কি ব্যাপার এই থ্রেড কি ডেড হইয়া গেল নাকি?
আজকে কলকাতা নাইট রাইডার্স এর খেলা ছিল তারপরেও দেখি এই থ্রেড চুপ হইয়া রয়েছে। আমি ঢাকা ছিলাম যখন ম্যাচ শুরু হয়েছে এবং কালকে মিড টার্ম পরীক্ষা আন্দোলনের জন্য বাতিল ঘোষণা করায় হাতে তিন চার দিন সময় পেয়ে গেছি এবং দৌড় মেরে আবার নিজ জেলায় চলে আসলাম। বাসের মধ্যে খেলা দেখতে পারি নাই কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ক্যাপ্টেন বানিয়েও চেন্নাই সুপার কিংস কিছু করতে পারল না এটা শুধু দেখতে পারলাম।
যাইহোক কলকাতার বলার আজকে তাদের হাতে আগুন ঝরিয়েছে। বেচারা চেন্নাই সুপার কিংস বলতে তো সবাই ধনী কে চিনে মানে বেচারা ধোনির মান-সম্মান এক্কেবারে লেজে গোবরে হয়ে গিয়েছে আজকে। এবার চেন্নাই মনে হয়না আর নেক্সট রাউন্ডে যাইতে পারবে পরপর পাঁচটি ম্যাচ হারল তারা।
এদিকে আমার বিড়ালের ফ্লু হইছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ওর পেছনে দৌড়াইতেছি আমি। ডেইলি ৪ টা ইনজেকশন, আরেকটা ছয় ঘন্টা পরপর। অনেক কষ্টে আছি ভাই। বাচা মরা টাইপ শঙ্কা ওর। দোয়া কইরেন। খেলা আসবে যাবে, ও আসবে না গেলে... 
ভাই আপনি আগে বলেন আপনার বিড়ালের কি খবর?
আপনার এই বিষয়টা ভাই আমি আরো ভালো করে ফিল করতে পারব আমার একটা বিড়াল ছিল 6 বছর বয়স হয়েছিল তার একদিন স্কুল থেকে ফিরে এসে দেখি খাটের নিচে গিয়ে শুধু চিল্লাচ্ছে পরে আম্মুকে জিজ্ঞাসা করলাম কোথা থেকে চিল্লায় আম্মু বলল ওর কোমর ভেঙ্গে গেছে খাটের নিচে আছে। খাটের মাচা সরিয়ে দেখি বসে আছে আমাকে দেখে এমন ভাবে ম্যাও ঢাকা শুরু করলো মনে হলো যে সে ভরসা পেয়ে গিয়েছে সে বেঁচে যাবে। আমরা দুই তলায় থাকতাম শুধুমাত্র সামনের দুই পায়ের উপর ভর করে একদম ভাঙ্গা কোমর, যেটাকে বলে একেবারে ঝুলোঝুলা অবস্থায় দোতালায় আসছিল। আমার আব্বু একজন পশু চিকিৎসক তাকে বললাম কিছু করতে সে বলল আমার জেলায় কোন কিছু করা সম্ভব না জাস্ট একটা ব্যাথার ইনজেকশন দিল। এবং বলল এর বাঁচা সম্ভাবনা কম।
আমি আর আমার বোন ওর এক একটা চিৎকার সহ্য করতে না পেরে আমরা দাদুর বাড়ি চলে গিয়েছিলাম এবং এসে দেখি মৃত পড়ে আছে। ভাই হাই স্কুলে ছিলাম ওই দিনটির কথা এখনো মনে আছে কেমন কান্না করেছিলাম।
অনেকে ভাবতে পারে পশু নিয়ে এত ইমোশন কিসের কিন্তু ভাই ছয়টা বছর ছিল অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা ছয়টা বছর পরিচিত মানুষদের সাথেও থাকি না ও অনেকটা আমার পরিবারের সদস্যের মতন হয়ে গেছিল আমার পরিবারের সবাই ওর মৃত্যুতে কান্না করেছিল।
আমার এই স্টোরিটা অফ টপিক হয়ে গেল এজন্য ভাই মাফ চেয়ে নিচ্ছি সবার কাছে।