এখনো দেশে অনেক কিছুই ঘটছে তবে অনেকটাই নিরিবিলিতে আড়ালে। টাকার কাছে সবাই বিক্রি হয়ে যায় আর তারা যে পরিমাণে লুটপাট করেছিল তাতে তারা হাজার হাজার লোকদের টাকা দিয়ে ঢেকে রাখতে পারবে আর কেউ চায়না বন্দি থাকতে শাস্তি ভোগ করতে তাই যেকোন পরিমাণ টাকার মাধ্যমে তারা দেশ থেকে পালাতে রাজি আর এই সময় অনেকেই এই সুযোগ ব্যবহার করে তাদের দেশ থেকে পালাতে সাহায্য করেছে এর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের লোকেরা জড়িত আছে হতে পারে সেনাবাহিনী হতে পারে বিজিবি হতে পারে অন্য কেউ তবে যেহেতু কোন স্পষ্ট প্রমাণ নেই তাই কাউকে দোষারোপ করা যাবে না। বাংলাদেশ থেকে চুরি-দুর্নীতি কখনোই যাবে না কারণ এটা বাঙালীদের রক্তে মিশে আছে। বাঙালি আবেগি তাই আবেগের বয়সে অনেক কিছুই করেছে তবে ধীরে ধীরে সব কিছুই আবারো ভুলে যাচ্ছে আর এ কারণেই প্রতারকরা সুযোগ পাচ্ছে নিজেদের বাঁচাতে
আমার পাশের জেলার একটা ঘটনা শেয়ার করি। আমার পাশের জেলার নাম নরসিংদী। এই জেলার একটা থানার নাম পলাশ, সেখানের ঘোড়াশাল পৌরসভার মেয়রের নাম তুষার। যে কি না আবার সেখারখান এমপির ভাগিনা সম্ভবত। তারা মোটামোটি ঘোড়াশাল সার কারখানা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শুরু করে সকল সরকারি প্রজেক্ট এর কাজ নিজেরা করতো। এবং প্রতি প্রজেক্ট থেকে কয়েকশ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
কথিত আছে, ৫ই আগষ্টে যখন তাদের বাড়িঘর এক পক্ষ আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে, সেই একই সময়ে মেয়র তুষার বোরখা পড়ে টাকা আর গয়নার ব্যাগ নিয়ে প্রাইভেট কার যোগে এলাকা ত্যাগ করে। সেখান থেকে ৫-৬ কিমি যায়া তাকে প্রটোকল দেয় বিএনপি নেতারা। বিনিময়ে তারা তুষারের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকার বেশি দাবি করে। মাত্র ৩০ মিনিটের কাজে তারা ৩০ লক্ষ টাকা কামিয়ে নিয়েছে।
আবার সেই বিএনপি নেতারাই এখন বলে তুষারকে খুজে বের করা হোক।

এইতো দেখেন এরকম সব জায়গাতেই হইছে কাকের মত খেয়ে খেয়ে ঠোট মুছে ফেলে তারপর উল্টা ফাঁপর নিয়ে চলে। যত যাই হোক ঘুরে ফিরে সবাই টাকার কাছে হেরে যায়। যদি টাকার কাছে মানুষ হেরে না যেত তাহলে ৫ তারিখের পর একজন নেতাকর্মীও দেশ থেকে তলাতে পারতো না।
আগে যারা লুটপাট করছে চাঁদাবাজি করছে দখলবাজি করছে তারাই এখন আবার বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যারা এসব কর্মকাণ্ড আগে করত এখনো তারাই করছে আবার ভবিষ্যতে তারাই করবে শুধুমাত্র দলের নাম পরিবর্তন হবে যে অমুক দল এরকম করে গেছে।
রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন হয় কর্মী আর বাংলাদেশের রাজনীতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে ভালো মানুষগুলো রাজনীতিকে ঘৃণা করে তাই যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন কেন্দ্রীয় নেতা এবং অন্যান্য বড় বড় নেতা কর্মী শুধুমাত্র পরিবর্তন হয় তবে মাঠ পর্যায়ের কর্মী গুলো সব সময় একই থাকে শুধুমাত্র দলের নাম পরিবর্তন করে তারা চলেন। তাহলে কিভাবে দেশের চাঁদাবাজি , দখলবাজি, লুটপাট এগুলো থামবে। কখনো দেখেছেন এসব কাজ কোন কেন্দ্রীয় বা বড় নেতা সরাসরি করেন এগুলো তো মাঠ পর্যায়ের কর্মীরাই করেন বড় নেতারা শুধুমাত্র এখান থেকে কমিশন খান। আর যখনই মাঠ পর্যায়ের এসব কর্মীদের এসব কর্মকান্ড করতে বাধা দিবে প্রশ্রয় না দিবে তখন তারা সেই নেতার পিছনে থাকবে না আর এই কারণেই নেতারা এদের প্রশ্রয় দেন।
সরকারের দরকার এমপি মন্ত্রীর- এমপি মন্ত্রীর দরকার মেয়র কাউন্সিলর চেয়ারম্যান মেম্বার- আর এদের দরকার মাঠ পর্যায়ের কর্মী - আর মাঠ পর্যায়ের কর্মীর প্রয়োজন চাঁদাবাজি দখলবাজি ছিনতাই ইত্যাদি কারণ উপর লেভেলের নেতারা সরকারের থেকে বেতন পায় এবং বিভিন্ন বাজেট থেকে টাকা পেলেও মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কোন বেতন নেই তাই তাদের পেট তারা এভাবেই চালায়। বাংলাদেশের রাজনীতি একদম নষ্ট রাজনীতি যার কারণে এই অবস্থা। আর এটি পরিবর্তন হবে বলে আমি মনে করি না তাই যুদ্ধ করে এক স্বৈরাচার বিদায় করলেও দেশ কখনো পরিপূর্ণভাবে ভালো করা সম্ভব হবে না যদি না উপর লেভেলের নেতাকর্মী সহ মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মী সবাই ভালো না হয়।