ডিজিটাল মুদ্রা ‘বিটকয়েন’ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। সম্প্রতি অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার একটি চক্রের সন্ধান পায় দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মূল হোতাকে দলবলসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, অন্য ব্যবসার আড়ালে গোপনে চলছিল এ অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসা। ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হচ্ছে একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে। ২০ মে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘অ্যাপসে পাচার হচ্ছে শত কোটি টাকা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
২০০৮ সালে নতুন ধরনের ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রার ধারণা দেন একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী। নতুন এ মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বিটকয়েন হচ্ছে প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি। একজন জাপানি নাগরিক ২০০৯ সালে এটি প্রথম উদ্ভাবন করেন। বিটকয়েনে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু হয় ২০১০ সালে। পরে আরও কয়েকটি ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলন হলেও বিটকয়েন সব থেকে বেশি পরিচিতি পেয়েছে। দ্বিতীয় বৃহৎ ডিজিটাল মুদ্রা হচ্ছে ‘ইথেরিয়াম’।
বিটকয়েন বাংলাদেশে কেন নিষিদ্ধ সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সির বৈশিষ্ট্যগুলো একঝলক দেখে নেওয়া যাক। সংক্ষেপে বলা যায়, ক্রিপ্টোকারেন্সি হচ্ছে সাংকেতিক মুদ্রা যা দেখা যায় না, ধরা যায় না বা ছোঁয়া যায় না। এর কোনো বাস্তব অস্তিত্ব নেই। কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনে এর লেনদেন চলে। ইন্টারনেট সিস্টেমে প্রোগ্রামিং করা আছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটে জমিয়ে রাখা যায়। ওয়ালেট হলো ব্যক্তিগত ডাটাবেস বা তথ্যভান্ডার যা কম্পিউটার বা অন্য কোনো ডিভাইসে রক্ষিত থাকে। একজনের ব্যক্তিগত ওয়ালেট থেকে আরেকজনের ব্যক্তিগত ওয়ালেটে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন করা যায়। ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিময় মূল্য প্রচলিত মুদ্রায় পরিশোধ করতে হয়। কিছু কিছু দেশে সীমিত কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন কেনাকাটায় ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েন গ্রহণ করলেও অনেক দেশেই মুদ্রা হিসেবে এখনো স্বীকৃতি পায়নি বিটকয়েন।