য থাকার কথা।