বিগত বছরগুলোতে, আওয়ামীলীগ যেভাবে দমন পীড়ন চালিয়েছে, আপনার কি মনে হয় সবাই সেটা ভুলে গেছে? তারা মেতে ছিলো বিরোধী দল উধাও করে দেয়ার নেশায়। সারা দেশে কেউ নিজেকে বিএনপি সমর্থক বলে পরিচয় দিতে ভয় পেতো। এখন, ক্ষমতায় আসার আগেই বিএনপি সেই প্রতিশোধ নেয়ার নেশায় মেতে গেছে। প্রতিটা এলাকায় আওয়ামী সমর্থক কাউকে পেলেই ধরে ধরে পেটাচ্ছে। অবৈধ ক্ষমতা ব্যাবহার করে জমি দখল করছে, মানুষের দোকান, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে চাদাবাজি শুরু করেছে।
আমি আপনার সাথে পুরোপুরি ভাবে একমত। বাংলাদেশের রাজনীতি মানেই একে অন্যকে ধ্বংস করার রাজনীতি। এই জিনিষটা থেকে কিভাবে বের হওয়া যায় এটা কেউ কখনো ভাবে না। আমি তো মনে করি বাংলাদেশে কেউ জনগনের স্বার্থে রাজনীতি করে না সবাই নিজের স্বার্থে, নিজের ক্ষমতার জন,টাকার জন্য রাজনীতি করে। যদি জনগনের স্বার্থে রাজনীতি করত তাহলে এমনটা হত না। আসলে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল জনগনের জন্য আর এখন তা হয়েছে রাজনৈতিক নেতা ও দলের জন্য। জনগন কেবল দর্শক ছাড়া কিছুইনা। গত ১৫ বছর ভোটের রাজনীতি হয় নাই বিদ্বেষের রাজনীতি হয়েছে এখন আবার তার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এগুলোর শেষ কোথায় আমরা আসলে কেউই জানি না।
বি এনপির উচিৎ ছিলো ওপর মহল থেকে সেগুলো তদারকি করা। তারা আপনাদেরকে মেরেছে, আপনারা বিচার পাননি। এখন আপনারা তাদের মারছেন, তারাও বিচার পাবে না। ২০ বছর পর আপনি আবার মার খাবেন কিন্তু বিচার পাবেন না, এ ধরনের সাইকেল কতো যুগ ধরে চলতে থাকবে? আমি বলি এর পেছনের কারন হলো অশিক্ষিতরা রাজনীতি করে এজন্য। এরা ক্ষমা বুঝে না, আপোষ বুঝে না। বুঝে প্রতিশোধ।
মারামারি ছিল এখনো আছে। এই মারামারি আদৌ কি বন্ধ হবে। আমার মতে জামাআত কে একবার ট্রাই করে দেখা যেথে পারে অন্তত পক্ষে এই রকম দুর্নীতি হবে না এটা নিশ্চিত। বাংলাদেশে প্রচুর সম্পত্তি আছে, টাকা আছে কিন্তু জনগনের স্বার্থে এগুলো ব্যবহৃত হয় না। এগুলো রাজনৈতিক নেতাদের পেটে চলে যায়। আমরা এবার একটু পরিবর্তন আশা করতে পারি। এই সাইকেলগুলো অনেক বছর থেকেই চলে আসছে। এবার বন্ধ হওয়া দরকার। আসলে কিভাবে হবে কারও জানা নাই। আমরা জাতি হিসেবেই সমস্যা। এটা কিভাবে দুর হবে, শিক্ষিত সমাজ গড়ে তুললে হয়তবা এটা দুর হতে পারে। জাতি সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হলেমহয়তবা এটা দুর হতে পারে।