আমাদের ১ টাকা ২ টাকা ও ৫ টাকার কয়েনের মতো এটিও একটি কয়েন কিন্তু এটা শুধু নামের ক্ষেত্রেই কয়েন কারন এই কয়েন টি ফিজিক্যালি দেখা যায় না, ধরা যায় না, ছোয়া যায় না বা আপনার ওয়ালেট বা পকেটে-ও রাখা যায় না, কিন্তু এই কয়েন দিয়েও আপনি চাইলে টাকা বা ডলারের মতো সবকিছুই কিনতে পারবেন যদি আপনার সেলার বিটকয়েন সাপোর্ট করে, আসলে বিটকয়েন হল এক প্রকার ভার্চুয়াল কারেন্সি। এটি আমাদের সাধারণ টাকার বা ডলারের মতই। যদিও বাংলাদেশে এখনও বিটকয়েন লেনদেন বৈধতা পায় নাই । বিটকয়েন বাজারে অনেক বছর যাবতই আছে। কিন্তু তারপরেও অনেকেই এই বিটকয়েন সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না তাই তাদের কে বিট কয়েন সম্পর্কে একটি পরিস্কার ধারনা দিতেই আমার আজকের এই প্রচেস্টা ।
আসলে কি এই বিটকয়েন ?
খুব সহজে বললে, বিটকয়েন হলো ডিজিটাল কারেন্সি যা এনক্রিপশন লেয়ারের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে তাই এগুলোকে সাধারণত ক্রিপ্টোকারেন্সিও বলা হয়ে থাকে। আমরা যে টাকা বা ডলার দিয়ে কেনাবেচা করি তা প্রিন্ট করতে হয়, তৈরি করতে হয়। বিটকয়েনও তৈরি হয়। তবে নরমাল টাকার মত না। কারণ বিটকয়েন প্রিন্ট করতে হয় না। বিটকয়েন তৈরি হয় বিশাল বিশাল অঙ্ক সমাধান করার মাধ্যমে।বিটকয়েন মাইনিং এর মাধ্যমে এখন অনেকে চিন্তা করছেন যে ভার্চুয়াল অর্থের মধ্যে অঙ্কের সমাধান কেন করা লাগবে। আমি এইগুলো সবই আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো ।
বিটকয়েনের প্রকারভেদ ?
“বিটকয়েনে অল্প ফি দিয়ে দ্রুত লেনদেন করা সম্ভব” -এটা হয়তো শুনে থাকবেন কিন্তু বর্তমানে বিটকয়েনের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারনে নেটওয়ার্কে সমস্যা হচ্ছে। ফলে লেনদেনগুলো কনফার্ম হতে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা লাগছে আর মাইনার ফি অনেক বেড়ে গেছে। কম ফি দিলে আপনার ট্রানজেকশন কনফার্ম হতে অনেক সময় লাগবে, অথবা হবেই না।
এই সমস্যা দূর করার জন্য মাইনাররা বিটকয়েনকে আপগ্রেড করে ১লা আগস্ট ২০১৭ হতে বিটকয়েন ২টি ভাগে বিভক্ত করেছে ,একটি আগের পুরনো বিটকয়েন আরেকটি বিটকয়েন ক্যাশ ১৩ নভেম্বর ২০১৭ এই বিটকয়েন ক্যাশ নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করা হয়।
কীভাবে কাজ করে এই বিটকয়েন ?
পৃথিবীর সব অর্থ মানে টাকা , ডলার বা যে কোন মুদ্রাই হোক এর একটি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আছে। এই কাজটি সাধারণত সরকার করে থাকে। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে বিটকয়েন এর কোন এরকম সংস্থা নেই। বিটকয়েন পুরোটাই পাবলিক। কেউ বিটকয়েন কে নিয়ন্ত্রণ করে না। বিটকয়েন নিজেই নিজের কাজ করতে থাকে।
আপনার কাছে যখন বিটকয়েন থাকবে তখন এই বিটকয়েন আপনার ঘরে রাখা মূল্যবান জিনিস এর মতই কাজ করবে। কারণ আপনি যখন বিটকয়েন এর মালিক হবেন তখন আপনার কাছে একটি গোপন কোড থাকবে। ঐ কোডের ভিতরেই বিটকয়েন এর সব কিছু থাকে। অর্থাৎ কেউ যদি ঐ কোড পেয়ে যায় তাহলে সেই বিটকয়েন এর মালিক।
এই কোড অনেকে অনলাইন সার্ভিস যেমন-কয়েনবেস এ সংরক্ষণ করে। তবে যারা অনেক বেশি বিটকয়েন নিজে কার করে তারা সাধারণত এই কোড নিজের কাছে রাখে। নিজের কাছে রাখার সময়ও সাবধান থাকতে হয় অনেক। কারণ কেই এই কোড পেয়ে গেলে এই বিটকয়েন ফেরত আনার কোন উপায় নেই।
তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার বিটকয়েন দিয়ে কেউ কখন জালিয়াতি করতে পারবে না। কারণ বিটকয়েন এ কার কাছে কত বিটকয়েন আছে তা সবাই দেখতে পারে। কিন্তু এটা দেখতে পারলেও ঐ বিটকয়েন এর মালিক আসলে কে তা বের করা সম্ভব না। কারণ আমি আগেই বলেছি সেটি হল কার কাছে বিটকয়েন থাকলে তার কাছে শুধু মাত্র একটি সংখ্যা থাকে। তাই বিটকয়েন আদান প্রদান এর বিষয়টি সবাই দেখতে পারলেও ঐ বিটকয়েন এর মালিক আসলে কে তা বোঝা সম্ভব নয়।
বিটকয়েন নিয়ম-নীতি ও মূল্য নির্ধারন ।
আপনি জেনে অবাক হবে যে আজ ঠিক এই মুহুর্তে (08.10.18 8:33 AM ) সময় ১ বিটকয়েন এর দাম 6,560.01 US Dollar ডলার বা 5,44,480 টাকা।