আপনি যদি ওয়েব থ্রি ওয়ালেটে হোল্ড না করেন, তাহলে আসলে ফিশিং এ পরে যাওয়ার তেমন কোনো আশংকা থাকার কথা না। ওয়ালেট ড্রেইন হওয়ার ভয় সবচাইতে বেশি ওয়েব থ্রি ওয়ালেট ব্যাবহারকারীদের। কারণ এই আর ডিভাইস কম্প্রোমাইজ হয়ে গেলে তো আর কোনো কথাই নেই। কিন্তু আমার মতে যারা লং টাইম ধরে হোল্ড করবে, তাদের উচিৎ হার্ডওয়্যার ওয়ালেট ব্যাবহার করা কোল্ড ওয়ালেট হিসাবে। আমরা প্রতিদিন যেই ডিভাইজ গুলো ব্যাবহার করে থাকি র্যান্ডম ওয়েবসাইট এক্সেস করার জন্য বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহারের জন্য, সেসব ডিভাইসে ওয়ালেট রাখা উচিৎ না। যাই হোক, এক এক জনের এক এক রকম প্ল্যান। যদিও এই প্ল্যান আমার কাছে সবচাইতে যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। আদতে আমার ৯৫% ইনভেস্টমেন্ট ক্রিপ্টোতেই। এবং আমি ব্যাংকে কোনো টাকা রাখি না। বেশি হলে ২০ হাজারের মতো।
আমারও বেশিরভাগ এসেট ক্রিপ্টোতেই, আমার ব্যাংকে যে টাকা রয়েছে তার চার গুণ টাকা ক্রিপ্টো কারেন্সিতে রয়েছে।
তবে আমি ব্যাংকে আপনার চাইতে আরেকটু বেশি অ্যামাউন্ট টাকা সবসময় ফোল্ডিং করতে চাই সব সময় রানিং চালানোর জন্য আমি এক লাখ টাকা সিকিউরিটি হিসেবে ব্যাংকে রাখাকে ভালো মনে করি কারণ আমাদের বাংলাদেশের বাজারে যেকোনো পরিস্থিতিতে ভালো বুদ্ধি থাকলে এক লাখ টাকায় মোটামুটি একটা ছোটখাটো বিজনেসও রান করা যাবে।
যাইহোক এখন আসি হ্যাকিং এর কথায় এটা আসলে সত্যি যে ওয়েব থ্রি ওয়ালেট গুলোই বেশি ফিশিং এর শিকার হয় আমি নিজেও ফিশিং এর শিকার হয়ে কয়েক বছর আগে আমার কিছু ফান্ড হারিয়েছিলাম যদিও সেটা তখন আমার জন্য বিশাল এমাউন্ট ছিল কয়েক ফাইল ডাউনলোড করতে গিয়ে আমার এই অবস্থা হয়েছিল।
তবে মজার কথা বলি সেটা হল হ্যাকাররা কিন্তু সেন্ট্রালাইজ প্ল্যাটফর্ম এর পাসওয়ার্ড নিয়ে যদি সেখানে ২ ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন থাকে সেটা কেউ বাইপাস করতে পারে আমার এরকম কয়েকটা কয়েকটা প্ল্যাটফর্মের একাউন্ট হ্যাক করে ফেলেছে যেটা রিকভার করতে পারিনি।
আর হার্ডওয়ারওয়ালেটটা জরুরী যখন আপনি আপনার বেশিরভাগ এসেট ইন্টারনেট বা ক্রিপ্ততে রাখছেন।
যদিও কয়েকবার আমার হার্ডওয়ার ওয়ালেট কেনার ইচ্ছা জেগেছে তবে হার্ডওয়ার ওয়ালেট কিভাবে অর্ডার করবো বা কিভাবে বাংলাদেশে আনব এই বিষয় নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছি তা ছাড়াও হার্ডওয়ার ওয়ালেট এর একটা ফিজিকালি মেন্টেনের বিষয় রয়েছে।