ICO সম্পর্কে বিস্তারিত !
ICO সম্পর্কে অনেক লেখা আছে ফোরামে। তারপরেও অনেকের বুঝতে সমস্যা হওয়ার কারনে আজকে বিস্তারিত এই বিষয়ে লিখবো। বাংলাতেও অনেক পোস্ট আছে কিন্তু বেশির ভাগ সরাসরি ইংরেজির বাংলা গুগল ট্রান্সলেট। যা থেকে অনেকেরই হয়তো বুঝতে সমস্যা হচ্ছে।
অনেকেরই ডিমান্ড ICO এর উপরে ফুল ইনফরমেশন জানার। বেসিকেলি ICO কি এবং এর উপরে আমাদের ইনভেস্ট করা উচিৎ কি না। তো ICO এর উপরে আপনাদের জিজ্ঞার প্রায় সকল বিষয় সহজ ভাষায় তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
ICO হচ্ছে initial coin offering. যখনই কোনো কোম্পানি চালু হয় মাকের্টের ভিতরে, কোনো ক্রিপটোকারেন্সি নিয়ে আসার প্ল্যান করা হয়, তার পিছনে একটা মোটিভ থাকে। ঐ কোম্পানির কয়েন/টোকেন কে মাকের্টে আনার জন্য, এর ডেভেলোপ এর জন্য. যা খরচ হয় তার পরিমান অনেক বেশি। এই জন্য কোম্পানি নিয়ে আসে initial coin offering (ICO).
কোম্পানি তাদের আইডিয়া, মোটিভ সবার সামনে উপস্থাপন করে। ”যেমন কোম্পানির ভাষায়, আমরা এখন এমনটা করতে চাচ্ছি এবং আমাদের কয়েন এর মুল ০.১ ডলার। যদি আপনারা এখনই এই কয়েন নিতে চান তাহলে এই পরিমান টাকায় এতো পরিমান কয়েন দিবো, সাথে থাকবে ২০/৩০ পারসেন্ট বোনাস। কারন আপনার এই কোয়েনের ইনভেস্টমেন্ট, কোয়েনের ডেভেলোপ করতে সাহায্যে করেছেন। আর আপনারা এমন সময় ইনভেস্ট করেছেন যখন মাকের্টে এই কোয়েন কে কেউ চিনে না। এই কারনে কয়েন অনেক কম দামে পাবেন যা সামনে গিয়ে অনেক দাম বৃদ্ধি পেয়ে আপনাদেরকে প্রচুর লাভ দিবে।”
উদাহরন হিসেবে বলা যায় ইথারিয়াম এর কথা। ইথারিয়াম কয়েনকে আমরা সবাই চিনি, জানি। এই ইথারিয়াম কয়েনও মার্কেটে initial coin offering এর সাহায্যে এসেছিলো। ইথারিয়াম বলেছিলো আমরা মাকের্টে এসে কি করতে চাচ্ছি এবং আমাদের সাথে ইনভেস্টমেন্ট করতে চাইলে অতি স্বল্প মুল্যে এই পরিমান কয়েন পাবেন, তাই ইনভেষ্ট করতে হবে। যারা সেই সময় ইনভেস্ট করেছিলো তারা এখন প্রচুর লাভ করেছেন।
মুলতো আইসি হচ্ছে, তারা ফান্ড কালেক্ট করে, তারা কয়েন ডেভোলোপ করে থাকে যেই প্রসেস এ তারা কয়েন নিয়ে আসতে চায়।
এখন আইসিও এর কিছু ন্যাগেটিভ এবং পজেটিভ দিক আছে। এখন প্রতিদিনই প্রায় আইসিও ওপেন হচ্ছে। এর ভিতরে অনেক আইসিও এমন আছে যারা যতোদ্রুত সম্ভব ফান্ড কালেক্ট করে আইসিও ক্লোজ করে দিচ্ছে। এই কারনে আমাদেরকে কিছু বিষয়ের উপরে নজর দিতে হবে আইসিও তে ইনভেস্ট করার আগে। ICO এর মেন ওনার কে, ICO এর মেন মোটিভ কি, ICO যে টোকেন নিয়ে আসছে তা মার্কেটে কেনো নিয়ে আসছে, কি এমন পজিটিভ দিবে মার্কেটে। জানতে হবে তাদের মার্কেটিং স্ট্রাজি কি? তারা কি তাদের কোয়েনকে মার্কেটে নিয়ে আসার জন্য প্রস্তুত কি না তা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
আরও সহজ ভাষায় যদি বলা যায় ICO এবং স্টক এক্সেন্জ এর ভিতরে কিছুটা মিল আছে। স্টক এক্সেন্জের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি যেমন ফান্ড এর জন্য শেয়ার ছাড়ে ঠিক তেমন ক্রিপটো রিলেটেড কোম্পানি আইছিও এর মাধ্যমে ক্রিপটোকারেন্সির জন্য ফান্ড কালেকশন করে থাকে।
আশাকরি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। কোথাও যদি বুঝতে না পারেন, তাহলে সেই অংশটুকু উল্লেখ করে প্রশ্ন করুন। যদি আপনাদের সারা পাই তাহলে ক্রিপটো রিলেটেড আরও অনেক বিষয় আছে যা সহজ ভাষায় আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।