বাংলাদেশ সরকার বিটকয়েন কে বৈধ করতে চায় না তার অনেক কারণ রয়েছে। যেমন বিটকয়েন লেনদেনের মাধ্যমে ব্যক্তি পরিচয় সম্পন্নভাবে গোপন থাকে। কে বিটকয়েন লেনদেন করল, কোথা থেকে করল, বিটকয়েন কোথায় গেল এটা কেউ বলতে পারবেনা। আবার বিটকয়েনের নিজস্ব কোন রূপ নেই। একে ধরাও যায় না, স্পর্শও করা যায় না শুধু এর সংখ্যা দেখা যায়। আবার বিটকয়েনের দাম প্রতিনিয়তই কমে এবং বাড়ে। এখন এইভাবে যদি লেনদেন চলতে থাকে তাহলে যদি কেউ বিটকয়েনে টাকা সঞ্চয় করে রাখে এমন ব্যক্তি যার কাছে ওই টাকা ছাড়া অন্য কোন টাকা নেই। তখন যদি বিটকয়েনের মার্কেট ডাম্প করে তাহলে ওই ব্যক্তির অনেক ক্ষতি হবে। হতে পারে ওই ব্যক্তি তার অতি প্রয়োজনীয় টাকা সেইখানে সঞ্চয় করে রেখেছিল। সরকার এই বিষয়ে অবশ্যই অনেক কিছু জানে। সর্বোপরি সরকার চিন্তা করে বিটকয়েনকে বাংলাদেশে বৈধতা দেয়নি। বাংলাদেশের মানুষ যেখানে অধিকাংশই শ্রমজীবী কৃষি কাজ করে তাদের সংসার পরিচালনা করে তারা এই ডিজিটাল কারেন্সি সম্পর্কে কতটুকু বা জানবে। তবুও আমি আশা করি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সরকার যেন বিটকয়েনের বৈধতা দেয় কারণ যারা এ সম্পর্কে গবেষণা করবে এবং এ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখবে তারা অবশ্যই থেকে লাভবান হতে পারবে বলে আমি মনে করি।