আজকে সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ চ্যানেল ২৪ এর একটা ফটো কার্ড শেয়ার করেছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারের বকেয়া ছিলো ২.৫ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ২ মাসেই ১.৮ বিলিয়ন ডলার সরকার পরিশোধ করে ফেলেছেন। আরো বাকি ৭০০ মিলিয়ন ডলার। উল্লেখ্য, এই টাকা পরিশোধ করার জন্য সরকার রিজার্ভে হাতে দেয়নি। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে, প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর কারনেই এটা করা সম্ভব হয়েছে।
যাইহোক এইটা তো খুশির সংবাদ, তবে এখনো বড় ধাক্কা গুলো আমাদের জন্য ওয়েট করতেছে। রাশিয়া এবং চীন কখন যে তাদের চাপ বৃদ্ধি করে সেই ভয়ে দিন যাচ্ছে এখন শ্রীলংকার মতন দেউলিয়ার খাতায় নাম না লিখলে হচ্ছে। যেভাবে টাকার দরপতন হচ্ছে তাদের খুব বেশি একটা আশা পাচ্ছি না তার মধ্যে শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে জুলাই মাসে ২৫ হাজার কোটি না কত কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে।
দুই মাস আগেও গোল্ড ক্রয় করার সময় দেখেছি ভরি ছিল এক লক্ষ আঠার হাজার টাকা সেটা এখন বেড়ে এক লক্ষ 38 হাজার হয়ে গিয়েছে।
সরকারের কিছু দূর্বলতা তো আছেই। দেশের একটা জনগোষ্ঠী কোনোদিনই অন্যের ভালোর জন্য কাজ করে না। তারা শুধুমাত্র নিজেদের প্রফিটের জন্যই কাজ করে। ভোক্তা অধিদপ্তরের রিসেন্ট ভিডিওগুলো দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন দেশে কি হচ্ছে। সেদিন এক ভিডিওতে দেখলাম ১১ টাকায় কেনা ডিম ১৫ টাকা করে বিক্রি করছে। যার হালি প্রতি দাম দাড়াচ্ছে ৬০ টাকা। অথচ তাদের কেনা ৪৪ টাকা। এবং এটা সকল খরচ সহ। এই ডিমের সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য হতে পারে ৪৮ টাকা হালি। ভোক্তা অধিদপ্তরের লোকজন দাড়িয়ে থেকে সেখানে ৪৮ টাকা হালি ডিম বিক্রি করেছে।
একই ভাবে, প্রতিটা সেক্টরে নতুন করে অডিট করে স্বচ্ছতা আনা উচিৎ।
আসলে এই সিন্ডিকেট গুলো বন্ধ করার জন্য সরকার এর তাদের শক্তি প্রয়োগ করতে হবে এবং আইনকে আরো কঠিন করতে হবে যেন একজন লোক গরিব এবং ইনকাম কম এর জন্য সে ছারা না পায়, কারণ আমাদের দেশে ধনীর চাইতে গরিবের সংখ্যা বেশি এবং তাদের সংখ্যাকে যদি মাল্টিপ্লাই করি তাইলে দেখা যাবে এদের কারণেও এই সিন্ডিকেটগুলো বহুত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। না আমি গোডাউন মালিকদের কে বাদ দিব না এদেরকে আগে বাঁশ দেওয়া উচিত দেশের এই খারাপ পরিস্থিতির জন্য এরাও অনেকাংশে দায়ী।
তাছাড়াও আমি আরেকটা কথা বলতে চাই যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রব্য এর অতিরিক্ত দাম বাড়ার পেছনে আবার শুধুমাত্র সিন্ডিকেটগুলোই দায়ী না অতিরিক্ত ঋণের বোঝা মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভে না টাকা থাকা এগুলোও দায়ী।
তবে এখন রিজার্ভে টাকা বাড়ানোর জন্য সিন্ডিকেটগুলো ভাঙ্গার অতিশয় প্রয়োজন।