Altcoins Talks - Cryptocurrency Forum

Local => বাংলা (Bengali) => Topic started by: vola on October 09, 2018, 06:46:44 PM

Title: ব্লকচেইন নিয়ে সহজ কথা
Post by: vola on October 09, 2018, 06:46:44 PM
পৃথিবীর অর্থ ব্যবস্থার মূলে আছে সন্দেহ এবং অবিশ্বাস। ‘ক’ যদি দাবী করে সে ‘খ’ কে দশ মুদ্রা পরিশোধ করেছে তবে এই ঘটনার অন্তত একজন সাক্ষী লাগবে যে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করবে এবং একজন কর্তৃপক্ষ লাগবে যে নিশ্চিত করবে যে ঐ দশ মুদ্রার বাজার মূল্য আসলেই দশ মুদ্রার সমান। বেশ বিড়ম্বনা! আবার ‘ক’ যদি দাবী করে যে সে পঞ্চাশ মুদ্রার মালিক তাকে কি আসলেই আমরা পঞ্চাশ মুদ্রার মালিক হিসাবে ধরে নেব? সেটাও নির্ধারণ করবে আসলে একটি কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ। এবার ধরা যাক দেশে মোট মুদ্রার পরিমাণ এক লক্ষ। তাহলে এর পঞ্চাশটির মালিক হচ্ছে ‘ক’। এখন কতৃপক্ষ যদি আরও দশ হাজার মুদ্রা ছাপানোর ব্যবস্থা করে তবে তো একটি মুদ্রার মূল্য আর এক থাকছে না, কিছুটা হলেও কমে যাচ্ছে। তাহলে ‘ক’ যে দাবী করলো সে পঞ্চাশ মুদ্রার মালিক, সেই দাবী তো সঠিক নয়! তাহলে ‘ক’ কি সেই মুদ্রার প্রকৃত মালিক? ‘ক’ এর মালিকানায় থাকা অবস্থাতেই যদি তার মুদ্রার মান কমে যায় তবে তো সে আসলে এর প্রকৃত মালিক নয়! ব্যাপক বিড়ম্বনা।

এই বিড়ম্বনার সমাধান নিয়ে বাজারে আবির্ভাব ঘটে সাংকেতিক মুদ্রার (ক্রিপ্টোকারেন্সি)। এই মুদ্রা বেশ কয়েকটি প্রাচীন সমস্যার সমাধান করে ফেলে। যেমন মালিকানা জনিত সমস্যা, কর্তৃপক্ষ জনিত সমস্যা, স্ফীতি ঘটিত সমস্যা ইত্যাদি। কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তৈরি হয়েছে ব্লকচেইন প্রযুক্তি যার উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে সাংকেতিক মুদ্রা। এবং এই ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রথম মুদ্রাটির নাম বিটকয়েন।

ব্লকচেইনকে চিন্তা করা যায় একটা বিশাল একটা খাতার সাথে যেখানে একটা মুদ্রার জন্ম থেকে যাবতীয় লেনদেন এনক্রিপ্টেড অবস্থায় লেখা থাকে। এই খাতার বিশেষত্ব হচ্ছে এখানে শুধু নতুন লেখা যোগ হবে কিন্তু কেউ কোনো লাইন মুছতে পারবে না। ব্লকচেইন নামক লেজার খাতায় এই লেনদেনগুলো একেকটা ব্লক আকারে যোগ করা হয়। প্রতিটা ব্লকের সাইজ (বাইট) নির্দিষ্ট। যেমন বিটকয়েনের ক্ষেত্রে একেকটা ব্লকের সাইজ প্রায় ১ মেগাবাইট। প্রতিটা ব্লকে তার আগের ব্লকের ইনফরমেশন থাকে। এভাবে ব্লকগুলি চেইনের মত করে যুক্ত থাকে বলেই এই লেজার খাতাটার নাম ব্লকচেইন। ব্লকচেইনের আরেকটি বিশেষত্ব থাকতে হবে, সেটা হচ্ছে এটি হবে ডিসেন্ট্রালাইজড। মানে একক কোন সার্ভার বা কম্পিউটার এটি সংরক্ষিত না থেকে বরং হাজার হাজার কম্পিউটারে এর একটি করে কার্বন কপি থাকবে। ফলে যদি কয়েকশ’ বা হাজার কম্পিউটার থেকে এটি হারিয়ে বা নষ্ট হয়েও যায় তবুও কোনো ক্ষতি হবে না, সবকিছু আগের মতই চলতে থাকবে। এই একই বৈশিষ্ট্যের জন্য ব্লকচেইনে কেউ যদি দুইনম্বরি করতে চায় সেটাও একটা অসম্ভব ব্যাপারে। একটা ট্রাঞ্জেকশনে কিছু এদিক ওদিক করতে হলে তাকে ধরে ধরে প্রতিটা হোস্টের ব্লকচেইনের কপিতে গিয়ে পরিবর্তনটুকু করে আসতে হবে, যেটা এক কথায় অসম্ভব একটি কাজ। এই কারণে ব্লকচেইন অত্যন্ত নিরাপদ এবং এর অথেন্টিসিটি বা ইন্টিগ্রিটির উপর চোখ বন্ধ করে আস্থা রাখা যায়।

