আপনার সাথে আমি এই বিষয়ে একমত যে ভোক্তা অধিদপ্তরের লোকজন গুলো তাদের চেষ্টা করে যাচ্ছে তবে তাদের লোকবল অনেক কম আর তাছাড়া যদি এই হাতগুলো কমানো না যায় বা এই হাতগুলোর মধ্যেও সিস্টেমিক কোন উপায় না বের করে দেওয়া হয় তাহলে কখনোই দামের ঊর্ধ্বগতি কমানো যাবে না।
জী ভাই এটা ঠিক যে যথেষ্ট লোকবল নাই এসব মনিটরিং করার জন্য। যদিও তাদের চেষ্টাতে কমতি নেই, বাট একজন মানুষ বা টিম কয়দিকেই বা দেখবে।
আরেকটা জিনিস নোটিস করছি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছোট থেকে মাঝারি পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের জড়িমানা করা হচ্ছে। আমার মতে এটা করে তেমন সুফল পাওয়া যাবে না, আর এটা লজিক্যাল ও না।
বিতর্কের খাতিরে ধরেন বাংলাদেশে ২০ কোটি মানুষ, তার মধ্যে ৫ কোটি ছোট-বড় ব্যবসায়ী। অবিয়েসলি, এতো বড় সংখ্যা ভোক্তা অধিকারের পক্ষে কভার করা সম্ভবও না। একটা বাজারে কমপক্ষে ১০০ টা দোকান থাকে, আবার পাড়া মহল্লা এলাকা ভেদে আবার বাজার থাকে। এখন একটা টিম যদি দিনে ১০০ টা দোকানেও রেড মারে, ৫-৭ টা বাজার মনিটরিং করে তাও সব কভার করা সম্ভব না।
কিন্তু যদি বড় বড় রাঘব বোয়ালদের (মেইন সাপ্লাইয়ার) ধরা যায়, ঐ খানে গিয়ে জড়িমানা করা হয়, তাহলে সব লাইনে আসবে। কারন সাপ্লাইয়ের সংখ্যা লিমিটেড, যদিও পরিসংখ্যানটি আমি জানিনা, বাট এটা কমন সেন্স।
আলু পেয়াজের কথা যদি বলি অনেক ব্যবসায়ী আছে যারা "কমিশনে" এসব বিক্রি করে। মানে বস্তা প্রতি ১০০ টাকা বা সামথিং। ১০ বস্তা বেচলেও এরা একই রেটে কমিশন পাবে ১০০ বস্তা বেচলেও সেম। সাপ্লাইয়ার তাকে যে রেটে সেল করতে বলে সেই রেটে সেল করে। না এদের LC এর পেপারস দেয়, কত টাকায় কেনা পড়ছে তাও জানায় না। ভোক্তা অধিকার ঠিকই এদের ২০-৫০ হাজার জরিমানা করে, কিন্ত এদিকে আসল হোতা সেই সাপ্লাইয়ার। ২৫ টাকায় কেনা মাল ৫০-৬০ টাকায় সেল করতে বলে। প্রকৃতপক্ষে এদের ধরে এদের লাইসেন্স রধ করা উচিত, সাথে সর্বোচ্চ দন্ড দেয়া উচিত। শুধু দন্ড না জেল দেয়া উচিত। কিন্তু তাদের শুধু ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের ধরতে দেখি। বড় বড় সাপ্লাইয়ার এদিকে কোটি কোটির ব্যবসা করে চলে যায়।