বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ ভেতরে বেশ জটিল কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন এটার ব্যবসা এখন যেভাবে হচ্ছে, কেউ কিনে রেখে দিচ্ছেন, দাম বাড়লে আবার বিক্রি করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে যেমনটা হয়েছে, ভালোভাবে না বোঝার কারণে এখানেও কিন্তু প্রতারণার একটা সুযোগ রয়েছে।‘
বিটকয়েন বাংলাদেশে ব্যবহার করতে হলে আরও অনেক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বিটকয়েন বৈধ এবং আগামী কয়েক বছরের মধ্যে অনলাইন কারেন্সি হিসেবে বিটকয়েন রাজত্ব করবে এদিকে বাংলাদেশে এখনো এটা বৈধতাই দিতে পারলোনা । ওদিকে সামান্য পেপাল সার্ভিস না থাকার কারনে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা যে একটা বড় সমস্যায় সম্মুখীন হচ্ছে সেটা নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই। বর্তমান বাংলাদেশে অর্থনীতির একটা সিংহ ভাগ অংশ আগলে রেখেছে ফ্রিল্যান্সার এবং প্রবাসী ভাইয়েরা।
হাজার হাজার বেকার ছেলে মেয়ে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কষ্ট করে বিদেশি ডলার বাংলাদেশে আনতেছে এই ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে। আর আমার দেশের উচ্চপদস্থ লোকজন এইসব নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা ই করে না! আগামীর বিশ্ব হবে অনলাইন কারেন্সির বিশ্ব। বিশ্বের সকল বড় বড় রাষ্ট্র ক্রিপ্টো কারেন্সির নিয়ে মহা পরিকল্পনা করতেছে। আর আমাদের দেশে এখনও বৈধতাই দিতে পারলো না!
বিট কয়েন তথা ক্রিপ্টোকারেন্সির সরকার ও প্রশাসনমহলের সঠিক কূটনৈতিক তথ্য এবং পরামর্শক নাই, যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি বুঝে তারা দেশের সম্পদ।
আমরা ৭০ বছর পিছিয়ে! ইউরোপ আমেরিকা থেকে
যেই বিষয়টা ইউরোপ আমেরিকা ২০ বছর আগে বুঝে সেটা আমাদের সরকার বুঝতে পারবে আরো ৫০ বছর পরে সুতরাং আমরা ৭০ বছর পিছিয়ে! যারা আগাতে চাই তাদেরকে ও পিছনে টেনে নামাই আর সরকারী উক্তি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব খুবই দূর্ভাগ্য জাতি !
ধন্যবাদ সবাইকে।