ব্লকচেইনের এই বিশ্বাসযোগ্যতার ব্যাপারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে এর উপর শুধু মুদ্রাই না, বরং যেকোন মালিকানা, কন্ট্রাক্ট, লেনদেন, বিশুদ্ধতা ইত্যাদিকেও নিয়ে আসা যায়। এই ধরণের অসংখ্য পণ্য ব্লকচেইনের উপর ডিজাইন করার জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম দরকার। এই প্ল্যাটফর্মটাও হবে আসলে একটা ব্লকচেইন যার উপর কেউ চাইলে একটি সাবচেইন বা সাবটোকেন প্রোগ্রাম করতে পারে। ইথেরিয়াম এরকম একটি প্ল্যাটফর্ম। ইথেরিয়ামের উপর চাইলে কেউ একটা ব্লকচেইন ভিত্তিক পণ্য ডিজাইন এবং লঞ্চ করতে পারে। সেই পণ্যের নিজস্ব টোকেন থাকবে, নির্দিষ্ট পণ্যটি কেনাকাটা, লেনদেনের জন্য এবং এর নিরাপত্তা, বিকেন্দ্রিকতা ইত্যাদি সুবিধা দেবে ইথেরিয়াম। এ কারণে ইথেরিয়ামকে বলা হয় ব্লকচেইন ২.০। ইথেরিয়ামের পর আরও অনেকগুলি ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্ম এসেছে যারা স্মার্ট কন্ট্রাক্ট ডিজাইন, লঞ্চ করার সুবিধা দেয়। এর মধ্যে আছে নিও (NEO), ব্যাঙ্কর (Bancor), ট্রন (Tron) ইত্যাদি।

ব্লকচেইন ২.০ এর পর আমরা প্রবেশ করছি ব্লকচেইন ৩.০ এর জগতে। ব্লকচেইন অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি হলেও এর অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন মাইনিং এর জন্য বিপুল পরিমাণ কম্পিউটেশন, ইলেকট্রিসিটি ইত্যাদি খরচ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুধু ইথেরিয়াম মাইনিং এর জন্য যে বিদ্যুৎ খরচ হয় সারা পৃথিবীতে তা দিয়ে সাইপ্রাস নামক দেশটির সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চাহিদা মিটানো সম্ভব। বিটকয়েনের ক্ষেত্রে মাত্রাটা ভয়াবহ। বিটকয়েন মাইনিং এর পিছনে যে বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে তা পৃথিবীর ছোটবড় প্রায় ১৫৯ টি দেশের এক বছরের বিদ্যুৎ খরচের সমান! এই ভয়াবহ সমস্যার সমাধানের জন্য এখন গবেষণা চলছে তৃতীয় প্রজন্মের ব্লকচেইন নিয়ে। এর মধ্যে শুরুতেই যাদের নাম আসবে তারা হচ্ছে IOTA, Cardano, Universa ইত্যাদি।
Title: Re: ব্লকচেইন নিয়ে সহজ কথা
Post by: Rony24h7 on October 10, 2018, 05:25:24 PM
যাদের ব্লকচেইন এর ব্যাপারে তেমন ধারনা নেই, তারা আশা করি এই টপিক থেকে অনেকটাই শিখতে পারবে। ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করলাম না, আর বারবার ধন্যবাদ লিখে পোস্ট করাটাও আমার জন্য নিরাপদ না।
তবে হা ব্লকচেইন সিস্টেমে মাইনিং এ বিদ্যুৎ টা একটা গলার কাটার মতোন হয়ে আছে। যদিও বিদ্যুৎ এর খরচে সমস্যা না। কারন যা মাইনিং হয় তাতে করে খরচ উঠে আসে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুৎ এর ব্যাবহার বেশি হয়ে যাচ্ছে। আশা করি নতুন টেকনলজি এই সমস্যার দ্রুত সমাধান দিয়ে দিবে।
Title: Re: ব্লকচেইন নিয়ে সহজ কথা
Post by: rajib on November 07, 2018, 05:35:24 PM
আপনি অনেক ভাল একটা পোষ্ট করেছেন আসলে আমি বিষয় টি ভাল ভাবে বুজতে পারি নি আমার মনেহয় যে আপনার এই বিষয় টি আরো ভাল ভাবে বুজানো দরকার জাতে করে আমরা বিষয়টা বুজতে পারি তাই আমরা চাইবযে আপনি আপনি এই বিষটি নিয়ে আরো ভাল একটা পোষ্ট করবেন ।
Title: Re: ব্লকচেইন নিয়ে সহজ কথা
Post by: Redowan Hasan on November 12, 2018, 09:13:56 AM
হয়তবা আপনি অনেক ভালো পুস্ট করেছেন কিন্তু একটু কঠিন হয়ে গেছে জা সাধারনত সবার বুজতে একটু কস্ট হবে। যার কারনে আপনার কাছে আরেকটা অনুরুধ থাকবে এই পুস্টা আরেকটু ভালোভাবে বুজিয়ে সহজ করে পুস্ট করেন।
Title: Re: ব্লকচেইন নিয়ে সহজ কথা
Post by: lolipop on November 15, 2018, 10:06:05 PM
ব্লকচেইন এর জন্য ভালো একটি পোষ্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। সবাই যদি আপনার মতো এতো ভালো ভালো পোষ্ট করার চেষ্টা করত তাহলে আমরা সবাই ক্রিপ্টো সম্পর্কে ভালো ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারতাম ।
Title: Re: ব্লকচেইন নিয়ে সহজ কথা
Post by: pretha on November 28, 2018, 06:36:43 AM
ব্লকচেইন হলো একটি ওয়ালিট এটিতে বিভিন্ন ধরনের  টোকেন হোল্ড করা যায়। এই এড্রেস  দিয়ে আমরা বান্ট্রি আর এয়ারড্রপ করতে পারি । আর এখানে আপনি এবেপারে একটি ভালো পোষ্ট করেছেন ।