আমাদের দেশে বিটকয়েন লেনদেন সম্পূর্ণ অবৈধ। তবুও বিটকয়েনের লেনদেন হচ্ছে প্রচুর। এই বিটকয়েন লেনদেনের সাথে মানিলন্ডারিং করা হচ্ছে যা পুরোপুরি আইনত অপরাধ। যদি আমাদের এই দেশে বিটকয়েন লেনদেন বৈধতা দেয়। তাহলে আমার মনে হয় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আরো বৃদ্ধি পাবে। বিটকয়েন এর ভালো এবং খারাপ দুটো দিক বিবেচনা করেই সরকার এখনও স্বীকৃতি দিচ্ছে না। আশা করি ভবিষ্যতে বিভিন্ন দেশের সাথে তাল মিলিয়ে বিটকয়েন ব্যবহার বৈধকরণ করবে।
তবে কয়েক বছর আগে আমাদের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ঘোষণা করেছিলেন আমাদের দেশে ব্লক চেনের বৈধতা দিবে কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমরা সেই উদ্যোগটি সফল হতে দেখলাম না। আমি মনে করি ব্লকচেইন প্রযুক্তি চালু হলে আস্তে আস্তে বিটকয়েনেরও প্রচলন শুরু হবে আমাদের দেশে।
আমাদের দেশে বিটকয়েনের বৈধতা না দিলেও বিভিন্নভাবে এর লেনদেন সম্পূর্ণ হচ্ছে। তাই আমি মনে করি সরকার যদি এটার বৈধতা দেয় তাহলে এই মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ করা সম্ভব
আপনার পর্যবেক্ষণ যথার্থ। ব্লকচেইন প্রযুক্তির বৈধতা ও নিয়ন্ত্রণ প্রদান হলে এটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। বাংলাদেশে ব্লকচেইন প্রযুক্তির বৈধতা নিশ্চিত করা হলে এটি ডিজিটাল অর্থনীতি এবং প্রযুক্তির উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ব্লকচেইন প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন ফিনান্স, সাপ্লাই চেইন, স্বাস্থ্যসেবা, এবং সরকারি নথিপত্র ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য সুবিধা প্রদান করতে পারে। বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির বৈধতা দিলে এগুলোর নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি, মানি লন্ডারিং ও অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কার্যকর নীতি গ্রহণ ও সঠিক নিয়ন্ত্রণ প্রণয়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেশের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নতি করতে সাহায্য করবে।