বিটকয়েন নিয়ে দৈনিক আমাদের সময়.কম তাদের ওয়েব পেজে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। হুবহু তুলে ধরা হলো।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের মূল্য উল্কা বেগে বৃদ্ধির আরেক কারণ হচ্ছে এলন মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি কোম্পানি টেসলার ডিজিটাল মুদ্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে পৌঁছে যাওয়া। টেসলা ইতিমধ্যে বিটকয়েনে লেনদেনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এব্যাপারে এলন মাস্ক তার কোম্পানির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে টুইটে জানিয়েছেন যখন স্বীকৃত মুদ্রা নেতিবাচক ভূমিকা বা অনাগ্রহ দেখান তখন একমাত্র বোকারাই বিকল্প উৎসের সন্ধান থেকে বিরত থাকে। এলন মাস্ক এও জানান, বিটকয়েনে বিনিয়োগ বা লেনদেনকে স্বীকৃতির পক্ষে এটি তার ব্যক্তিগত মতামত। এবং কোম্পানির এ সিদ্ধান্তকে তিনি যৌক্তিক বলেও অভিহিত করেন। ব্লুমবার্গ/আরটি/স্পুটনিক
এদিকে মার্কেট ওয়াচ বলছে গত শুক্রবার বিটকয়েনের বাজার মূলধন ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ২০০৯ সালে এধরনের ইলেক্ট্রোনিক মুদ্রা বাজারে ছাড়ার পর কম বিতর্কের সৃষ্টি হয়নি। এখনো অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিটকয়েনে লেনদেনকে বৈধতা দেয়নি। কিন্তু গত ১৫ মাস আগেও বিটকয়েনের মূল্য ছিল কমবেশি সাড়ে ৬ হাজার ডলার।
এ মাসের শুরুতে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা পরামর্শ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নোমিনি গ্যারি জেন্সলার যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের প্রধান হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে বেশ কিছু নীতি পরিবর্তন করতে পারে কমিশন এমন ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে বিনিয়োগকারীদের মাঝে যা তাদেরকে বিটকয়েনে বিনিয়োগে উৎসাহ যুগিয়েছে। এর একটি হচ্ছে ব্যাংকগুলো বিটকয়েনে লেনদেন করতে পারে। তবে এজন্যে নতুন করে নীতিমালা তৈরি করতে হবে। তারপরও শুক্রবার বিটকয়েনের লেনদেনে মূল্য ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে এর বাজার মূলধন ১ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। কয়েন মার্কেট ক্যাপ ডাটা অনুযায়ী শুক্রবার বিটকয়েনের লেনদেনের শুরুতেই এর মূল্য বৃদ্ধি পায় ৫৩ হাজার ডলার। তারপর তা আরো বাড়ে। বাজার বিশ্লেষকরা আগেই বলেছেন বিটকয়েনের মূল্য ১ লাখ ডলার ছাড়িয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। ফেসবুক ও টেসলার চেয়ে বিটকয়েনের বাজার মূল্য এখন বেশি। এবং ওয়ারেন বাফেটের বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের চেয়ে দ্বিগুণ। এই মাসে বিটকয়েনের মূল্য ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে তা যোগ করেছে ৪শ বিলিয়ন ডলার। ফেব্রুয়ারির শুরুতে টেসলার দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের খবর ছাড়াও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরাতন ব্যাংক বিএনওয়াই মেলন জানায় প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের বিটকয়েন স্থানান্তর করবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। তবে বিটকয়েনের দর যত উঠছে এ নিয়ে শঙ্কা বিনিয়োগকারীদের মনে ততই দানা বেঁধে উঠেছে। এখনো অনেক বাজার বিশ্লেষক বলছেন এটি আসলে কৃত্রিম মূল্যস্ফীতি এবং যা ‘বিগেস্ট বাবল’ হিসেবে অভিহিত করছেন তারা। তারা এও বলছেন বিটকয়েনের মূল্যস্ফীতি টেকসই নয়। বাজার বিশ্লেষক সংস্থা জেপি মরগ্যান পর্যন্ত বলছে বিটকয়েনের বৈধতা অর্থনৈতিক দিক হয়ে উঠলেও তা স্বীকৃত মুদ্রাগুলোর ওপর বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করবে।
খবরের লিংক