ICO এবং IEO এর মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য গুলো হচ্ছে:
আমরা অনেকেই ICO এবং IEO সাথে পরিচিত। কিন্তু এদের পার্থক্যগুলো অনেকেই জানিনা।কিছু জুনিয়র মেম্বার এবং সিনিয়র মেম্বার দের আদেশ এ এর পার্থক্য গুলো তুলে ধরা হলো:-
রিসার্চঃ- ICO এর ক্ষেত্রে লেজিট ICO খুজে পেতে আপনাকে ভাল পরিমান রিসার্চ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে কোন সময় আপনার ভুলও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু IEO এর জন্য আপনাকে তেমন কোন রিসার্চই করার প্রয়োজন হবে না। কারন যে এক্সচেন্জ থেকে IEO করা হবে তারাই এই কাজটি করে থাকবে। কারন তারা কোন ভুয়া কম্পানিকে সহযোগিতা করবে না। যার কারণে IEO তে ইনভেস্ট করলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। যেটা ICO তে একটি সন্দেহের বিষয় থেকেই যাই। তাই বলে আমি আপনাকে রিসার্চ করা থেকে নিরুৎসাহিত করছি না। অবশ্যই রিসার্চ করবেন, কারন ইনভেস্ট করার পুর্বে আপনারও ধারনা থাকা দরকার কোন জায়গায় ইনভেস্ট করতে যাচ্ছেন।
research
ট্রেডিং মার্কেটঃ- কোন কম্পানির ICO হওয়ার পর কোন মার্কেটে তারা ট্রেড শুরু করবে, কবে করবে, এই নিয়ে বাড়তি চিন্তা মাথাই কাজ করে। কারণ ভাল কোন এক্সচেন্জ মার্কেটে ট্রেড শুরু না করলে, ভাল ফলাফল আশা করা যায় না। কিন্তু IEO তে এই চিন্তা করা লাগে না। কারণ যেই এক্সচেন্জ মার্কেটে IEO করা হবে সেই মার্কেটেই তাদের প্রথম ট্রেড শুরু হবে। আর আপনি যেই এক্সচেন্জ মার্কেটে আস্থা রাখেন শুধু সেই এক্সচেন্জ মার্কেটের IEO করবেন এটাই স্বাভাবিক বিষয়।
ট্রেডিং টাইমঃ- ICO করতে গিয়ে দেখা গেছে অনেক কম্পানি ICO কম্পিলিট হওয়ার পর মার্কেটে আসতে দীর্ঘ সময় নিয়েছে। এই ক্ষেত্রে ১ মাস থেকে শুরু করে ৫ মাসের বেশি সময় নিয়েছে শুধু ট্রেডিং মার্কেটে আসতে। যেমন, Wanchain এর কথাই বলা যেতে পারে। এতে করে আপনার ইনভেস্ট আটকে থাকে। কিন্তু IEO করলে এই প্যারা থেকে বাঁচা যায়। কারন যেহেতু IEO এক্সচেন্জ মার্কেট গুলোতেই করা হচ্ছে যার ফলে, কোন কয়েন বিক্রির পর কোন্ মার্কেটে যোগ হবে এই নিয়ে বাড়তি কোন ঝামেলা থাকছে না। তার ফলে কয়েন বিক্রি হবার পর ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই ট্রেডিং এর জন্য কয়েন রিলিজ করা হচ্ছে।
উপরের কয়েকটি পার্থক্যই হয়তো আপনার মধ্যে ধারনা নিয়ে এসেছে যে, ICO করাটা ভাল হবে নাকি IEO করা। অবশ্য অনেকেই অনেক রকম যুক্তি দাড় করাতে পারে। তবে আমার কাছে ইনভেস্ট করার জন্য নিসন্দেহে IEO উত্তম এবং নিরাপদ একটি পথ।