একটা জিনিস দেখে খুব আশ্চর্য হই। সেটা হলো বাংলাদেশের বেশীরভাগ কম্পিউটার ব্যাবহারকাররী ক্র্যাক করা উইন্ডোজ ইউজ করে অথচ লিনাক্স ভিত্তিক হাজার হাজার ফ্রী অপারেটিং সিস্টেম আছে। যা তারা চাইলেই ফ্রীতে ইউজ করতে পারে। বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে শুধু উইন্ডোজকেই চিনে। লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমগুলা উইন্ডোজ এর তুলনায় অনেক লাইটওয়েট হওয়ার কারণে পুরাতন মেশিনেও অনেক ভালো পারফর্ম করতে পারে।
লিনাক্স এর হাজার হাজার অপারেটিং সিস্টেম থাকলেও জনপ্রিয়তার দিক থেকে উবুন্টু, ফেডোরা, ডেবিয়ান, লিনাক্সমিন্ট, আর্চ লিনাক্স এইগুলা সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে লিনাক্স ডেক্সটপ ডিস্ট্রিবিউশনগুলো বেশী মানুষ ইউজ না করলেও আমরা প্রায় সবাই দৈনন্দিন জীবণে লিনাক্স এর সাথে জড়িত এর সবচেয়ে বড়ো কারণ পৃথিবীর প্রায় ৭০-৯০% ওয়েব সার্ভার লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে। লিনাক্স এর এতো বিপুল ব্যাবহার এর অন্যতম কারণ এর নিরাপত্তা এবং এটি ওপেন সোর্স। ক্লাউড সার্ভার, ডেটা সেন্টার এবং হোস্টিং সার্ভারগুলাতে লিনাক্স এর ব্যাপক ব্যাবহার লক্ষ্য করা যায়।
আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে আমরা যেই এন্ড্রয়েড ফোন ব্যাবহার করি সেটিও কিন্তু লিনাক্স কার্নেল এর উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা। তবে দিন দিন লিনাক্স ডেক্সটপ ডিস্ট্রিবিউশনগুলোর ব্যাবহার ও বাংলাদেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে যা একটি ভালো দিক, কারণ লিনাক্স এর নিরাপত্তা উইন্ডোজ এর চাইতে অনেক বেশী। আমি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানেও ডেক্সটপ এ উবুন্টু ব্যাবহার করতে দেখেছি। একজন লিনাক্স ইউজার হিসাবে আসলে এটি আমার কাছে একটি ভালো লাগার বিষয়।
আগামী দিনে আমি এমন একটি কমিউনিটি তৈরি করতে চাই যেখানে বাংলাদেশের সকল লিনাক্স ব্যাবহারকারীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে পারবে, একজন আরেকজন এর সাথে নিজেদের সমস্যাগুলো শেয়ার করে সমাধান নিতে পারবে। আমি আশা রাখি খুব শীগ্রয়ই বাংলাদেশের একটা বিশাল অংকের কম্পিউটার ব্যাবহারকারী উইন্ডোজকে বিদায় জানিয়ে লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম এর ব্যাবহার শুরু করবে।
আমি আমার ব্যাক্তিগত কম্পিউটার এ মাঞ্জারো ইউজ করি যেটি একটি আর্চ লিনাক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম।